প্রতীকী ছবি

NEET UG 2024: পরীক্ষা ‘প্রহসনে’ NTA-র ডিজি অপসারণ, NEET-UG-তেও কি বড়সড় দুর্নীতি? সিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

নয়াদিল্লি: ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষা নিট ইউজি ২০২৪-এর ফলাফল প্রকাশের পর থেকেই অভিযোগ উঠেছিল দুর্নীতির। একসঙ্গে ৬৭ জন প্রথম স্থান দখল করার পরই শুরু হয় বিতর্ক। গত ১৩ জুন সুপ্রিম কোর্ট এই পরীক্ষায় ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থীকে গ্রেস মার্কস বা বাড়িতে নম্বর দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশ দিয়েছিল পুনরায় পরীক্ষার। শনিবার দুর্নীতির অভিযোগে কেন্দ্রীয় সরকার এই গোটা পরীক্ষার তদন্তভার দিল সিবিআই-কে।

কেন্দ্রের নির্দেশ, নিট-ইউজি নিয়ে এখনও পর্যন্ত যত অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্ত করবে সিবিআই। পরীক্ষার আগে প্রশ্ন ফাঁস হয়েছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হবে। পরীক্ষা প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: ‘বিশ্বের সেরা স্কুলের পুরস্কার’-এ সেরা ১০-এ জায়গা পেল ভারতের এই ৫ স্কুল, তালিকায় কোন কোন স্কুল জানেন?

শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে সিবিআই তদন্তের নির্দেশের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রক। সেখানে বলা হয়েছে, ‘নিট পরীক্ষা নিয়ে নির্দিষ্ট কিছু অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষাকেন্দ্রে টুকলি করা, এক জনের পরীক্ষা অন্য জনের দেওয়া, অসৎ উপায় অবলম্বন করা ইত্যাদি অভিযোগ রয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রক বিষয়টি খতিয়ে দেখেছে। পরীক্ষার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখতে সিবিআইয়ের হাতে এর তদন্তভার তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

আরও পড়ুন: দেশের সেরা ১০ মেডিক্যাল কলেজ: প্রথম স্থানে দিল্লির এইমস, তালিকায় ৩ বেসরকারি কলেজও! রইল খুঁটিনাটি

দেশ জুড়ে বিতর্ক চলছে কেন্দ্রীয় পরীক্ষক সংখ্যা ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ নিয়ে। ইউজিসি নেট, নিট ইউজি, নিট পিজি-সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ছাত্রছাত্রীরা। বিতর্কের মধ্যেই শনিবার বড় সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। অপসারিত হন এনটিএ-র ডিরেক্টর জেনারেল সুবোধ কুমার। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নিতে চলেছেন ১৯৮৫ সালের ব্যাচের আইপিএস প্রদীপ সিং খারোলা। তারই সঙ্গে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হয়।

গত ৫ মে নিট-ইউজি পরীক্ষা হয়। দেশ জুড়ে ৪,৭৫০টি কেন্দ্রে ওই পরীক্ষা হয়েছিল। পরীক্ষা দিয়েছিলেন প্রায় ২৪ লক্ষ পড়ুয়া। ফলপ্রকাশের নির্ধারিত সময়ের অন্তত ১০ দিন আগে গত ৪ জুন এই পরীক্ষার ফলাফল ঘোষিত হয়। দেখা যায়, ৬৭ জন সম্পূর্ণ নম্বর নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন। এক নম্বরও তাঁদের কাটা যায়নি। এমনকি, এই ৬৭ জনের মধ্যে অনেকে একই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিয়েছেন বলেও জানা যায়। ফলে প্রশ্ন ওঠে, পরীক্ষার আগেই নির্দিষ্ট কোনও কোনও এলাকায় প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছিল কি না।