'এ কষ্ট চোখে দেখা যায় না!' আবার সেই পুরনো ফর্মে! বাঁকুড়ায় যা করলেন মমতা, চমকে উঠবেন জেনে

Mamata Banerjee on Flood Situation:’এ কষ্ট চোখে দেখা যায় না!’ আবার সেই পুরনো ফর্মে! বাঁকুড়ায় যা করলেন মমতা, চমকে উঠবেন জেনে

বর্ধমানে বরজোড়ায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি বাংলায়। মমতার কথায়, 'ম্যানমেড' এই বন্যা! ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রতিশ্রুতি মতোই থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী।
বর্ধমানে বরজোড়ায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিভিসির ছাড়া জলে ডুবেছে বিস্তীর্ণ এলাকা। বন্যা পরিস্থিতি বাংলায়। মমতার কথায়, ‘ম্যানমেড’ এই বন্যা! ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে প্রতিশ্রুতি মতোই থাকলেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা জানান, বন্যা কবলিত সকলের সুস্থতা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। নিরন্তর মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা জানান, বন্যা কবলিত সকলের সুস্থতা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। নিরন্তর মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অফিসে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিম্নচাপ এবং ডিভিসির ছাড়া জলের জেরে বন‍্যা পরিস্থতি রাজ‍্যের একাধিক জেলায়।
সোমবার পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক অফিসে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিম্নচাপ এবং ডিভিসির ছাড়া জলের জেরে বন‍্যা পরিস্থতি রাজ‍্যের একাধিক জেলায়।  বৈঠক শেষে তিনি চলে যান পশ্চিম বর্ধমান এবং বাঁকুড়া সীমান্তে, সীতারামপুর গ্রামে।
এই গ্রামে থেকে সোজা দেখা যায় দামোদরের ভয়াল রূপ। দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর গিয়ে জল ছাড়া দেখেন মমতা। তার পর গ্রামে ফিরে এসে বলেন, "ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে এলাম।"
এই গ্রাম থেকে সোজা দেখা যায় দামোদরের ভয়াল রূপ। দুর্গাপুর ব্যারেজের উপর গিয়ে জল ছাড়া দেখেন মমতা। তার পর গ্রামে  এসে বলেন, “ডিভিসির জল ছাড়ার কারণে কী ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি নিজের চোখে দেখে এলাম।”
নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি, সঙ্গে দোসর ডিভিসির ছাড়া জল। জোড়া ফলার আক্রমণে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। 'এ কষ্ট চোখে দেখা যায় না!' বলে ওঠেন মমতা। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
নিম্নচাপের জেরে বৃষ্টি, সঙ্গে দোসর ডিভিসির ছাড়া জল। জোড়া ফলার আক্রমণে প্লাবিত দক্ষিণবঙ্গের একাধিক এলাকা। ‘এ কষ্ট চোখে দেখা যায় না!’ বলে ওঠেন মমতা। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন।
মমতার কথায়, “আবার প্রচন্ড বৃষ্টি শুরু হয়েছে। নতুন করে জল আসলে, ডিভিসি জল ছাড়লে জলের পর জল প্লাবিত হবে। সেই সব জায়গায় বিডিওদের, আইসিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘর ছেড়ে যাওয়া মুশকিল। কিন্তু জীবন চলে গেলে তা ফিরে পাওয়া মুশকিল। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান, ফ্লাড কন্ট্রোল তাদের অন্দরে। কিন্তু তারা কাজ করছে না। লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে যাচ্ছে।”
মমতার  জানান, নতুন করে জল আসলে বা ডিভিসি জল ছাড়লে জলের পর জল প্লাবিত হবে। সেই সব জায়গায় বিডিওদের, আইসিদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ঘর ছেড়ে যাওয়া মুশকিল। কিন্তু জীবন চলে গেলে তা ফিরে পাওয়া মুশকিল। গঙ্গা অ্যাকশন প্ল্যান, ফ্লাড কন্ট্রোল তাদের অন্দরে। কিন্তু তারা কাজ করছে না। লক্ষ লক্ষ মানুষের বাড়িতে জল ঢুকে যাচ্ছে।
মমতা জানান, পূর্ত দফতর ভাঙা রাস্তার সমীক্ষা করবে। যাদের মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের অনেকের বাড়ি তালিকায় না থাকলে দেখা হবে। যে সব একেবারে বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাদের তালিকায় ঢোকাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত তাদের তিনটে করে ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
