Tag Archives: Mountaineering

Jalpaiguri News: মনিরাং পর্বতশৃঙ্গ জয় জলপাইগুড়ির অভি‌যাত্রীদের! কেমন ছিল এই কঠিন পথ? শুনুন

জলপাইগুড়ি: ফের বিরাট জয় জলপাইগুড়ির পর্বতারোহীদের! খুশির আমেজ জেলা জুড়ে। ছোট শহর হলেও জলপাইগুড়িতে রয়েছে সংস্কৃতি থেকে শুরু করে ক্রীড়া কিংবা অভিনব পেশায় অগ্রগতির ছোঁয়া। এর আগেও বহু পর্বতারোহী দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ জয় করে এই জেলার নাম তথা দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন। ফের জলপাইগুড়ির পর্বতারোহীদের দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ জয়ে উচ্ছ্বসিত জলপাইগুড়িবাসী।

গত বুধবার ২১ অগাস্ট প্রায় ২১৬২৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট দুর্গম মনিরাং শৃঙ্গে শহরের অভিযাত্রীরা সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দেশের পতাকা এবং জলপাইগুড়ির পতাকা উড়িয়ে দেয়। অনেকের মনেই কৌতূহল জাগে, কীভাবে দুর্গম পর্বতশৃঙ্গ পেরোনো যায়? অভিযাত্রীদের অভিজ্ঞতা অপূর্ব। তাঁরা জানান, যাত্রা শুরু করে বরফের দেওয়াল ভেঙে প্রায় মাইনাস ১৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় তাঁরা জয় করেন এই শৃঙ্গ।

আরও পড়ুন: মৃতের শেষ ইচ্ছাপূরণে এক হয়ে গেল দুই দেশ, বিএসএফের তৎপরতায় ভাইয়ের শেষ দেখা পেলেন বোন

প্রায় ২০৪০০ ফুট উচ্চতায় পৌঁছনোর পর এক পর্বতারোহীর শারীরিক অসুস্থতা শুরু হয়। সেই পরিস্থিতির সামাল দিয়ে বরফের দেওয়াল পেরোনোর পর শুরু হয় কঠিন পাথরের দেওয়াল ভেঙে উপরে ওঠা। প্রায় ১০০০ মিটার দড়ি ফিক্স করা হয় সেই দেওয়ালে। ঠান্ডা হাওয়া সেই সঙ্গে ছোট ছোট পাথর উপর থেকে পড়ায় অভিযাত্রীদের শৃঙ্গের দিকে পৌঁছানো আরও কঠিন হয়ে যায়।

উল্লেখ্য, মনিরাং পর্বতশৃঙ্গের লক্ষ্যে নেচার অ্যান্ড ট্রেকার্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ি অভিযাত্রীরা গত ১২ অগাস্ট প্রায় ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় মূল শিবির বা বেস ক্যাম্প স্থাপন করেন। দু’দিন লোড ফেরির পর স্বাধীনতার দিবসের দিন আরেকটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয় ১৭ হাজার ফুট উচ্চতায়। এইভাবে পর্বতারোহনের সুবিধার জন্য প্রত্যেক উচ্চতায় ক্যাম্প গঠন করা হয়।

পরবর্তীতে খারাপ আবহাওয়া সত্ত্বেও প্রায় ২০ হাজার ফুট উচ্চতায় পাহাড়ের খাঁজে খুবই এক ছোট জায়গায় কোনও রকমে একটি তাঁবু লাগানো হয়। বিকেল থেকে রাত প্রায় দু’টো পর্যন্ত সেই তাঁবুতে কোনও রকমে বসে কাটানো হয়। আর তারপরেই শুরু হয়ে যায় চূড়ান্ত মিশনের প্রস্তুতি। তার জন্য স্নো বুট, আইস এক্স, হার্নেস, জুমার, ফেদার জ্যাকেট পরে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। বহু কঠিন পরিশ্রমের পর অবশেষে আসে সেই কাঙ্খিত জয়।

