উত্তরবঙ্গ, কোচবিহার, ব্যবসা-বাণিজ্য Money Making Tips: বিশেষ এই পদ্ধতিতে কম খরচে টাকা হবে দ্বিগুণ ! লাভবান হবেন আপনিও Gallery April 18, 2024 Bangla Digital Desk বর্তমান সময়ে বহু কৃষক কৃষি ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখছেন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে। তবে এখনও এমন কৃষক রয়েছেন যারা আগেকার পদ্ধতি মেনে চাষ করে চলেছেন। তবে তাঁরাও যদি নতুন ধরনের চাষের পদ্ধতি অবলম্বন করেন তবে অনেকটাই লাভের মুখ দেখতে পারবেন। কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো হল জলসেচ, আগাছা নিয়ন্ত্রণ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ। এগুলি সঠিক ভাবে নাহলে কৃষিক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখা সম্ভব নয়। তবে যদি এগুলি খোলা জমিতে করা হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা সমুখীন হতে হয় প্রচুর। প্রথমত, আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় বৃষ্টিতে সার ও কীটনাশক বেশিরভাগ ধুয়ে চলে যায়। আগাছা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। আর দ্বিতীয়ত, খোলা জমিতে এই জিনিস গুলি প্রয়োগ করলে পরিমাণে লাগে বেশি। তাই খরচ হয় বেশি। এই কারনেই চাষের সুবিধা ঘটাতে ও মাটির আদ্রতা ধরে রাখতে এক বিশেষ পদ্ধতি বেশ কাজে লাগে। অত্যাধুনিক এই চাষের পদ্ধতির নাম মালচিং পদ্ধতি। কোচবিহারের এক কৃষক জানান, “শশা চাষ করতে প্রয়োজন কিছুটা ভেজা প্রকৃতির জমি। তবে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষক যেকোন জায়গায় শশা চাষ করতে পারবেন। এতে মুনাফা বেশ ভাল হয়। মূলত এই পদ্ধতিতে চাষ করতে হলে প্রথমে জমিকে চাষ করে তাঁতে সার, কীটনাশক ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ ওষুধ মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর কেল করে তাতে মালচিং প্লাস্টিক বিছিয়ে দিয়ে চারপাশের মাটিতে গুঁজে দিতে হবে। সবশেষে প্লাটিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ফুটো করে গাছ লাগালে বা বীজ বুনে দিলেই চলবে।” এক ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির সম্পাদক মোজাহিদ হোসেন জানান, “কৃষকদের নতুন ধরনের চাষের পদ্ধতি দিয়ে সহায়তা করা তাঁদের কাজ। যাতে কৃষি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। এই কৃষকে তাঁরাই প্রথম মালচিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। এছাড়া তাঁর জমির মালচিং তাঁরাই প্রদান করেছিলেন। যাতে এই কৃষকের চাষের জমি দেখে আরও বহু কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। যাতে কৃষকদের খরচ কমে আসে অনেকটাই। এবং মুনাফা বাড়ে কয়েকগুণ।” তবে বর্তমান সময়ে এই বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করলে জমিতে আগাছার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে কীটনাশক কম প্রয়োজন। জলসেচ কম প্রয়োজন হয়। শুধু সামান্য কিছু খরচ করতে হয় মালচিংয়ের প্লাস্টিক কেনার জন্য।