Tag Archives: Pilgrims

10 Injured in Amarnath Yatra: তীর্থে বিপদ! অমরনাথ যাত্রা শেষে চলন্ত বাস থেকে লাফ ১০ যাত্রীর

জম্মু কাশ্মীর- আবার তীর্থে বিপত্তি। অমরনাথ দর্শন শেষে ফিরতি পথে নিয়ন্ত্রণ হারাল বাস। ব্রেক ফেল করেছে জানা মাত্রই চলন্ত বাস থেকে নামতে গিয়ে আহত হলেন ১০ জন তীর্থযাত্রী। জম্মু কাশ্মীরের রম্বন জেলায় জাতীয় সড়কের উপর এই ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ভাইরাল হয় ভিডিয়ো।

জানা যায়, ৪০ জন তীর্থযাত্রী ছিলেন সেই বাসে। তাঁদের নিয়ে পঞ্জাব অভিমুখে ফিরছিল সেই বাস। পথে বানিহালের কাছে নাচলানা এলাকায় থামার কথা ছিল। ব্রেক ফেল করার কারণে বাস থামতে না পারায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। পুলিশ এবং নিরাপত্তাবাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তাতেই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পায় বাসটি।

পুলিশ সূত্রে খবর, আহত ১০ যাত্রীর মধ্যে ৩ জন মহিলা এবং একটি শিশুও রয়েছে। যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে চলন্ত বাস থেকে লাফিয়ে নামার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তৎপর হয়। আধিকারিকরা দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করেন। সেই সঙ্গে চলন্ত বাসের চাকার পিছনে পাথর দিয়ে আটকে দেওয়া হয়। নিয়ন্ত্রণহারা বাস এর পরই দাঁড়িয়ে পড়ে। বাকি যাত্রীরাও নিরাপদে নেমে আসেন। পুলিশ অফিসারের কথায়, “নিরাপত্তাবাহিনীর তৎপরতায় অ্যাম্বুল্যান্স চলে আসে সঙ্গে সঙ্গে। চিকিৎসা শুরু করা হয় আহতদের।”

সম্প্রতি উত্তরপ্রদেশের হাথরস কাণ্ডের জেরে শঙ্কিত হয়ে আছে দেশ। হাথরসের সিকান্দ্রারাউ এলাকার ফুলরাই গ্রামে স্বঘোষিত ধর্মগুরু ভোলে বাবা ওরফে সুরজ পালের আয়োজিত সৎসঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ। অথচ সেখানে জায়গা ছিল ৮০ হাজারের। অল্প জায়গায় হুড়োহুড়ি করে বাবার পায়ের ধুলো নিতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটে যায়। পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ যায় শিশু ও মহিলা সহ ১২১ জনের। সেই ঘটনার পর অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে অনুষ্ঠানের আয়োজকদের বিরুদ্ধে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার ফাঁককেই এই অব্যবস্থার জন্য দায়ী করা হয়েছে। অন্য দিকে, অমরনাথ যাত্রা করে ফেরার পথে নিরাপত্তাবাহিনীর সৌজন্যেই বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেল।

Assam Pilgrims: বৃন্দাবন থেকে কেদারনাথ, বদ্রীনাথ! পায়ে হেঁটে তীর্থভ্রমণে অসমের ৩ তরুণ তরুণী

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: রাজ্য পেরিয়ে পায়ে হেঁটে তীর্থস্থান ভ্রমণ! আসলে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়। ফের যেন চোখে আঙুল দিয়ে প্রমাণ করতে চলেছেন অসমের দুই তরুণ এবং এক তরুণী। হাজার হাজার কিলোমিটার পথ হেঁটেই পাড়ি দিচ্ছেন এই তিন তরুণ-তরুণী। সুদূর অসমের বিভিন্ন এলাকা ধেমাজি,নলবাড়ি এবং লক্ষ্মীমপুর থেকে তিন বন্ধু বেরিয়েছেন পায়ে হেঁটে বৃন্দাবন,কেদারনাথ,বদ্রীনাথ,নেপাল ভ্রমণের জন্য।

