কাঁঠাল পাকার আগেই রপ্তানি করা হচ্ছে ভিন রাজ্যে

Nadia News: কাঁঠাল নয় এঁচোড়েই বেশি লাভ! নদিয়া থেকে গাড়ি ভরে পাড়ি দিচ্ছে ভিন রাজ্যে

নদিয়া: গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল! কাঁঠাল নয় এচোড় বেঁচেই হচ্ছে ভাল লাভ, তাই ফলন বাড়াতে এঁচোড় চাষে হিড়িক। নদিয়ার এঁচোড় বিক্রি হচ্ছে ভিন রাজ্যে। একে মরশুমি ফল অপরদিকে গাছের ফলন বাড়াতে এবং লাভের আশায় একাধিক কাঁঠাল ব্যবসায়ী তাদের গাছের কাঁঠাল অর্থাৎ কাঁচা অবস্থাতেই এঁচোড় বিক্রি করছেন আড়তে । এ বিষয়ে চাষিরা জানাচ্ছেন কাঁঠালের থেকে এঁচোড়ের চাহিদা সবসময় বেশি। কাঁঠাল পেকে গেলে দাম পাওয়া যায় না কিন্তু এঁচোড় বিক্রিতে দাম পাওয়া যায় বেশ ভাল, তাতে মুনাফাও হয় অনেক এবং গাছের ফলন বৃদ্ধি হয় বেশি। চাষিরা প্রতি কেজি এঁচোড় আট থেকে নয় টাকা দামে বিক্রি করছে আড়তে । আর সেই এঁচোড় ভিন রাজ্যে গিয়ে বিক্রি হচ্ছে কোন সময় ২০ টাকা কোন সময় ১৮ টাকায়।

আরও পড়ুন: সমাজের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে সব নিয়ম মেনে মাথা মুড়িয়ে বাবার পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন মেয়ের

চাষীদের কথায় এঁচোড় বিক্রি করলে তার লভ্যাংশ বেশি পাওয়া যায় কিন্তু কাঁঠাল পেকে যাওয়ার পর বিক্রি করলে দুই থেকে তিন টাকা প্রতি কিলোতে বিক্রি করতে হয়, তাতে করে লাভ হয় না বলেই চলে। অন্যদিকে পাকা ফল পাঠানো যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ তাই কাঁচা এই এঁচোড় ভিন রাজ্যে পাঠাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। লরিতে বিচুলি, হোগলা পাতা দিয়ে চারিদিক মুড়ে ফেলে বস্তায় এঁচোড় এবং গাছের পাতা দিয়ে বিশেষভাবে সিল করা হয় বস্তার মুখ। তারপর গাড়িতে লোড করা হয়ে গেলে বস্তার উপর দিয়ে দিয়ে দেওয়া হয একাধিক কচুরিপানা যাতে করে ২৭ থেকে ২৮ ঘন্টা ঠান্ডা থাকে এই কাঁচা এচোড়। তার কারণ তীব্র দাবদহে সবজি নষ্ট হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, তাই এই বিশেষ কৌশল অবলম্বন করা হয় এচোড় রফতানিতে।

আরও পড়ুন:  উচ্চ মাধ্যমিকের পর কী বিষয় নিয়ে পড়বেন? আর চিন্তা নেই, রয়েছে ভবিষ্যৎ গড়ার দারুণ সুযোগ 

অপরদিকে এই এঁচোড় বিক্রি প্রসঙ্গে আড়তের মালিক জানাচ্ছেন, প্রতিবছরই তারা মরশুমিফলের রফতানি করে থাকেন। আম, কাঁঠাল, লিচু সমস্ত কিছুই ভিন রাজ্যে পাঠানো হয়, সেরকমই কাঁঠাল পেকে যাওয়ার আগে এঁচোড় অবস্থাতেই বিক্রি করে দেওয়া হয় ভিন রাজ্যে। গাড়ি ভাড়া এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা, তবে পেট্রোলের দাম বাড়াতে রফতানি খরচ বেশি হওয়ায় ভিন রাজ্যে গিয়ে এই সবজির দাম অনেকটাই বেড়ে যায়। এলাকার শতাধিক চাষী তাদের গাছের এঁচোড় ভিন রাজ্যে বিক্রি করার জন্য সকাল থেকেই চলে আসেন আড়তে দুটো মুনাফা পাওয়ার আশায়।অপরদিকে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মচারীরা জানান এই কাজের ওপরেই তাদের রুজি রুটি। মরশুমি ফলের ওপরেই সংসারটা চলে কোন রকমে, ২৬ থেকে ২৭ জন কর্মচারী প্রতিদিন এঁচোড় প্যাকিং এবং গাড়িতে লোডিং করে দুটো অর্থ উপার্জন করে পরিবারের মুখে হাসি ফোটান। তাই কর্মসংস্থানের ও নতুন দিশা দেখাচ্ছে মরশুমি ফলের এই আড়তে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

Mainak Debnath