সুরজিৎ দে

Manirang Expedition: দুর্গম মনিরাং শৃঙ্গ অভিযানে জলপাইগুড়ির ৯ অভিযাত্রী

জলপাইগুড়ি: দুর্গম মনিরাং পর্বত শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে রওনা দিলেন জলপাইগুড়ির অভিযাত্রীরা। নেচার অ্যান্ড ট্রেকার্স ক্লাব অফ জলপাইগুড়ির সদস্যরা এই শৃঙ্গজয়ের অভিযানে বের হয়েছেন। অভিযাত্রী দলে দু’জন মহিলা সহ মোট নয় সদস্য আছেন।

শুক্রবার অর্থাৎ ৯ অগস্ট মানালি থেকে ‘মানে’ গ্রামের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে অভিযাত্রী দলটি। ৫ অগস্ট দলটি জলপাইগুড়ি থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ৬ তারিখ দিল্লি পৌঁছে ঐ দিনই মানালির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। ৭ অগস্ট অভিযাত্রী দলটি মানালি পৌঁছয়। মানালিতে দলটি দুইদিন অভিযানের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারে। সেখানে অভিযানের অন্যতম গাইড হর্ষ ঠাকুর দলের সঙ্গে যোগ দেন। মানালির বিখ্যাত হিড়িম্বা মন্দিরে মনিরাং অভিযাত্রীরা অভিযানের সাফল্য কামনায় পুজো দিয়েছেন।

আরও পড়ুন: হারিয়ে যেতে বসা কবিগান ফিরছে, আকৃষ্ট হচ্ছে নতুন প্রজন্ম

উল্লেখ্য, মনিরাং পর্বতশৃঙ্গ হিমাচল প্রদেশের লাহুল স্পিতি জেলার কাজা অঞ্চলে অবস্থিত। ২১,৬২৫ ফুট উচ্চতা এই শৃঙ্গের। ১১ অগস্ট বেস ক্যাম্প থেকে শৃঙ্গের উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করার কথা। মানে গ্রামে দলের সঙ্গে ‘কুক’ সহ অন্যান্য সহযোগীরা যোগ দেবেন। ১২ অগস্ট প্রায় পনেরো হাজার ফুট উচ্চতায় মুল শিবির স্থাপন করা হবে।

মূল শিবিরের উপরে বিভিন্ন উচ্চতাতে স্থাপিত হবে আরও তিনটি শিবির। আবহাওয়া ও বাকি সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২০ বা ২১ অগস্ট ২১৬২৫ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এই দুর্গম শৃঙ্গ আরোহণের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন অভিযাত্রী দলের নেতা ভাস্কর দাস।

সুরজিৎ দে

Summit Win: প্রথম ভারতীয় মহিলার হিমালয়ের রামজ্যাক শিখর জয়, নদিয়ার পর্বতারোহী সংগঠনের মুকুটে নতুন পালক

নদিয়া: কৃষ্ণনগরের মাউন্টেনারিং অ্যাসোসিয়েশন কৃষ্ণনগর (MAK) -র ১২ জন সদস্যর রামজ্যাক পর্বতের শিখর জয়, এই প্রথম কোনও ভারতীয় মহিলা এই শৃঙ্গে পৌছালেন। পশ্চিমবঙ্গের তিনটি বিদ্যালয়ের পতাকা উড়ল হিমাচলের রামজ্যাক (৬৩১৮ মিটার) পর্বতে।

এভারেস্ট জয়ী বসন্ত সিংহ রায়ের নেতৃত্বে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের মাউন্টেনারিং অ্যাসোসিয়েশন কৃষ্ণনগর (MAK) এর ১২ জন সদস্য ৩০ জুন রওনা দেন রামজ্যাক পর্বতের শিখর জয়ের উদ্দেশ্যে।

