মনসা পুজোয় শোলার প্রতিক

Manasa Puja: বিষহরি পুজোয় আজও মানা হয় প্রাচীন রীতি

কোচবিহার: আজও গ্রাম বাংলার বহু এলাকায় এই বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়। এই পুজোর নিয়ম এবং রীতি আর পাঁচটা পুজোর থেকে একেবারেই আলাদা। বিশেষ এই পুজোয় পুজোর পাশাপাশি পালাগানের আসর বসে বহু জায়গায়। এই পুজোর নাম মনসা পুজো বা বিষহরি পুজো। তবে আধুনিকতার এই যুগে ধীরে ধীরে এই পুজোর রেওয়াজ অনেকটাই কমে এসেছে। তবে গ্রাম বাংলায় আজও সমারোহের সঙ্গেই এই মনসা পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকে।

মনসা পুজোয় বিষহরী পালা গানের শিল্পী রবীন্দ্রনাথ বর্মন জানান, মনসা পুজোয় মূর্তি ব্যবহার করা হয় না। ব্যবহার করা হয় শোলার তৈরি দেবীর প্রতীকী ছবি। এছাড়া এই পুজোয় পালাগান করা আবশ্যিক। না হলে পুজো সম্পন্ন হবে না। এই পালাগানের সুর যে কোনও মানুষের মন মুগ্ধ করতে পারে। বহু মানুষ এই পালা গান শুনতে দূর-দূরান্ত থেকে এসে থাকেন। আবার অনেকে তো চলতি পথে থমকে দাঁড়ান এই পালা গান শুনে। মনসা পুজোর পালা গানের মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ঘটনা বর্ণনা করা হয়। তাই এই গানের তাৎপর্য রয়েছে অনেকটাই। এছাড়া শোলা ছাড়া দেবীর পুজো অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তাই এই দেবীর পুজা করতে এই শোলা অত্যন্ত প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: ভাঙন রোধে নেওয়া হচ্ছে না ব্যবস্থা, নদীর জল বাড়তেই তীব্র আতঙ্ক

মনসা পুজোর পুরোহিত সুভাষ চক্রবর্তী জানান, দীর্ঘ সময় ধরে গ্রাম বাংলার বিভিন্ন জায়গায় এই রীতি মেনেই পুজোর আয়োজন করা হয়। আর তাইতো আজও এই রীতির পরিবর্তন হয়নি। বহু মানুষ গ্রাম্য এলাকায় এবং শহরতলীতেও এই পুজোর আয়োজন করে থাকেন।

সার্থক পণ্ডিত