Tag Archives: Millet

Healthy Tips: ক্যালসিয়ামের খনি, খেলেই সুগার কমবে হু হু করে, জানেন এই চেনা শস্যের নাম?

বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে রাগির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ তবে বিভিন্ন উপজাতী গোষ্ঠীর মধ্যে রাগি আগে থেকেই অত্যন্ত প্রচলিত ছিল৷ বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে পশ্চিমঘাটের একটা হিল স্টেশন জওহার গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিদিন এই খাবার খায়৷ পুষ্টিবিদ নিশান্ত সিং রাগির উপকারিতার কথা বলেছে৷
বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়ে রাগির জনপ্রিয়তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ তবে বিভিন্ন উপজাতী গোষ্ঠীর মধ্যে রাগি আগে থেকেই অত্যন্ত প্রচলিত ছিল৷ বিশেষ করে মহারাষ্ট্রে পশ্চিমঘাটের একটা হিল স্টেশন জওহার গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিদিন এই খাবার খায়৷ পুষ্টিবিদ নিশান্ত সিং রাগির উপকারিতার কথা বলেছে৷
রাগির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে৷ এর ফলে হাড় ও দাঁত ভাল থাকে৷ রাগি আয়রন, প্রোটিন ও ফসফরাস সমৃদ্ধ শস্য৷ এতে ফাইবারে মাত্রা বেশ বেশি থাকায়, হজমে সহায়তা করে৷ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও রাগি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন৷
রাগির মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে৷ এর ফলে হাড় ও দাঁত ভাল থাকে৷ রাগি আয়রন, প্রোটিন ও ফসফরাস সমৃদ্ধ শস্য৷ এতে ফাইবারে মাত্রা বেশ বেশি থাকায়, হজমে সহায়তা করে৷ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও রাগি প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন৷
রাগি গ্লুটেন মুক্ত শস্য৷ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটিক অ্যাসিড থাকায়, শরীরে পুষ্টির শোষণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে৷ ভেগান, ল্যাকটোজ়- অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের জন্য রাগি দুর্দান্ত বিকল্প৷
রাগি গ্লুটেন মুক্ত শস্য৷ এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইটিক অ্যাসিড থাকায়, শরীরে পুষ্টির শোষণ ক্ষমতাও বৃদ্ধি করে৷ ভেগান, ল্যাকটোজ়- অসহিষ্ণু ব্যক্তিদের জন্য রাগি দুর্দান্ত বিকল্প৷
রাগিতে গ্লাইসেমিক সুচকের মাত্রা কম থাকে৷ ফলে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ ফাইবার বেশি থাকায় পেট ভর্তি রাখে৷ ফলে অতিরিক্ত খাবারের প্রবণতা বেশ কম৷ ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে৷
রাগিতে গ্লাইসেমিক সুচকের মাত্রা কম থাকে৷ ফলে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে৷ ফাইবার বেশি থাকায় পেট ভর্তি রাখে৷ ফলে অতিরিক্ত খাবারের প্রবণতা বেশ কম৷ ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে৷
এই শস্য শরীরে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটকে শোষণ করতে সক্ষম৷ ফলে রাগি শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে সক্ষম৷ রাগিতে আম্যাইনো অ্যাসিড থাকায়, তা রক্তে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে৷
এই শস্য শরীরে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেটকে শোষণ করতে সক্ষম৷ ফলে রাগি শর্করার মাত্রা বজায় রাখতে সাহায্য করতে সক্ষম৷ রাগিতে আম্যাইনো অ্যাসিড থাকায়, তা রক্তে ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে৷

Blood Sugar & Weight Loss Control Tips: ব্লাড সুগার কমিয়ে রোগা ছিপছিপে থাকতে চান? তাহলে খেতেই হবে উপকারিতায় ভরা এই ‘মোটা আনাজ’