আরও পড়ুন – Airtel New Plan: আনলিমিটেড ডেটা! এয়ারটেলের ধাঁসু অফারে গ্রাহকরা দারুণ খুশি, একসঙ্গে এল একদম নতুন প্ল্যান

—- Polls module would be displayed here —-

১২ জনের দলে ৩ জন  শিক্ষক-শিক্ষিকা। এক জন রুম্পা দাস কুপার্স কলোনি বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষিকা । তিনি প্রথম মহিলা যিনি এই পর্বত শৃঙ্গ প্রথম জয় করলেন। এছাড়াও ২ জন শিক্ষক হলেন প্রশান্ত সিংহ, ভূগোল বিষয়ের শিক্ষক, নদিয়ার বামুন পুকুর হাই স্কুল (উঃমা), এবং উত্তর ২৪ পরগনার সুব্রত ঘোষ ইংরেজি বিষয়ের কাপাস হাটি মিলন বীথি হাইস্কুল।

হিমাচলের লাহুল জেলায় এই রামজ্যাক পর্বত। বসন্ত সিংহরায় জানান, ৪ জুলাই থেকে ট্রেক শুরু করে তাঁদের এই পর্বতারোহন দলটি পৌঁছায় চুমিনাকপোতে। সেখানেই বেস ক্যাম্প স্থাপন করা হয়, যার উচ্চতা ৪৬২০ মিটার। তারপর ধাপে ধাপে প্রথম ক্যাম্প ও দ্বিতীয় ক্যাম্পে পৌঁছায় দলটি। ১২ জন সদস্যের মধ্যে পাঁচ জন সদস্য ও তিন জন শেরপাকে নিয়ে মাউন্ট এভারেস্ট জয়ী বসন্ত সিংহ রায়ের নেতৃত্বে ১০ জুলাই ১ টার সময় সামিট করার জন্য বেরিয়ে পড়ে দলটি।

৬ জনের দলটির সদস্য হলেন বসন্ত সিংহ রায়, প্রশান্ত সিংহ, রুম্পা দাস, অসীম কুমার মন্ডল, সুব্রত ঘোষ ও যুদু দেবনাথ। ভোর ৪.৪৫ মিনিটে শৃঙ্গ জয় করেন। ২০২১ সালেও এই পর্বত সিংহ জয় করার জন্য বেরিয়েছিলেন কিন্তু সেবারে সফল হতে পারেননি কৃষ্ণনগর ম্যাকের সদস্যরা। এবারে শিখর ছুঁয়ে তারা খুবই আনন্দিত।

Mainak Debnath

Mountaineering: পাশ্চাত্যের সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয় করলেন বাঙালি তরুণ শুভম চ্যাটার্জী

হুগলি: ইউরোপের উচ্চতম পর্বতশৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস জয় করে, বাড়ি ফিরলেন উত্তরপাড়ার পর্বতারোহী শুভম চ্যাটার্জী। প্রথম কোন ভারতীয় যিনি এই আগ্নেয় পর্বত শৃঙ্গর শিখরে উত্তর দিক থেকে আহরণ করে উত্তর দিক থেকেই নেমেছেন। যা নজির সৃষ্টি করেছে পর্বতারোহনের ইতিহাসের পাতায়। মাত্র ২৮ বছর বয়সেই প্রথম বাঙালি যিনি পাশ্চাত্যের সর্বোচ্চ শৃঙ্গর পর্বতারোহন  করেছেন।

