Tag Archives: Cucumber Farming

Cucumber: কীটনাশক ব্যবহারে শসা হয়ে উঠছে চরম বিষাক্ত, খাওয়ার আগে এই ৩ কাজ অবশ্যই করুন

আমরা অনেকেই বিশেষ করে গ্রীষ্মের মরশুমে শসা খেতে পছন্দ করি। তবে বর্তমানে এমন একটি খবর প্রচার হচ্ছে যা স্বাদ তিক্ততায় ভরিয়ে দেয়। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত যে শসা খাচ্ছি সেগুলির উৎপাদনে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হয় যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

নিয়ামতপুরের কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের উদ্ভিদ সংরক্ষণ বিভাগের বিশেষজ্ঞ ড. নূতন ভার্মা বলেন, শসা তৈরিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। কীটনাশক ব্যবহার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে শসা বাজারে নিয়ে যাওয়া হয়। এই ক্ষতিকারক কীটনাশক আমাদের স্বাস্থ্যের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। তাই বাজার থেকে শসা কিনে খাওয়ার আগে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এতে কীটনাশকের প্রভাব কিছুটা হলেও কমানো যায়।

আরও পড়ুন: YouTube-ভিডিও থেকে কত টাকা আয় হয়? ১ মিলিয়ন ভিউজ হলে কত রোজগার হয়? ৯৯% লোকজনই জানেন না

শসা অত্যন্ত বিষাক্ত হয়ে উঠছে

ড. নূতন ভার্মা জানান, শসায় কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। প্রতি ১ লিটার জলে ১৭.৮ মিলি ইমিডাক্লোপ্রিড মিশিয়ে স্প্রে করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে শসা ৫% থেকে ১০% ফুলে উঠলেই এই স্প্রে করা উচিত। এই সময়ে স্প্রে করা হলে শসার ফসলের ক্ষতি হবে না। শসা ফসলের মুকুল হওয়ার সময় কোনও কীটনাশক ব্যবহার করা ঠিক নয়। কীটনাশক ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।

৫ দিন ধরে ফসল কাটা যাবে না

ড. নুতন ভার্মা বলেন, যদি মুকুলের সময় শসার ফসলে কীটপতঙ্গের আক্রমণ হয়, তাহলে কৃষকরা থিওমেথক্সাম ব্যবহার করবেন। যার প্রভাব ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত ফসলে থাকে। ইমিডাক্লোপ্রিড ব্যবহার করলে ৫ দিনের জন্য ফসল প্রভাবিত হয়। এমতাবস্থায় মনে রাখতে হবে যদি এই ওষুধগুলো ফসলে স্প্রে করা হয়ে থাকে, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি শসা কাটা উচিত নয়।

নিমের পণ্য ব্যবহার

ড. নূতন ভার্মা বলেন, যদি পাতায় পোকা থাকে তাহলে নিম থেকে তৈরি পণ্য ব্যবহার করা যেতে পারে।

শসা খাওয়ার আগে এটি করা উচিত

শসা পরিষ্কার করতে, জলে নুন যোগ করে ১০ মিনিটের জন্য শসা ডুবিয়ে রাখতে হবে। অথবা ১ লিটার জলে দুই ক্যাপ ভিনিগার মিশিয়ে তাতে শসা ডুবিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিতে হবে। এরপর জল দিয়ে দুই থেকে তিনবার ধুয়ে শসা খাওয়া যেতে পারে।

Money Making Tips: বিশেষ এই পদ্ধতিতে কম খরচে টাকা হবে দ্বিগুণ ! লাভবান হবেন আপনিও