ইতিমধ্যেই গত প্রায় ৮ সপ্তাহ হয়েছে তাঁরা রওনা দিয়েছেন বাড়ি থেকে। অসম থেকে তাঁরা এ রাজ‍্যের জলপাইগুড়ি শহরে এসে পৌঁছেছেন।  দীপিকা চেতিয়া,পঙ্কজ ডেকা,জিতু বরুয়াদের ধারণা আগামী এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে এই সফর সম্পন্ন হবে। ধেমাজি গোগামুখের বাসিন্দা দীপিকা স্বাস্থ্যকর্মী হিসেবে কাজ করতেন।সম্প্রতি এই সফরের আগে চাকরি ছেড়েছেন। তার কথায়, মানুষের সবার টাকা পয়সা ক্ষমতা তেমন নেই। আগেকার দিন যানবাহনও তেমন একটা মিলত না। তাই আমরা সেই স্মৃতিকে তুলে ধরতে এই পায়ে হেঁটে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছি। অন্যদিকে, বেসরকারি হোটেলে শেফের কাজ ছেড়ে আসা পঙ্কজ ডেকা বলেন,জানি না কত দিন লাগবে। তবে মানুষ রাস্তায় অনেকে সহযোগিতা করছেন।

আরও পড়ুন : ১০ টাকার সুজি, ২ টো ডিম দিয়ে বানান সুস্বাদু মুচমুচে পকোড়া! চায়ের সঙ্গে জমে যাবে বৃষ্টির বিকেলে! রইল রেসিপি!

কিন্তু এত উপায় থাকতে কেন পায়ে হেঁটে এই যাত্রা? তাঁদের সাফ উত্তর, ঘোরার ইচ্ছে থাকলেও অনেকেই টাকার অভাবে ঘুরতে পারেন না। এছাড়াও, বতর্মানে মানুষ হাঁটার চাইতে বেশি গাড়িতেই চলাচল করেন, যা শরীরের কোনও উপকারেই আসে না। হাঁটলে মানুষের শরীর সুস্থ এবং সতেজ থাকে।

Terrorist attack in Jammu and Kashmir: কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার জেরে খাদে পড়ল পূণ্যার্থীদের বাস, মৃত অন্তত ৯, তদন্তের দাবি মমতার

শ্রীনগর: ফের কাশ্মীরে জঙ্গি হানার ঘটনা। মন্দির থেকে ফেরার পথে খাদে পড়ল পূণ্যার্থীদের বাস। জঙ্গি হামলার জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মারা গিয়েছেন অন্তত ৯ জন, আহত ৩৩ জন।

সূত্রের খবর শিবখোদা মন্দির থেকে কাতরার দিকে যাচ্ছিল বাসটি। সেই সময় তেরিয়াত গ্রামের কাছে জঙ্গি হামলার কবলে পড়ে বাসটি বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। বাসটিতে একাধিক বার হামলা চালানো হয় বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গি হামলার জেরে বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন চালক, যার ফলে খাদে পড়ে যায় ওই বাসটি। তার পরে উদ্ধারকাজে নেমে দ্রুত আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ আধিকারিকরা এসে এলাকাটি ঘিরে রেখেছেন।

আরও পড়ুন: মোদির মন্ত্রিসভায় শপথ নিলেন রাজ্যের দুই সাংসদ, পূর্ণমন্ত্রী কেউ নয়, দু’জনই প্রতিমন্ত্রী

রিয়াসি এলাকার সিনিয়র পুলিশ সুপার বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে মনে হয়েছে জঙ্গিরা বাসের যাত্রীদের উপর গুলি চালাচ্ছিল। যার ফলে বাসটির নিয়ন্ত্রণ হারান চালক এবং বাসটি খাদে পড়ে যায়”।

ঘটনার জেরে শোকপ্রকাশ করেছেন নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ, রাজনাথ সিং প্রমুখ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেচেন এবং দ্রুত তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।

Hajj Pilgrim: হজে যাওয়ার আগে বাধ্যতামূলকভাবে মানতে হবে এই নিয়ম

হুগলি: হজের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যেতে চাইলে এবার থেকে মানতে হবে বিশেষ নিয়ম। বাধ্যতামূলকভাবে নিতে হবে বেশ কিছু টিকা। এমনই নির্দেশ এসেছে ভারত সরকারের তরফ থেকে। সেই নিয়ম অনুসারে হুগলির চুঁচুড়ায় শুরু হয়েছে হজ যাত্রীদের টিকাকরণের কাজ।

