বিদ্যালয়ে মাশরুম চাষ।

West Bardhaman News : পড়ুয়াদের পুষ্টি যোগাতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় চেষ্টা, বিদ্যালয়ে হচ্ছে মাশরুম চাষ

আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান : পড়ুয়াদের মুখে তুলে দিতে হবে পুষ্টিকর খাবার। তার জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বড় উদ্যোগ। যা জানলে আপনার মন ভাল হয়ে যেতে বাধ্য। কারণ পড়ুয়াদের জন্য শিক্ষকরা চালিয়ে যাচ্ছেন নিরন্তর প্রয়াস। শিক্ষাদানের পাশাপাশি পড়ুয়াদের মুখে পুষ্টি তুলে দিতেও তারা পিছিয়ে নেই। চিত্তরঞ্জনের ছয়’এর পল্লী নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়। যেখানে পড়ুয়াদের জন্য বড় উদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের।

এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকারা উদ্যোগ নিয়ে করছেন মাশরুম চাষ। বিদ্যালয়ে এই মাশরুম চাষ করছেন তারা। যদিও এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না। সহজ ছিল না পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। তবে শেষমেষ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য পার্শ্ব শিক্ষকরা উদ্যোগ নিয়ে বিদ্যালয়ে মাশরুম চাষ করছেন। আর সেখান থেকে উৎপন্ন মাশরুম চলে যাচ্ছে মিড ডে মিলের রান্নাঘরে। সপ্তাহে অন্ততপক্ষে দু’দিন এই উৎপাদিত মাশরুম মিড ডে মিলের খাবারে পাচ্ছে পড়ুয়ারা।

আরও পড়ুন : লাল-সবুজ-গেরুয়া, তিন প্রার্থীই ছুটছেন সবজির বাজারে! কেন? বর্ধমান-দুর্গাপুরে আজব কাণ্ড

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ঝর্ণা মন্ডল জানিয়েছেন, তিনিই প্রথম বিদ্যালয়ের মাশরুম চাষ করার পরিকল্পনা করেন। পরে বিষয়টি নিয়ে তিনি অন্য শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করেন। প্রধান শিক্ষিকার পরিকল্পনার পাশে দাঁড়ান বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষকরা। এরপর তারা নিজেরা মাশরুম চাষের প্রশিক্ষণ নেন। সেই প্রশিক্ষণ শেষে বিদ্যালয়ে শুরু হয় মাশরুম উৎপাদন। তবে এই মাশরুম কোনও ব্যবসায়িকভাবে ব্যবহার করা হয় না। উৎপাদিত মাশরুম তুলে দেওয়া হয় পড়ুয়াদের মিড ডে মিলের খাবারে।

অন্যদিক এই বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও ভীষণভাবে খুশি। চিত্তরঞ্জনের এই জুনিয়র বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৮০ জনের বেশি পড়ুয়া রয়েছে। তারা বলছে, বিদ্যালয়ে পড়াশোনার গুনগতমান ভাল। বিদ্যালয়ে নিয়মিতভাবে যেমন পঠন পাঠন হয়, তেমনভাবেই মিড ডে মিলেও তাদের মুখে তুলে দেওয়া হয় ভাল খাবার।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কখনও তাদের পাতে থাকে ডিম, কখনও মাংস, আবার কখনও থাকে সয়াবিন। পাশাপাশি সপ্তাহে দু’দিন করে বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পাতে তুলে দেওয়া হয় মাশরুমের পদ।

নয়ন ঘোষ