দুধ একটি পুষ্টিকর খাবার। প্রায় সবাই কম-বেশি দুধ বিভিন্ন উপায়ে খান। আমরা সবাই জানি কী ভাবে দুধ খেতে হয়? অনেকেই যদিও জানেন না দুধ পানের আসল উপকারিতা এবং এর নানাবিধ ক্ষতির কথা। আজ আমরা এই প্রতিবেদনে এমনই কিছু বিষয়ে আলোকপাত করব।সাধারণ জ্ঞান প্রতিটা মানুষেরই থাকা জরুরি। এমন অনেক সাধারণ জ্ঞান রয়েছে যা আমাদের ঘরোয়া আড্ডা থেকে চাকরির পরীক্ষা সবেতেই কাজে লাগে। এমন অনেক কিছু রয়েছে যা জানলে আমাদের স্বাস্থ্য সচেতনতাও বাড়ে।আজ আমরা আপনাকে এমনই একটি বিষয় যা আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় কোনও না কোনওভাবে জুড়ে থাকে সেই দুধ নিয়ে নানা অবাক করা কিছু সাধারণ জ্ঞান শেয়ার করব যা জানলে আপনিও চমকে যাবেন।দুধকে পূর্ণাঙ্গ খাদ্যের মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এর কারণ হল দুধ বেশ পুষ্টিকর। দুধ কীভাবে খাওয়া উচিত এবং কীভাবে খাওয়া উচিত নয় সে সম্পর্কে খুব কম লোকেরই সম্যক জ্ঞান রয়েছে।আসলে দুধ পুষ্টিকর, তবে এর মানে এই নয় যে আপনি এটি কিছু দিয়ে খেতে পারেন। কখনও কখনও এটি আপনার শরীরের সমস্যাও বাড়িয়ে দিতে পারে।সকালে খালি পেটে দুধ পান করা উচিত নয়। কারণ কোষ্ঠকাঠিন্য এবং গ্যাসের সমস্যা হতে পারে এর ফলে। খালি পেটে দুধ পান করলে পেটে অ্যাসিড, ক্র্যাম্প এবং বমির মতো সমস্যাও হতে পারে।কাঁচা দুধ নাকি গরম দুধ? কোন দুধ শরীরে বেশি পুষ্টি জোগাবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, দুধ গরম করলে এর অনেক পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়, তাই কাঁচা দুধ ভাল। কিন্তু এর যেমন সুবিধা আছে, তেমনি এর অসুবিধাও আছে। কাঁচা দুধ খেলে বা পান করলে এর ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রে জমে।তরমুজ, সাইট্রাস ফল এবং কলা জাতীয় কিছু ফল দিয়ে দুধ পান করা ঠিক নয়। নোনতা জিনিস যেমন সামোসা, পরোটা, খিচুড়ি দিয়ে খাওয়া উচিত নয়।দুধে লবণ যোগ করা বা নোনতা পনিরের সঙ্গে দুধ খাওয়া সোডিয়াম এবং ল্যাকটোজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। এটি আপনার রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং হৃদরোগের মতো রোগকে ট্রিগার করতে পারে।গরম দুধ পানের উপকারিতা কী? প্রতি রাতে এক গ্লাস গরম দুধ পান করা ভাল। এভাবে দুধ পান করলে তা পরের দিনের জন্য শক্তি সঞ্চয় করে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দুধ পান করলে মাংসপেশির বিকাশেও সাহায্য করে।কোন রোগে দুধ পান করা উচিত নয়? জন্ডিস, ডায়রিয়া এবং আমাশয়ের মতো সমস্যায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের দুধ পান করা থেকে বিরত থাকতে হবে।হলুদের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে পান করলে কী কী উপকার পাওয়া যায়? দুধ ও হলুদ একসঙ্গে খেলে হজমশক্তি ভাল হয়। এটি হাত ও পায়ের ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে, এটি জ্বর এবং সর্দি কাশির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়ক।