হজ যাত্রী হিসেবে যারা নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন শুক্রবার তাঁদের টিকাকরণ হয়। এদিন চুঁচুড়া, চণ্ডীতলা ও আরামবাগে টিকা দেওয়া হয়। লক্ষ লক্ষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষ আরবি মাসের জিলহজ মাসে সৌদি আরবের মক্কা শহরে হজ পালনের জন্য যান। সেই মত দেশ, রাজ্য ও হুগলি জেলা থেকেও বহু মানুষ এই বছর যাচ্ছেন। হজে যাওয়ার আগে সৌদি সরকার ও ভারত সরকারের নিয়ম অনুযায়ী ওরাল পোলিও থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি টিকা দেওয়া হয়। সেই মত বুধবার থেকে চুঁচুড়া জীবনপালের বাগানে সংখ্যালঘু দফতরে চুঁচুড়া ও চন্দননগর মহকুমা মিলিয়ে প্রায় ১০০ জন হজযাত্রীর টিকাকরণ হয় পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালের সহযোগীতায়।

আর‌ও পড়ুন: এই গরমে জল চুরি করে চলছিল মিষ্টির দোকান! জানাজানি হতেই…

সরকারী সহায়তায় যারা হজে যাচ্ছেন তাঁদের সকলকেই এই টিকার ব্যবস্থা করে সরকার। পোলবা গ্রামীণ হাসপাতালের বিএসআই কুণাল মজুমদার জানান, হুগলি জেলায় মোট ২৭৫ জনকে টিকা দেওয়া হবে। যাদের টিকা নেওয়া বাকি থাকবে তাঁদের আগামী ২৯ তারিখ দেওয়া হবে। ৬৫ বছরের উর্ধে যারা তাঁদের একটা করে ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকা দেওয়া হচ্ছে। হজে যেতে গেলে টিকা ও পোলিও নেওয়া বাধ্যতামূলক।

রাহী হালদার

Nil Shasthi: নীলের ব্রত পালনে মন্দিরে মন্দিরে পুণ্যার্থীদের ভিড়

পূর্ব মেদিনীপুর: বাঙালির ১২ মাসে ১৩ পার্বণ। চৈত্র মাসে শিবের গাজন ও চড়ক পুজোর মাধ্যমে শেষ হয় বাংলা বছর। গাজন ও চড়ক পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল নীল পুজো। প্রচলিত বিশ্বাস, নীল পুজোর দিন মহাদেবকে তুষ্ট করলেই পূর্ণ হয় মনস্কামনা। ফলে এই নীল পুজোর দিন পূর্ণ্যার্থীদের শিব মন্দিরে মন্দিরে ভিড় করতে দেখা যায়। নীল পুজোর আগে ভক্তরা মন্দিরে মন্দিরে মানতের পুজো দেন, শিবের মাথায় জল ঢেলে ভঙ্গ করেন ব্রত।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার তমলুক থানার অন্তর্গত মিরিকপুর গ্রামের প্রাচীন চন্দ্রেশ্বর মন্দিরে নীল পুজো উপলক্ষে এদিন পূর্ণার্থীদের ভিড় নজরে এল। গ্রামবাংলার অন্যতম প্রাচীন ও লোকসংস্কৃতির ধারক ও বাহক গাজন উৎসব। গ্রাম বাংলার শিব মন্দিরে মন্দিরে চৈত্র মাসে এই গাজন উৎসব পালিত হয়। চৈত্র সংক্রান্তির দিন চড়ক পুজোর মাধ্যমে শেষ হয় গাজন উৎসব। এই গাজন উৎসবের মূল হল নীল পুজো। নীল পুজো অর্থাৎ হর পার্বতীর মিলন উৎসব। নীল পুজো উপলক্ষে শিবের মাথায় জল ঢালার জন্য নদী থেকে জল তুলে বিভিন্ন শিব মন্দিরে এসে শিবলিঙ্গে জল ঢালেন পুণ্যার্থীরা।

আর‌ও পড়ুন: চৈত্র শেষে গাজন উৎসব গোটা জেলায়

পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বেশ কিছু প্রাচীন শিব মন্দির রয়েছে। যেখানে প্রতি বছর চৈত্র মাসে গাজন উৎসব ও নেই পুজো হয়ে থাকে। তমলুক ব্লকের মিরিকপুর গ্রামের চন্দ্রেশ্বর জিউ শিব মন্দিরে গাজন উৎসব উপলক্ষে নীলর দিন সন্ন্যাসী সহ পুণ্যার্থীর জল, দুধ ঢালার ভিড় দেখা যায়। বহু পুণ্যার্থী জল ও দুধ দিয়ে পুজো দিতে আসেন আসেন প্রায় ২০০ বছরের পুরানো ঐতিহ্যবাহী চন্দ্রেশ্বর জীউ শিব মন্দিরে।