আরও পড়ুনঃ পুরনো বন্ধুত্ব ঝালিয়ে নিতে ইলিশ উৎসব, তমলুকের বুকে রসনা তৃপ্তি

ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট এলব্রুস। যা অবস্থান করছে রাশিয়ার মধ্যে। সেই শৃঙ্গ জয়ের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে পয়লা জুলাই রওনা দিয়েছিলেন হিন্দমোটরের বাসিন্দা শুভম চ্যাটার্জী। ৯ দিনের কঠিন চ্যালেঞ্জ কে অতিক্রম করে ৫৬৪২ মিটার উচ্চতায় পর্বত শৃঙ্গে আহরণ করে নজির সৃষ্টি করেছেন সুভম ওরফে রনি। নয় দিনের এই পর্বতারোহন কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল তরুণ এই পর্বতারোহীকে। একদিকে তুষারঝড় অন্যদিকে পাহাড়ি বরফের গর্ত। এইসব অতিক্রম করে ৯ জুলাই পাহাড়ের শিখরে দেশের জাতীয় পতাকা উত্তরণ করেছেন রনি। পাহাড়ি তুষার ঝরে পুড়ে গেছে, মুখের চামড়া। তবে সে সবকে পরোয়া না করে বাড়ি ফিরেই আবারও  প্রস্তুতি শুরু করেছেন নতুন যাত্রার।

বলা চলে শুভম প্রথম বাঙালি যে ইউরোপের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ সবথেকে দুর্গম পথ দিয়ে জয় করে এসেছেন। রনির কথায়, তার সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ভাষা। তার সহ-শেরপারা সকলেই রাশিয়ান হওয়ায় তাদের সঙ্গে একটু ভাষায় সমস্যা হচ্ছিল। দ্বিতীয়ত বড় চ্যালেঞ্জ ছিল তুষার ঝড় ও পাহাড়ের বরফের অদৃশ্য গর্ত। তবে সকলে মিলে একে অপরকে সাহায্য করে তারা এই দুর্গম শৃঙ্গ জয় করে এসেছেন।

বাড়ি ফিরেই এবার আবারো রনি প্রস্তুতি নিচ্ছে ওশিয়ানিয়ার সর্বোচ্চ শৃঙ্গে পৌঁছানোর। তার জন্য প্রস্তুতি ও শুরু হয়ে গেছে বাড়ি ফেরার পর থেকেই। কারণ তার স্বপ্ন সবথেকে কম সময়ের মধ্যে পৃথিবীর সাতটি সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ও সাতটি আগ্নেয়গিরির আরোহণ করা। সেই লক্ষ্যে অনড় থেকেই শুরু হয়েছে নতুনের প্রস্তুতি।

রাহী হালদার

Mountaineering: বাংলার পর্বতারোহণের ইতিহাসে নাম লেখালেন সোনারপুর আরোহীরা, জয় করলেন গুপ্তপর্বত

কলকাতাঃ তোমাদের পানে চাহিয়া বিস্ময়ের সীমা নাই। অতীতের বিখ্যাত একটি উক্তি একটু বদলে নিয়ে বললাম, ওদের উদ্দেশে। হ্যাঁ, ওরা সবাই আমাদের ঘরের বা পাশের বাড়ির ছেলেমেয়েরা। রুদ্র সত্য নৈতিক দেবাশিস জুনিয়র এবং আরও অনেকে, যারা মাঝে মাঝে ঘর ছেড়ে হিমালয়ের গোপনপুরে যায়। আপনারা চেনেন। সমতলে ওরা সহজ সরল বিনয়ী। এবং ওরাই দুর্গমের দেশে দুর্দমনীয় অকুতোভয় অপ্রতিরোধ্য। হেন অ্যাডভেঞ্চার ব্রিগেডকে থামাবে কে? থামার কথাও নয়। এই ক’বছরে আরোহণের মানচিত্রে নিত্যনতুন ফ্ল্যাগ পোস্ট করে ইতিহাস সৃষ্টি করে ফেলেছে আরোহীর তরুণ অভিযাত্রীরা। যা আপাত অসম্ভব তাঁকে বারবার সম্ভব করে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। অসম্ভব শব্দটাকেই ওরা মুছে দিয়েছে ‘আরোহী’ তথা আরোহণের অভিধান থেকে। বছর দুই আগে জোড়া পর্বতশিখর ‘ইন্দ্রাসন’ ও ‘দেওটিব্বা’য়, গতবছর কিস্তোয়ারের ব্রহ্মা শিখরে, এবছর পিরপাঞ্জাল –এর গোপন চূড়ো গুপ্তপর্বতে। হিমালয়ে ইতিহাস রচনায় একেবারে টাটকা হ্যাটট্রিক! প্রশ্ন হ’ল, এরপর কী?