মমতা জানান, পূর্ত দফতর ভাঙা রাস্তার সমীক্ষা করবে। যাদের মাটির বাড়ি ভেঙে গিয়েছে, তাঁদের অনেকের বাড়ি তালিকায় না থাকলে দেখা হবে। যে সব একেবারে বাড়ি ভেঙে গিয়েছে তাদের তালিকায় ঢোকাতে বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপাতত তাদের তিনটে করে ত্রিপল দেওয়া হচ্ছে বলে জানান।
এর পরই মমতা বলেন, “পুলিশ কমিউনিটি কিচেন করছে। আমরাও সাধ্যমতো ড্রাই প্যাকেট করে দিচ্ছি। মুড়ি, ডাল, আলু, সয়াবিন, বাচ্চাদের দুধ,সরষের তেল যা যা প্রয়োজন তা দেওয়া হচ্ছে। আবার বন্যা হলে দেওয়া হবে। মানুষ যেন না ভাবেন বিপদে পড়ে আছেন। বিধায়কদের বলা হয়েছে তাদের কোটার টাকায় গ্রামের রাস্তা করুক।"
এর পরই মমতা বলেন, “পুলিশ কমিউনিটি কিচেন করছে। আমরাও সাধ্যমতো ড্রাই প্যাকেট করে দিচ্ছি। মুড়ি, ডাল, আলু, সয়াবিন, বাচ্চাদের দুধ,সরষের তেল যা যা প্রয়োজন তা দেওয়া হচ্ছে। আবার বন্যা হলে দেওয়া হবে। মানুষ যেন না ভাবেন বিপদে পড়ে আছেন। বিধায়কদের বলা হয়েছে তাদের কোটার টাকায় গ্রামের রাস্তা করুক।”
সীতারামপুর গ্রাম পরিদর্শনে মমতার সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়ার জেলা শাসক, আসানসোলের পুলিশ কমিশনার, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার, একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদ।
সীতারামপুর গ্রাম পরিদর্শনে মমতার সঙ্গে ছিলেন বাঁকুড়ার জেলা শাসক, আসানসোলের পুলিশ কমিশনার, বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার, একাধিক বিধায়ক এবং সাংসদ।
গ্রামবাসী এই প্রথম এত কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে ভীষণ খুশি। গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন মমতা। ঘর গৃহস্থালির সামগ্রী আছে কিনা, ডায়রিয়া থেকে শুরু করে জ্বর-সর্দিকাশির ওষুধ হাতের কাছে আছে কিনা জানতে চান মমতা। না থাকলে সমস্ত সামগ্রীর জোগান দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।
গ্রামবাসী এই প্রথম এত কাছ থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে ভীষণ খুশি। গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে অনেকক্ষণ কথা বলেন মমতা। ঘর গৃহস্থালির সামগ্রী আছে কিনা, ডায়রিয়া থেকে শুরু করে জ্বর-সর্দিকাশির ওষুধ হাতের কাছে আছে কিনা জানতে চান মমতা। না থাকলে সমস্ত সামগ্রীর জোগান দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন।
মমতা এর পরেই পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বলেন, “মানুষ যেন না ভাবেন বিপদে পড়ে আছেন। বিধায়কদের বলা হয়েছে তাদের কোটার টাকায় গ্রামের রাস্তা করুক। সাংসদদের অনুরোধ করব তারাও গ্রামীণ রাস্তা করুক। বাড়ির টাকা একসাথে ডিসেম্বরে দেওয়া হবে।”
মমতা এর পরেই পাশে থাকার আশ্বাস দেন। বলেন, “মানুষ যেন না ভাবেন বিপদে পড়ে আছেন। বিধায়কদের বলা হয়েছে তাদের কোটার টাকায় গ্রামের রাস্তা করুক। সাংসদদের অনুরোধ করব তারাও গ্রামীণ রাস্তা করুক। বাড়ির টাকা একসাথে ডিসেম্বরে দেওয়া হবে।”
এর পরেই মমতা বলেন, "আপনারা তো একেবারে নদীর পারের বসিন্দা। প্রশাসনের নির্দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান।"
এর পরেই মমতা বলেন, “আপনারা তো একেবারে নদীর পারের বসিন্দা। প্রশাসনের নির্দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যান।”
গ্রাম লাগোয়া দুর্গাপুর ধ্রুব আবাস। সেখানে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছায় কেউ কেউ ফিরে এসেছেন। তার মধ্যে যা বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তাতে রাজ্য সরকার মনে করছে দুর্যোগ বাড়বে।
গ্রাম লাগোয়া দুর্গাপুর ধ্রুব আবাস। সেখানে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছায় কেউ কেউ ফিরে এসেছেন। তার মধ্যে যা বৃষ্টি শুরু হয়েছে, তাতে রাজ্য সরকার মনে করছে দুর্যোগ বাড়বে।