তমলুকের রূপনারায়ণ নদী থেকে জল তুলে পায়ে হেঁটে মন্দিরে আসেন পূর্ণার্থীরা। কথিত আছে এই মন্দিরে দেবাদিদেব মহাদেবের কাছে পুণ্যার্থীরা যা মানত করেন সেই মনস্কামনা পূরণ হয়। ফলে প্রতিবছর মন্দিরে পুণ্যার্থীর ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

সৈকত শী

Purulia News: তৈরি হচ্ছে নতুন রাস্তা, ভক্ত ও পুণ্যার্থীরা এ বার খুব সহজেই পৌঁছে যাবেন গৌরীনাথ ধাম

শর্মিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়, পুরুলিয়া : লাল মাটির জেলা পুরুলিয়া। এই জেলায় আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে নানা দর্শনীয় স্থান। তার মধ্যে অন্যতম দর্শনীয় স্থান হল চিড়কার গৌরীনাথ ধাম। ‌ সারা বছরই ভক্তদের আনাগোনা লেগেই থাকে এই ধামে। শুধু জেলা পুরুলিয়া নয় ভিন রাজ্য থেকেও বহু মানুষ এখানে আসেন। আর এই গৌরীনাথ ধাম যাওয়ার রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল  পড়েছিল। স্থানীয় মানুষ ও দর্শনার্থীরা বার বার এই রাস্তা মেরামতের দাবি জানিয়েছিলেন। অবশেষে সেই দাবি পূরণ হল। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ দফতরের অর্থানুকুল্যে ৩৩.৩৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আইমন্ডি থেকে চিড়কা গ্রাম পর্যন্ত একটি পিচ রাস্তার কাজের সূচনা করা হল।

এক সময় এই রাস্তাটি পিচ রাস্তা থাকলেও দীর্ঘ সময় মেরামত না হওয়ায় যাতায়াত করার মত অবস্থায় ছিল না। বর্তমানে এই রাস্তাটি অত্যন্ত খারাপ দশা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই এলাকার মানুষদের দাবি মেনে পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ দফতরের পক্ষ থেকে এই রাস্তাটি নির্মাণ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা হয়। এ বিষয়ে পুরুলিয়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মধ্যক্ষ হংসেশ্বর মাহাত বলেন , ‘‘এলাকার মানুষের দীর্ঘ দিনের দাবি ছিল এই রাস্তা সংস্কার করার। ‌ তাদের দাবি মেনে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।’’ ‌

আরও পড়ুন : বিষাক্ত হলেও এই ফুলগাছের শিকড়ে সোনা হবে আপনার কপাল! যা চাইবেন তাই দেবেন মহাদেব

পুরুলিয়ার অন্যতম তীর্থস্থান গৌরীনাথ ধাম যাওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় এটি। তাই এই রাস্তা সংস্কার হলে অনেকটাই উপকৃত হবেন দর্শনার্থীরা। পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের অর্থানুকুল্যে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

চিড়কার গৌরীনাথ ধাম জেলার একটি প্রসিদ্ধ তীর্থক্ষেত্র। সারা বছরই এই জায়গায় ভক্ত সমাগম হয়ে থাকে। গুরুত্বপূর্ণ এই তীর্থস্থানে ‌ যাওয়া এবার অনেকখানি সহজ হয়ে উঠল এই রাস্তা নির্মাণের জন্য।

Puri Jagannath Temple: নতুন সাজে পুরী! এখন জগন্নাথদর্শন আরও সহজ, পুণ্য অর্জনের পথও সুগম…জানুন বিশদে

নবকলেবরে সেজে উঠল পুরীর জগন্নাথ মন্দির৷ নতুন বছরের শুরুতেই বাঙালি পর্যটকদের জন্য সুখবর৷ নতুন রূপে পাওয়া যাবে শ্রীক্ষেত্রকে৷ পুরীর এই নতুন প্রকল্পে পুণ্যার্থীদর কাছে জগন্নাথ দর্শনের অভিজ্ঞতাই পাল্টে যাবে৷
নবকলেবরে সেজে উঠল পুরীর জগন্নাথ মন্দির৷ নতুন বছরের শুরুতেই বাঙালি পর্যটকদের জন্য সুখবর৷ নতুন রূপে পাওয়া যাবে শ্রীক্ষেত্রকে৷ পুরীর এই নতুন প্রকল্পে পুণ্যার্থীদর কাছে জগন্নাথ দর্শনের অভিজ্ঞতাই পাল্টে যাবে৷