বর্তমান সময়ে বহু কৃষক কৃষি ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখছেন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে। তবে এখনও এমন কৃষক রয়েছেন যারা আগেকার পদ্ধতি মেনে চাষ করে চলেছেন। তবে তাঁরাও যদি নতুন ধরনের চাষের পদ্ধতি অবলম্বন করেন তবে অনেকটাই লাভের মুখ দেখতে পারবেন। কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো হল জলসেচ, আগাছা নিয়ন্ত্রণ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ। এগুলি সঠিক ভাবে নাহলে কৃষিক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখা সম্ভব নয়।
বর্তমান সময়ে বহু কৃষক কৃষি ক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখছেন নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করে। তবে এখনও এমন কৃষক রয়েছেন যারা আগেকার পদ্ধতি মেনে চাষ করে চলেছেন। তবে তাঁরাও যদি নতুন ধরনের চাষের পদ্ধতি অবলম্বন করেন তবে অনেকটাই লাভের মুখ দেখতে পারবেন। কৃষি ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো হল জলসেচ, আগাছা নিয়ন্ত্রণ, সার ও কীটনাশক প্রয়োগ। এগুলি সঠিক ভাবে নাহলে কৃষিক্ষেত্রে লাভের মুখ দেখা সম্ভব নয়।
তবে যদি এগুলি খোলা জমিতে করা হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা সমুখীন হতে হয় প্রচুর। প্রথমত, আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় বৃষ্টিতে সার ও কীটনাশক বেশিরভাগ ধুয়ে চলে যায়। আগাছা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। আর দ্বিতীয়ত, খোলা জমিতে এই জিনিস গুলি প্রয়োগ করলে পরিমাণে লাগে বেশি। তাই খরচ হয় বেশি। এই কারনেই চাষের সুবিধা ঘটাতে ও মাটির আদ্রতা ধরে রাখতে এক বিশেষ পদ্ধতি বেশ কাজে লাগে। অত্যাধুনিক এই চাষের পদ্ধতির নাম মালচিং পদ্ধতি।
তবে যদি এগুলি খোলা জমিতে করা হয় সেক্ষেত্রে সমস্যা সমুখীন হতে হয় প্রচুর। প্রথমত, আবহাওয়ার খামখেয়ালীপনায় বৃষ্টিতে সার ও কীটনাশক বেশিরভাগ ধুয়ে চলে যায়। আগাছা নিয়ন্ত্রণে সমস্যা হয়। আর দ্বিতীয়ত, খোলা জমিতে এই জিনিস গুলি প্রয়োগ করলে পরিমাণে লাগে বেশি। তাই খরচ হয় বেশি। এই কারনেই চাষের সুবিধা ঘটাতে ও মাটির আদ্রতা ধরে রাখতে এক বিশেষ পদ্ধতি বেশ কাজে লাগে। অত্যাধুনিক এই চাষের পদ্ধতির নাম মালচিং পদ্ধতি।
কোচবিহারের এক কৃষক জানান, "শশা চাষ করতে প্রয়োজন কিছুটা ভেজা প্রকৃতির জমি। তবে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষক যেকোন জায়গায় শশা চাষ করতে পারবেন। এতে মুনাফা বেশ ভাল হয়। মূলত এই পদ্ধতিতে চাষ করতে হলে প্রথমে জমিকে চাষ করে তাঁতে সার, কীটনাশক ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ ওষুধ মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর কেল করে তাতে মালচিং প্লাস্টিক বিছিয়ে দিয়ে চারপাশের মাটিতে গুঁজে দিতে হবে। সবশেষে প্লাটিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ফুটো করে গাছ লাগালে বা বীজ বুনে দিলেই চলবে।"
কোচবিহারের এক কৃষক জানান, “শশা চাষ করতে প্রয়োজন কিছুটা ভেজা প্রকৃতির জমি। তবে মালচিং পদ্ধতি ব্যবহার করে কৃষক যেকোন জায়গায় শশা চাষ করতে পারবেন। এতে মুনাফা বেশ ভাল হয়। মূলত এই পদ্ধতিতে চাষ করতে হলে প্রথমে জমিকে চাষ করে তাঁতে সার, কীটনাশক ও আগাছা নিয়ন্ত্রণ ওষুধ মিশিয়ে দিতে হবে। তারপর কেল করে তাতে মালচিং প্লাস্টিক বিছিয়ে দিয়ে চারপাশের মাটিতে গুঁজে দিতে হবে। সবশেষে প্লাটিকে পর্যাপ্ত দূরত্বে ফুটো করে গাছ লাগালে বা বীজ বুনে দিলেই চলবে।”
এক ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির সম্পাদক মোজাহিদ হোসেন জানান, "কৃষকদের নতুন ধরনের চাষের পদ্ধতি দিয়ে সহায়তা করা তাঁদের কাজ। যাতে কৃষি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। এই কৃষকে তাঁরাই প্রথম মালচিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। এছাড়া তাঁর জমির মালচিং তাঁরাই প্রদান করেছিলেন। যাতে এই কৃষকের চাষের জমি দেখে আরও বহু কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। যাতে কৃষকদের খরচ কমে আসে অনেকটাই। এবং মুনাফা বাড়ে কয়েকগুণ।"
এক ফার্মার প্রডিউসার কোম্পানির সম্পাদক মোজাহিদ হোসেন জানান, “কৃষকদের নতুন ধরনের চাষের পদ্ধতি দিয়ে সহায়তা করা তাঁদের কাজ। যাতে কৃষি ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা সম্ভব হয়। এই কৃষকে তাঁরাই প্রথম মালচিং পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছেন। এছাড়া তাঁর জমির মালচিং তাঁরাই প্রদান করেছিলেন। যাতে এই কৃষকের চাষের জমি দেখে আরও বহু কৃষক এই পদ্ধতিতে চাষ করতে আগ্রহ প্রকাশ করে। যাতে কৃষকদের খরচ কমে আসে অনেকটাই। এবং মুনাফা বাড়ে কয়েকগুণ।”
তবে বর্তমান সময়ে এই বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করলে জমিতে আগাছার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে কীটনাশক কম প্রয়োজন। জলসেচ কম প্রয়োজন হয়। শুধু সামান্য কিছু খরচ করতে হয় মালচিংয়ের প্লাস্টিক কেনার জন্য।
তবে বর্তমান সময়ে এই বিশেষ পদ্ধতিতে চাষ করলে জমিতে আগাছার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে কীটনাশক কম প্রয়োজন। জলসেচ কম প্রয়োজন হয়। শুধু সামান্য কিছু খরচ করতে হয় মালচিংয়ের প্লাস্টিক কেনার জন্য।