আরও পড়ুনঃ বাংলার পর্বতারোহীদের জন্য দারুণ খবর, গুপ্তপর্বত সামিটে সফল সোনারপুর আরোহীর সদস্যরা

একেবারে লোকচক্ষুর আড়ালে থাকা গুপ্তপর্বত আর গুপ্ত রইল না। আরোহীর Magnificient Nine তার শিরে বিজয়পতাকা উড়িয়ে দিয়েছে দুদিন আগে। প্রথম মানুষের পদচিহ্ন আঁকা হল সেখানে। এই নিউজ ঢের আগে ব্রেক হয়ে গেছে, আপনারা সব জানেন। কিন্তু গল্প তো এখানে শেষ নয়। যারা ভাবছিলেন এবারের মতো থ্রিল শেষ, তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি, আরও দুটো দিন গা-ছমছম ব্যাপারটা উপভোগ করুন। কাহিনি এখনও অনেকটা বাকি। আরে, ভুলে গেছেন? এবারেও তো জোড়া পর্বতের লক্ষ্য ছিল। শুধু গুপ্তপর্বত নয়, সঙ্গে শিকরবেহ্‌ ছিল যে। আসলে শিকরবেহ্‌ সামিট করার লক্ষ্যেই প্রথম মন দিয়েছিল রুদ্ররা, সেইমতো রুট ওপেন হয়ে গিয়েছিল অনেকটা। শিকরবেহ্‌’র ডাইনে বাঁয়ে সামিট-মুখি কোনও ঠিকঠাক গিরিশিরা খুঁজে না পেয়ে ওরা প্রায় ৩,৫০০ ফুটের Face Wall Climb করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সেই প্ল্যানমাফিক অন্তত ২০০০ ফুট Rope Fixing সারা হয়েছিল। পরিস্থিতি বেশ অনুকূল-ই মনে হচ্ছিল; কিন্তু ওই যা হয়, এক আচমকা তুষারধস সবকিছু ওলটপালট করে দিল। দড়িদড়া, পোল-পিটন, ইত্যাদি দু-চার মিনিটের মধ্যে উধাও। এ ঘটনা ঘটেছে গুপ্তপর্বত অভিযানের আগে। বলাবাহুল্য, আরোহী shocked হলেও বিপর্যস্ত হয়নি। তাদের চিন্তায় তখন প্ল্যান-বি কাজ করছে।