 

পুরীতে বহু প্রতীক্ষিত ঐতিহ্য করিডোর জনসাধারণের জন্য উদ্বোধন করা হল বুধবার৷ জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকা আগেই জবরদখলমুক্ত করা হয়েছিল৷ এ বার নতুন রূপে সেজে উঠল ‘পরিক্রমা মার্গ’৷
পুরীতে বহু প্রতীক্ষিত ঐতিহ্য করিডোর জনসাধারণের জন্য উদ্বোধন করা হল বুধবার৷ জগন্নাথ মন্দির সংলগ্ন এলাকা আগেই জবরদখলমুক্ত করা হয়েছিল৷ এ বার নতুন রূপে সেজে উঠল ‘পরিক্রমা মার্গ’৷

 

 এ বার মন্দিরের চারটি দরজা সিংহ, হাতি, বাঘ বা ঘোড়া দ্বার একটানা পরিক্রমা করা যাবে পর পর৷ ৭৫ মিটারের এই পরিক্রমা মার্গ তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা৷
এ বার মন্দিরের চারটি দরজা সিংহ, হাতি, বাঘ বা ঘোড়া দ্বার একটানা পরিক্রমা করা যাবে পর পর৷ ৭৫ মিটারের এই পরিক্রমা মার্গ তৈরি করতে ব্যয় হয়েছে ৮০০ কোটি টাকা৷

 

নতুন পরিকাঠামোতে ভক্তদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটির দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে৷ ভক্তদের সুবিধার্থে তৈরি হয়েছে শ্রী সেতু এবং শ্রী দাণ্ড৷ অর্থাৎ বিশেষ সেতু এবং বিশেষ পথ৷
নতুন পরিকাঠামোতে ভক্তদের স্বাচ্ছন্দ্যের দিকটির দিকেও বিশেষ খেয়াল রাখা হচ্ছে৷ ভক্তদের সুবিধার্থে তৈরি হয়েছে শ্রী সেতু এবং শ্রী দাণ্ড৷ অর্থাৎ বিশেষ সেতু এবং বিশেষ পথ৷

 

২০০ কোটি টাকা খরচ করে ২.৩ কিমি বিস্তৃত শ্রী সেতু সংযুক্ত হয়েছে ভুবনেশ্বর-পুরী সড়কের সঙ্গে৷ ফলে যানজট এড়িয়ে মন্দির দর্শনে ভক্তদের সুবিধে হবে৷
২০০ কোটি টাকা খরচ করে ২.৩ কিমি বিস্তৃত শ্রী সেতু সংযুক্ত হয়েছে ভুবনেশ্বর-পুরী সড়কের সঙ্গে৷ ফলে যানজট এড়িয়ে মন্দির দর্শনে ভক্তদের সুবিধে হবে৷

 

রথযাত্রার মূল পথ বা বড় দাণ্ডের পাশে তৈরি হয়েছে শ্রী দাণ্ড৷ এখানে বন্দোবস্ত করা হয়েছে বহুতল পার্কিংয়ের৷ অশক্ত বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্নের জন্য থাকছে ব্যাটারিচালিত গাড়ির ব্যবস্থা৷
রথযাত্রার মূল পথ বা বড় দাণ্ডের পাশে তৈরি হয়েছে শ্রী দাণ্ড৷ এখানে বন্দোবস্ত করা হয়েছে বহুতল পার্কিংয়ের৷ অশক্ত বা বিশেষ চাহিদাসম্পন্নের জন্য থাকছে ব্যাটারিচালিত গাড়ির ব্যবস্থা৷

 

নতুন ব্যবস্থার ফলে পুরীতে ভক্ত সমাগম অনেক বেড়ে যাবে বলে ধারণা৷ দৈনিক গড়ে ১০ হাজার ভক্ত বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে৷
নতুন ব্যবস্থার ফলে পুরীতে ভক্ত সমাগম অনেক বেড়ে যাবে বলে ধারণা৷ দৈনিক গড়ে ১০ হাজার ভক্ত বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে৷

Gangasagar Mela 2024: ময়ূর থেকে গরু-সাগরমেলার তোরণে পশুপাখির মূর্তি! পিছনে রয়েছে বিশেষ কারণ