Organic Farming: বিশেষ পদ্ধতিতে জৈব সার দিয়ে শসা চাষ করে অবিশ্বাস্য ফলন পান! এই গরমে হবে বিপুল আয়

দক্ষিণ দিনাজপুর: রাসায়নিক সার ত্যাগ করুন। সম্পূর্ণ জৈব পদ্ধতিতে বিশেষ উপায়ে শসা চাষ করে পান অবিশ্বাস্য ফলন। সেইসঙ্গে কৃষক ভাইদের হবে দুর্দান্ত আয়।

জৈব সারে শসার চাষ করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গাসাগর এলাকার বাসিন্দা কালিদাস চৌধুরী। নদীর চড়ে প্রায় দু’বিঘা জমিতে গত কয়েক বছর ধরে জৈব পদ্ধতিতে প্রচুর শসার চাষ করছেন তিনি। এবার শসা গাছের চেহারাও বেশ ভাল হয়েছে। সারা বছর শসার চাহিদাও থাকে বাজারে। বিশেষ করে এই গ্রীষ্মকালে শসার বিক্রি সবচেয়ে বেশি হয়।

আর‌ও পড়ুন: কলেজ স্ট্রিটের হাতছানি মেটাচ্ছে ছোট্ট গ্রামের এই কফি হাউস

জৈব পদ্ধতিতে শসা চাষ করে ভাল ফলন পাওয়া প্রসঙ্গে কৃষক কালিদাস চৌধুরী জানান, গ্রীষ্মকালীন শসা চাষে জৈব সার ব্যবহারের পরিমাণ বাড়িয়ে দিতে হবে। জৈব সার ব্যবহার করলে মাটির গুণাগুণ বৃদ্ধির পাশাপাশি গাছের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। এইসময় শসা চাষে জল সেচের পরিমাণ কমাতে হবে। জৈব পদ্ধতিতে চাষ করলে শসার গুণগত মান ভাল হয়। চাষ করার জন্য জমিতে গোবর সার, কম্পোস্ট সার, ছাই ইত্যাদি জৈব সার ব্যবহার করতে হবে। এছাড়াও জৈব কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। শসা চাষের জন্য পশ্চিমী হাওয়ার পাশাপাশি মৌমাছির প্রয়োজন। এতে সবজির গুণাগুণও নষ্ট হয় না।

যে জমিতে শসা চাষ করা হবে, সেখানে দোঁয়াশ মাটি হলে চাষ ভাল হবে। এক বিঘা জমিতে অন্তত ৫০ কেজি খোল আর দুই কুইন্টাল গোবর সার দিতে হবে। খোল ও গোবর সার মাটিতে ভাল করে মেশাতে হবে। তারপর মাটিতে গর্ত করে শসার চারাগাছ লাগাতে হয়। সাতদিন পর গোচনা ও ১৫ দিন পর কেঁচো সার বা কুইক সার মাটির গোড়ায় দিতে হবে। চারা বোনার ৩০ দিনের মাথায় আর্দশ তরল সার গাছের গোড়ায় দিতে হবে। প্রায় ৩০ দিন পর ওই গাছ থেকে ধীরে ধীরে মাটি থেকে লতানো বের হয়ে শসা বাড়তে শুরু করবে।

আর‌ও পড়ুন: গরমে যাত্রীদের স্বস্তি দিতে স্টেশনে বিশাল আয়োজন রেলের, হাওড়া-শিয়ালদায় গেলেই জুড়োবে প্রাণ

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে, শসা চাষের জন্য উঁচু, সুনিষ্কাশিত ও ভাল নিকাশী ব্যবস্থা সম্পন্ন জমি নির্বাচন করতে হবে। জমির পিএইচ ৫.৫ থেকে ৬.৫-এর মধ্যে হওয়া জরুরি। বীজ বপণের জন্য জমিতে লাইন তৈরি করে নিতে হবে। সেচ ও জল নিষ্কাশনের সুবিধাযুক্ত এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক পায় এমন জমি নির্বাচন করতে হবে। জমি প্রথমে ভালভাবে চাষ ও মই দিয়ে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেন জমিতে কোন‌ও আগাছা না থাকে। লাইন থেকে লাইনের দূরত্ব ৬০ থেকে ৭৫ সেমি এবং বীজ থেকে বীজের দূরত্ব ২৫ থেকে ৩০ সেমি রাখতে হবে। বীজ বপণের পর মাটি হালকাভাবে চাপা দিয়ে দিতে হবে। শসার বীজ অঙ্কুরোদগমের জন্য ১৮ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা প্রয়োজন। এইভাবেই জৈব উপায়ে শসা চাষ করে দ্বিগুন লাভ সম্ভব।

সুস্মিতা গোস্বামী