বেশি পলিশড নয়। তাই এই খাবারগুলি বা দানাশস্যকে বলা হয় ‘মোটা আনাজ’। ভারতীয় হেঁশেলে এই দানাশস্যগুলির উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন।
বেশি পলিশড নয়। তাই এই খাবারগুলি বা দানাশস্যকে বলা হয় ‘মোটা আনাজ’। ভারতীয় হেঁশেলে এই দানাশস্যগুলির উপকারিতা জানলে চমকে যাবেন।

 

ঠিক কাকে বলে মোটা আনাজ? মূলত জোয়ার, বাজরা, রাগি মিলিয়ে মিলেটকে বলা হয় মোটা আনাজ। এর সঙ্গে বার্লি, কাঙ্গনি (এক রকমের মিলেট)-কেও বলা হয় মোটা আনাজ।
ঠিক কাকে বলে মোটা আনাজ? মূলত জোয়ার, বাজরা, রাগি মিলিয়ে মিলেটকে বলা হয় মোটা আনাজ। এর সঙ্গে বার্লি, কাঙ্গনি (এক রকমের মিলেট)-কেও বলা হয় মোটা আনাজ।

 

কোনও এক সময় ‘দরিদ্রদের খাবার’ বলে পরিচিত এই দানাশস্যগুলি ব্রাত্য ছিল অধিকাংশ পরিবারে। কিন্তু ইদানীং মিলেট বেশ জনপ্রিয় এবং ট্রেন্ডিং। এর উপকারিতা নিয়ে বলেছেন পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকর।
কোনও এক সময় ‘দরিদ্রদের খাবার’ বলে পরিচিত এই দানাশস্যগুলি ব্রাত্য ছিল অধিকাংশ পরিবারে। কিন্তু ইদানীং মিলেট বেশ জনপ্রিয় এবং ট্রেন্ডিং। এর উপকারিতা নিয়ে বলেছেন পুষ্টিবিদ রুজুতা দ্বিবেকর।

 

মিলেট খেলে কী হয়? কেন এই দানাশস্য খােবন? রয়েছে বহু উপকারিতা। প্রথমেই মনে রাখতে হবে হজমের কথা। মিলেটের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে সুহজমে সাহায্য করে। এই ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘ ক্ষণ পেটে থাকে বলে ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। বাড়তি খাওয়া ও ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়।
মিলেট খেলে কী হয়? কেন এই দানাশস্য খােবন? রয়েছে বহু উপকারিতা। প্রথমেই মনে রাখতে হবে হজমের কথা। মিলেটের ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্য দুর করে সুহজমে সাহায্য করে। এই ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার দীর্ঘ ক্ষণ পেটে থাকে বলে ঘন ঘন খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। বাড়তি খাওয়া ও ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা দূর হয়।

 

মিলেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে এই শস্য জুড়িহীন। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে না।
মিলেটের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে এই শস্য জুড়িহীন। রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে পারে না।

 

রাগি এবং বাজরাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অন্য মিনারেলস আছে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। হাড় মজবূুত হয়। অস্টিওপোরোসিসের আশঙ্কা কমে।
রাগি এবং বাজরাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং অন্য মিনারেলস আছে। হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল থাকে। হাড় মজবূুত হয়। অস্টিওপোরোসিসের আশঙ্কা কমে।

 

কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে মিলেট। এর ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস কার্ডিওভাসক্যুলার রোগের আশঙ্কা কমায়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে মিলেট। এর ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস কার্ডিওভাসক্যুলার রোগের আশঙ্কা কমায়।

 

মিলেটের এমন পুষ্টিগুণ, যেগুলি পরিস্রুত বা পলিশড খাবারেও মেলে না। এই দানাশস্যের ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।
মিলেটের এমন পুষ্টিগুণ, যেগুলি পরিস্রুত বা পলিশড খাবারেও মেলে না। এই দানাশস্যের ভিটামিন, মিনারেলস, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টস সার্বিক সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে।

 

