নীলের দিন মন্দিরে পুণ্যার্থীর ভিড় 

Nil Shasthi: নীলের ব্রত পালনে মন্দিরে মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভিড়

পূর্ব মেদিনীপুর: বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। চৈত্র মাসে শিবের গাজন ও চড়ক পুজোর মাধ্যমে শেষ হয় বাংলা বছর। গাজন ও চড়ক পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল নীল পুজো। প্রচলিত বিশ্বাস, নীল পুজোর দিন মহাদেবকে তুষ্ট করলেই পূর্ণ হয় মনস্কামনা। ফলে এই নীল পুজোর দিন পূর্ণ্যার্থীদের শিব মন্দিরে মন্দিরে ভিড় করতে দেখা যায়। নীল পুজোর আগে ভক্তরা মন্দিরে মন্দিরে মানতের পুজো দেন, শিবের মাথায় জল ঢেলে ভঙ্গ করেন ব্রত।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত মিরিকপুর গ্রামের প্রাচীন চন্দ্রেশ্বর মন্দিরে নীল পুজো উপলক্ষে এদিন পূর্ণার্থীদের ভিড় নজরে এল। গ্রামবাংলার অন্যতম প্রাচীন ও লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক গাজন উৎসব। গ্রাম বাংলার শিব মন্দিরে মন্দিরে চৈত্র মাসে এই গাজন উৎসব পালিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়ক পুজোর মাধ্যমে শেষ হয় গাজন উৎসব। এই গাজন উৎসবের মূল হল নীল পুজো। নীল পুজো অর্থাৎ হর পার্বতীর মিলন উৎসব। নীল পুজো উপলক্ষে শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য নদী থেকে জল তুলে বিভিন্ন শিব মন্দিরে এসে শিবলিঙ্গে জল ঢালেন পুণ্যার্থীরা।

আর‌ও পড়ুন: চৈত্র শেষে গাজন উৎসব গোটা জেলায়

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বেশ কিছু প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর চৈত্র মাসে গাজন উৎসব ও নেই পুজো হয়ে থাকে। তমলুক ব্লকের মিরিকপুর গ্রামের চন্দ্রেশ্বর জিউ শিব মন্দিরে গাজন উৎসব উপলক্ষে নীলর দিন সন্ন্যাসী সহ পুণ্যার্থীর জল, দুধ ঢালার ভিড় দেখা যায়। বহু পুণ্যার্থী জল ও দুধ দিয়ে পুজো দিতে আসেন আসেন প্রায় ২০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রেশ্বর জীউ শিব মন্দিরে।

তমলুকের রূপনারায়ণ নদী থেকে জল তুলে পায়ে হেঁটে মন্দিরে আসেন পূর্ণার্থীরা। কথিত আছে এই মন্দিরে দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে পুণ্যার্থীরা যা মানত করেন সেই মনস্কামনা পূরণ হয়। ফলে প্রতিবছর মন্দিরে পুণ্যার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

সৈকত শী