এখনকার ব্রেকিং নিউজ হচ্ছে, ওরা একদিনের বিশ্রামে বসে আবার মতলব ভেঁজেছে এবং শিকরবেহ্‌ সামিটের উদ্যোগ নিয়েছে নতুন করে। না, এবারেও কোনও গিরিশিরা নয়, Face Wall Climb হবে। কেননা গিরিশিরা আর সামিটের মাঝখানে বেশ কিছু barrier summit আছে। সেগুলি negotiable নয়। কাজেই, সেই ৩৫০০ ফুটের খাড়াই পর্বতের মহড়া! এমতো সব ঠিকঠাক ছিল। বাধ সাধল দুই শেরপা। দুজনেরই মনে অদ্ভুত এক ভৌতিক আতঙ্ক চেপে বসেছে। ওদিকে গেলে নাকি দেবতা বিরূপ হবে, তাদের মাথায় সর্বনাশ নেমে আসবে। শেরপা সরদার ফুরসেম্বা লম্বা সময় লেকচার দিয়ে, হাজার বুঝিয়ে, খানিক ওঝাগিরি করে কোনওমতে তাঁদের যাত্রায় শামিল করতে পেরেছে। দেখা যাক। যাওয়া যে হচ্ছে, এটা স্থির নিশ্চিত। গতকাল খানিকটা রুট ওপেন হয়েছে, বাকিটা আজ। আজ সারাদিন লেগে যাবে। ৩৫০০ ফুট Rope Fixing কম কথা নয়। তাছাড়া, অন্যান্য সমস্যা আছে। রেশন ফুয়েল কমে এসেছে। বিকেল হলে নালাগুলো নদী হয়ে যায়, নেতৃত্ব খতিয়ে দেখছে সব। দ্রুত সিদ্ধান্তে বেসক্যাম্পে নেমে গেছে দেবাশিস, তুহিন ও শেরপা তেনজিং। একটা সুখবর হল, দলে একজন নতুন সদস্য যোগ দিচ্ছেন, ডাঃ অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। তিনি নতুন বেসক্যাম্প ম্যানেজার। কাল তিনি ট্রানজিট ক্যাম্পে ছিলেন, আজ বেসক্যাম্পে পৌঁছবেন। সত্যরূপ তাঁকে রিসিভ করতে গেল।

সব ঠিকঠাক চললে (চলবে তো বটেই) আগামীকাল আরও একটা ইতিহাস, আরও একটা বিজয়পতাকা উড়বে আকাশে, সূর্যকরোজ্জ্বল বাতাস বয়ে যাবে আমাদের এই ভ্যাপসা গুমোট শহর বা শহরতলী জুড়ে। সঙ্গে থাকুন।

বাংলার পর্বতারোহীদের জন্য দারুণ খবর, গুপ্তপর্বত সামিটে সফল সোনারপুর আরোহীর সদস্যরা

আবীর ঘোষাল, কলকাতা: বাংলার পর্বতারোহীদের জন্য দারুণ খবর। গুপ্তপর্বত সামিটে সফল সোনারপুর আরোহীর সদস্যরা। অত্যন্ত কঠিন এই পর্বতারোহণ। মঙ্গলবার সকালে সেই সামিট সম্পূর্ণ করলেন মোট ৯ জন পর্বতারোহী। ৬,১৫৯ মিটার উচ্চতার এই পর্বত সামিট অত্যন্ত কঠিন। কোনও বাঙালি পর্বতারোহীরা প্রথম এই সামিট করলেন।

আরও পড়ুন- বিশ্বের সেরা কুড়ির তালিকায় উড়ান ভিস্তারার, পিছিয়ে নেই এয়ার ইন্ডিয়াও; দেখে নিন বিশ্বের সেরা এয়ারলাইন্সের তালিকা

গুপ্ত পর্বতও সত্যিই যেন গুপ্ত! এর উচ্চতা ৬ হাজার ১৫৯ মিটার। বিভিন্ন সময় পরিব্রাজক ও অভিযাত্রীরা এই পর্বতের কথা জানালেও এখনও পর্যন্ত এর কোনও ছবি নেই। লে-মানালি জাতীয় সড়ক থেকে ৪ কিলোমিটার এবং অটলবিহারী মাউন্টেনিয়ারিং ইনস্টিটিউট অ্যান্ড অ্যালায়েড স্পোর্টসের বেস ক্যাম্পের পাশেই অবস্থিত এই দু’টি পর্বত।


আরও পড়ুন– সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে ভিক্ষাবৃত্তি, রাতের আঁধার নামতেই রূপ বদলে যায় ভিক্ষুকের; ভাইরাল ভিডিও দেখে চক্ষু চড়কগাছ নেটিজেনদের!

