মিলেট বাজার

Millet Bazar: মিলেট চাষীদের চিন্তার অবসান! এবার খোলা বাজারের থেকে বেশি লাভে মিলেট বিক্রির সুযোগ

কোচবিহার: একটা সময় উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ চাষিরা মিলেট চাষ করতেন। স্থানীয়ভাবে এই ফসলকে কাউন বলা হয়ে থাকে। মিলেটের গুনাগুন রয়েছে অনেকটাই বেশি। তাই সাধারণভাবে মিলেটকে সুপার ফুডের তালিকায় ধরা দিতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই চাষকে ধীরে ধীরে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন কৃষকেরা।

তাই একটা সময় উত্তরবঙ্গে বহুল প্রচলিত এই ফসলের চাষ প্রায় অস্তিত্বের সংকটে ভুগছিল। তবে আবারও এই ফসলের চাষ কৃষকদের মধ্যে শুরু করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুনাফা না পেলে চাষ করতে আগ্রহ হারাবেন কৃষকেরা। তাই এই সমস্যার সমাধানে তৈরি করা হল বিশেষ এক ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন – Diabetes Control Tips: আপনার ব্লাড সুগার লেভেল কি ব্যাপক, চোখ বুজে খান লেবুর জাতভাই এই ফলের রস

কোচবিহারের সাতমাইল সতীশ ক্লাবের সম্পাদক অমল রায় জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা বিভিন্ন জেলায় মিলেটের চাষের প্রসার ঘটাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয় তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি দফতর। তাই  বর্তমান সময়ে বহু কৃষক আবারো মিলেট চাষ শুরু করেছেন। তবে কৃষকদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

তা হল, চাষ করা ফসল বাজারে বিক্রি করে পর্যাপ্ত মুনাফা না পাওয়া। খোলা বাজারে ফসল বিক্রি করে সঠিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই তো কৃষকদের জন্য মিলেট বিক্রির এক বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে “মিলেট বাজার”। এখানে কৃষকেরা নিজেদের উৎপাদিত মিলেট বিক্রি করলে কেজিতে অনেকটাই বেশি লাভ পাবেন।

জেলার এক কৃষক আজগর আলী জানান, একটা সময়ে তাঁদের এলাকায় এই মিলেট চাষ করতেন বহু কৃষক। তবে বর্তমানে স্বল্প সংখ্যক কৃষক এই চাষ করছেন। চাষের পর তাদের যে সমস্যায় পড়তে হয়। তা হল, খোলা বাজারে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে পর্যাপ্ত মুনাফা না পাওয়া। ফলে চাষে আগ্রহ হারায় কৃষকেরা।

এছাড়া মানুষের মধ্যে মিলেটের উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা ছিল না এতদিন পর্যন্ত। বর্তমানে বিভিন্ন রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধায় এই চাষ আবার শুরু হয়েছে। এছাড়া কৃষকেরা সঠিক দাম পাচ্ছেন উৎপাদিত ফসলের। বর্তমান সময়ে শুধু মাত্র কোচবিহার কৃষকেরা নয়। কোচবিহার সংলগ্ন আলিপুরদুয়ার জেলার কৃষকেরাও তাঁদের ফসল বিক্রি করতে নিয়ে আসছেন এখানে।

Sarthak Pandit