১ কোটি নগদ, ১ কেজি সোনা, জমির দলিল; বিহারের প্রাক্তন কাউন্সিলারের বাড়ি তল্লাশিতে কুবেরের ধন পেল আয়কর দফতর

১ কোটি নগদ, ১ কেজি সোনা, জমির দলিল! বিহারের প্রাক্তন কাউন্সিলারের বাড়ি তল্লাশিতে কুবেরের ধন পেল আয়কর দফতর

মুজফ্ফরপুর: বিহারের মুজাফফরপুরের প্রাক্তন কাউন্সিলার বিজয় কুমার ঝা-র বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর দফতর। তিনদিন ধরে চলছে তল্লাশি। অবৈধ জমির ব্যবসা এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে বিজয়ের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, তল্লাশিতে প্রাক্তন কাউন্সিলারের বাড়ি থেকে বিপুল সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে। আয়কর দফতর প্রথম দিন তাঁর বাড়ি থেকে নগদ ১ কোটি টাকা এবং তাঁর স্কুল থেকে ৫টি অস্ত্র উদ্ধার করেছিল। দ্বিতীয় দিন ব্যাঙ্কের লকার থেকে ১ কেজি সোনা এবং কিছু নগদ উদ্ধার হয়।

আরও পড়ুন– ট্রলি ব্যাগ নিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস থেকে নামলেন যুবক, তক্কে তক্কে ছিল জিআরপি, ব্যাগ খুলতেই সবাই অবাক

এখন পর্যন্ত কোটি টাকার বিনিয়োগের দলিল, কোটি টাকার জমির দলিল এবং সাদা কাগজে স্ট্যাম্প ও স্বাক্ষর করা দলিল উদ্ধার করা হয়েছে। বিজয়ের মালিকানাধীন বিবাহ ভবন থেকে ৬ বোতল মদ উদ্ধার হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। আয়কর বিভাগের একটি দল প্রাক্তন কাউন্সিলর বিজয় ঝা এবং তাঁর স্ত্রী বর্তমান কাউন্সিলর সীমা ঝাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

আরও পড়ুন- উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে হুড়মুড় করে ট্রেনে উঠতেই বিপত্তি, একেবারে হাতেনাতে ধরলেন টিকিট পরীক্ষকরা; তারপর…

স্ত্রী সীমা ঝা ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দু’জনেই জেলে পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এর আগে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষককেও জেলে পাঠিয়েছে আয়কর দফতর। অভিযুক্ত প্রাক্তন কাউন্সিলার বিজয় কুমার ঝা পেশায় আইনজীবী। বহুদিন ধরেই তাঁর বিরুদ্ধে বেআইনি সম্পত্তির লেনদেন এবং মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। বিজয় কুমার ঝা মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনে চুক্তিভিত্তিক কাজও করেন। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী সীমা ঝা পুরসভার ৪১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আয়কর দফতরের একাধিক দল প্রাক্তন ওয়ার্ড কাউন্সিলর বিজয় কুমার ঝা-এর নামে থাকা বিভিন্ন সম্পত্তিতে একযোগে হানা দেয়।

এর আগে ৮০ লাখ টাকা নগদ পাওয়া গিয়েছিল: বলে রাখা ভাল, বিহারের মুজাফফরপুরের ওয়ার্ড কাউন্সিলর সীমা ঝা-এর নামে থাকা সম্পত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে তিনটি জায়গা থেকে ৮০ লক্ষ টাকা নগদ উদ্ধার করে আয়কর দফতর। অনেক জায়গায় নগদ টাকা ছাড়াও বিনিয়োগ সংক্রান্ত নথি, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-সহ অন্যান্য জিনিসও উদ্ধার হয়। বর্তমানে উদ্ধার হওয়া যাবতীয় নথি খতিয়ে দেখছে আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। তদন্ত শেষে অবৈধ সম্পত্তির আসল পরিমাণ জানা যাবে।