রুদ্রপ্রদাস হালদারের নেতৃত্বে এই পর্বতারোহী দলে ছিলেন সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, চয়ন চট্টোপাধ্যায়, দেবাশিস মজুমদার, তুহিন ভট্টাচার্য, নৈতিক নস্কর, ডাঃ উদ্দীপন হালদার, দীপাশ্রী পাল ও নন্দিশ কালিমানি। গত ৩০ মে তাঁরা রওনা দিয়েছিলেন। অভিযাত্রীদের শুভেচ্ছা জানান বসন্ত সিংহ রায়, রানা নাথ, প্রভাতকুমার গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। প্রসঙ্গত এর আগে প্রথম ভারতীয় হিসেবে গতবছর মাউন্ট ব্রহ্মা জয় করেছিল সোনারপুর আরোহী। ২০২২ সালে মাউন্ট ইন্দ্রাসন ও দেওট্টিব্বা আরোহণ করেছিলেন তাঁরা।এবার আরও একটি বিশ্ব রেকর্ড তাদের ঝুলিতে।

Mount Everest Conquerer Funjo Lama: ১৪ ঘণ্টায় এভারেস্ট বিজয়! দ্রুততম মহিলা পর্বতারোহী হিসেবে বিশ্বের শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছে রেকর্ড ফুঞ্জো লামার 

মাত্রা সাড়ে ১৪ ঘণ্টাতেই এভারেস্টের শিখর জয় করে রেকর্ড গড়লেন ফুঞ্জ লামা । এত কম সময়ে এর আগে আর কোনও মহিলা পর্বতারোহীর এভারেস্ট জয়ের কৃতিত্ব নেই।
মাত্রা সাড়ে ১৪ ঘণ্টাতেই এভারেস্টের শিখর জয় করলেন ফুঞ্জো লামা। এত কম সময়ে এর আগে আর কোনও মহিলা পর্বতারোহীর এভারেস্ট জয়ের কৃতিত্ব নেই।
দ্রুততম মহিলা এভারেস্টজয়ী হিসেবে ইতিহাস লিখলেন নেপালের পর্বতারোহী ফুঞ্জো লামা। তিরিশ বছর বয়সে মহিলা পর্বতারোহী ফুঞ্জো এই রেকর্ড গড়েছেন।
দ্রুততম মহিলা এভারেস্টজয়ী হিসেবে ইতিহাস লিখলেন নেপালের পর্বতারোহী ফুঞ্জো লামা। তিরিশ বছর বয়সে মহিলা পর্বতারোহী ফুঞ্জো এই রেকর্ড গড়েছেন।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট ছুঁতে সাধারণত কয়েক দিন সময় নেন পর্বতারোহীরা। বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন ক্যাম্পে রাত কাটিয়ে উচ্চতার সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিয়ে এভারেস্টের শিখর জয় করেন পর্বতারোহীরা।
পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ এভারেস্ট ছুঁতে সাধারণত কয়েক দিন সময় নেন পর্বতারোহীরা। বিভিন্ন উচ্চতায় বিভিন্ন ক্যাম্পে রাত কাটিয়ে উচ্চতার সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিয়ে এভারেস্টের শিখর জয় করেন পর্বতারোহীরা।
কিন্তু একদিনেরও কময় সময়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ছুঁলেন ফুঞ্জো লামা। সেখানে মাত্র ১৪ ঘণ্টা ৩১ মিনিটেই শিখর স্পর্শ করেছেন ফুঞ্জো।
কিন্তু একদিনেরও কময় সময়ে পৃথিবীর সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ছুঁলেন ফুঞ্জো লামা। সেখানে মাত্র ১৪ ঘণ্টা ৩১ মিনিটেই শিখর স্পর্শ করেছেন ফুঞ্জো।
জানা গিয়েছে, ফুঞ্জো লামা গত ২২ মে বেলা ৩টা ৫২ মিনিটে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং ২৩ মে সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছে যান।
জানা গিয়েছে, ফুঞ্জো লামা গত ২২ মে বেলা ৩টা ৫২ মিনিটে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেছিলেন এবং ২৩ মে সকাল ৬টা ২৩ মিনিটে এভারেস্ট চূড়ায় পৌঁছে যান।