দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন। (সংরক্ষিত ছবি)

New Industrial Investment : দুর্গাপুরে ৮ হাজার কোটি বিনিয়োগ ডিভিসি’র, নতুন সম্ভাবনা শিল্প শহরে

পশ্চিম বর্ধমান: বাংলায় বিপুল বিনিয়োগের সুসংবাদ। দুর্গাপুরে বড় বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ডিভিসি’র। ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে শিল্প শহরে তৈরি হবে নতুন ইউনিট। দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশন অর্থাৎ ডিটিপিএসে নতুন একটি ইউনিট তৈরি করবে ডিভিসি। বিপুল পরিমাণ টাকা ব্যয়ে তৈরি হবে ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন ইউনিটটি। ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে যাওয়া ইউনিটগুলি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।

নতুন ইউনিট তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই ঘুরে দেখেছেন ডিভিসি’র চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার। জানা গিয়েছে, বন্ধ ইউনিটগুলি ডিসমেন্টাল করার কাজ আগামী নভেম্বর বা ডিসেম্বর মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তারপর শুরু হয়ে যাবে নতুন ইউনিট তৈরির কাজ। তাছাড়াও দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনকে ফের আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে অন্যান্য সমস্যাগুলি মেটানোর কাজও চলছে। প্রসঙ্গত, দুর্গাপুর থার্মাল পাওয়ার স্টেশনের পুরানো ইউনিটগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তারপরই নতুন ইউনিট তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। ৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ৮০০ মেগাওয়াট সম্পন্ন অত্যাধুনিক ইউনিট তৈরি করতে চলেছে ডিভিসি।

আরও পড়ুন: আশঙ্কা সত্যি করে হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল স্কুল ভবন

নতুন ইউনিট তৈরি সফল বাস্তবায়নের জন্য নানাভাবে পরিকল্পনা করছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। তাছাড়াও পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে যে সমস্ত জট রয়েছে, সেগুলিও কাটিয়ে ফেলার জন্য সবরকম চেষ্টা চলছে। কিন্তু এসবের মধ্যেই দেখা দিয়েছে নতুন জট। নতুন ইউনিট তৈরির আগে কারখানা সংলগ্ন জমিতে যে বস্তি রয়েছে, তা উচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওই এলাকায় বসবাসকারী মানুষজন বলছেন, আগে তাঁদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে ওই জায়গায় বসবাস করছেন। তবে পুনর্বাসনের জন্য ডিভিসি কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এখনও কোনওরকম আশ্বাস পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে সকলেই চাইছেন, সবরকম জট কেটে দ্রুত নতুন ইউনিট তৈরির কাজ শুরু করুক ডিভিসি। ৮০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন নতুন ইউনিট শুরু হলে শহরে বিদ্যুতের ঘাটতি অনেক কমবে। শিল্প শহরে আবার নতুন নতুন কারখানা আসবে বলে আশা করছেন অনেকে। তাছাড়া প্রচুর মানুষের কর্মসংস্থান‌ও হবে। সবমিলিয়ে দুর্গাপুর শহরের আর্থসামাজিক উন্নতি হবে। সার্বিকভাবে উন্নতি গতি পাবে অনেকটা।

নয়ন ঘোষ