ব্লাডপ্রেশার, কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কা কমায় মিলেট। গ্লাটেনমুক্ত এই দানাশস্য আধুনিক স্বাস্থ্যসচেতন প্রজন্মের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়।
ব্লাডপ্রেশার, কোলেস্টেরল কমিয়ে হৃদরোগের আশঙ্কা কমায় মিলেট। গ্লাটেনমুক্ত এই দানাশস্য আধুনিক স্বাস্থ্যসচেতন প্রজন্মের কাছে বিশেষ জনপ্রিয়।

Millet Bazar: মিলেট চাষীদের চিন্তার অবসান! এবার খোলা বাজারের থেকে বেশি লাভে মিলেট বিক্রির সুযোগ

কোচবিহার: একটা সময় উত্তরবঙ্গের বেশিরভাগ চাষিরা মিলেট চাষ করতেন। স্থানীয়ভাবে এই ফসলকে কাউন বলা হয়ে থাকে। মিলেটের গুনাগুন রয়েছে অনেকটাই বেশি। তাই সাধারণভাবে মিলেটকে সুপার ফুডের তালিকায় ধরা দিতে পারে। তবে দীর্ঘ সময় ধরে এই চাষকে ধীরে ধীরে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন কৃষকেরা।

তাই একটা সময় উত্তরবঙ্গে বহুল প্রচলিত এই ফসলের চাষ প্রায় অস্তিত্বের সংকটে ভুগছিল। তবে আবারও এই ফসলের চাষ কৃষকদের মধ্যে শুরু করা হয়েছে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ মুনাফা না পেলে চাষ করতে আগ্রহ হারাবেন কৃষকেরা। তাই এই সমস্যার সমাধানে তৈরি করা হল বিশেষ এক ব্যবস্থা।

আরও পড়ুন – Diabetes Control Tips: আপনার ব্লাড সুগার লেভেল কি ব্যাপক, চোখ বুজে খান লেবুর জাতভাই এই ফলের রস

কোচবিহারের সাতমাইল সতীশ ক্লাবের সম্পাদক অমল রায় জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তাঁরা বিভিন্ন জেলায় মিলেটের চাষের প্রসার ঘটাতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই বিষয় তাঁদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষি দফতর। তাই  বর্তমান সময়ে বহু কৃষক আবারো মিলেট চাষ শুরু করেছেন। তবে কৃষকদের যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়।

তা হল, চাষ করা ফসল বাজারে বিক্রি করে পর্যাপ্ত মুনাফা না পাওয়া। খোলা বাজারে ফসল বিক্রি করে সঠিক মুনাফা পাওয়া সম্ভব নয়। তাই তো কৃষকদের জন্য মিলেট বিক্রির এক বিশেষ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। এই ব্যবস্থার নাম দেওয়া হয়েছে “মিলেট বাজার”। এখানে কৃষকেরা নিজেদের উৎপাদিত মিলেট বিক্রি করলে কেজিতে অনেকটাই বেশি লাভ পাবেন।

জেলার এক কৃষক আজগর আলী জানান, একটা সময়ে তাঁদের এলাকায় এই মিলেট চাষ করতেন বহু কৃষক। তবে বর্তমানে স্বল্প সংখ্যক কৃষক এই চাষ করছেন। চাষের পর তাদের যে সমস্যায় পড়তে হয়। তা হল, খোলা বাজারে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করে পর্যাপ্ত মুনাফা না পাওয়া। ফলে চাষে আগ্রহ হারায় কৃষকেরা।

এছাড়া মানুষের মধ্যে মিলেটের উপকারিতা সম্পর্কে সঠিক ধারণা ছিল না এতদিন পর্যন্ত। বর্তমানে বিভিন্ন রকম সরকারি সুযোগ-সুবিধায় এই চাষ আবার শুরু হয়েছে। এছাড়া কৃষকেরা সঠিক দাম পাচ্ছেন উৎপাদিত ফসলের। বর্তমান সময়ে শুধু মাত্র কোচবিহার কৃষকেরা নয়। কোচবিহার সংলগ্ন আলিপুরদুয়ার জেলার কৃষকেরাও তাঁদের ফসল বিক্রি করতে নিয়ে আসছেন এখানে।

Sarthak Pandit