গঙ্গাসাগর : দেশ-বিদেশ রাজ্য বহু মানুষের সমাগম হয় গঙ্গাসাগার মেলায়। আর এই মেলায় এসে বহু মানুষ হারিয়ে ফেলে তাঁদের প্রিয়জনকে{ অনেক ক্ষেত্রেই হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তি বোঝাতে পারেন না, তিনি ঠিক কোথায় আছেন। মেলা-চত্বরের মূল ফটকগুলির উপরে নম্বর লিখে দিয়েও সুরাহা করা যায়নি। দেখা গিয়েছে, অনেকেই নম্বর পড়তে পারেন না।

বিভিন্ন ধরনের পুণ্যার্থীর কথা মাথায় রেখে প্রতিটি গেট নম্বরের পাশাপাশি মূর্তিওব্যবহার করা হয়েছে গঙ্গাসাগরে। মেলার মূল ছয়টি ফটকের এক নম্বরে লেখা ‘১’ সংখ্যার পাশে লাগানো হয়েছে হাঁসের মূর্তি। দু’নম্বর ফটকে তেমনই ‘২’-এর পাশে ঠাঁই পেয়েছে গরু। তিন, চার ও পাঁচ নম্বর ফটকে যথাক্রমে ময়ূর, হরিণ ও হাতির মুর্তি রাখা হয়েছে। পরিকল্পনাটা এসেছে মেলার সঙ্গে যুক্ত জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের আধিকারিকদের কাছ থেকে।

আরও পড়ুন : কালো হলেও কেন পবিত্র বিয়ের মঙ্গলসূত্র? জানুন সেই রহস্য

সেই অনুসারে ওই সব মুর্তি আনানো হয় চন্দননগর থেকে। রাতে সেগুলি দেখতে যাতে কোনও সমস্যা না-হয়, সেই জন্য পশুপাখির মূর্তিগুলিতে আলোর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে{ সাগরমেলায় পুণ্যার্থীদের কথা ভাবতে গিয়েই এই মূর্তির পরিকল্পনা আসে। অক্ষর না-চিনলেও ছবির সাধারণ পশুপাখি চিনবেন না, এমন মানুষ নেই। এমনটায় জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে। তবে বিভিন্ন গেটে এই ধরনের জীবজন্তু লাগানোর মুর্তি লাগানোর ফলে অধিকাংশ পুণ্যার্থীকেই খুঁজে বার করা গিয়েছে।

Gangasagar Mela 2024: নিকষ রাতে অগণিত প্রদীপ! গঙ্গাসাগর সৈকত আলোকিত আরতির ছটায়, দেখুন ছবি

ঠিক যেমন হয় বেনারসে কিংবা হরিদ্বারে , তেমনই গঙ্গারতি এবার সাগরেও। সঙ্গে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মেগা ইভেন্টের সাক্ষী থাকলেন তীর্থযাত্রীরা।
ঠিক যেমন হয় বেনারসে কিংবা হরিদ্বারে , তেমনই গঙ্গারতি এবার সাগরেও। সঙ্গে বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র সহযোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। মেগা ইভেন্টের সাক্ষী থাকলেন তীর্থযাত্রীরা।
১৫ জানুয়ারি সোমবার পূণ্যস্নান। পূর্ণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে কপিলমুনি আশ্রমে। জমজমাট মেলা প্রাঙ্গন।সারা দেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীরা ভিড় করে রেখেছেন গঙ্গাসাগরের তীর। যেন এক টুকরো ভারত।
১৫ জানুয়ারি সোমবার পূণ্যস্নান। পূর্ণ্যার্থীদের ঢল নেমেছে কপিলমুনি আশ্রমে। জমজমাট মেলা প্রাঙ্গন।সারা দেশ থেকে আসা পুণ্যার্থীরা ভিড় করে রেখেছেন গঙ্গাসাগরের তীর। যেন এক টুকরো ভারত।
শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় কপিলমুণির আশ্রম থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে সাগর তীরে পৌঁছান হাজার হাজার মানুষ।মেলায় ও পুণ্যস্নানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মোতায়েন রয়েছে কয়েক হাজার পুলিশ।
শনিবার সন্ধ্যা ৬ টায় কপিলমুণির আশ্রম থেকে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে সাগর তীরে পৌঁছান হাজার হাজার মানুষ।মেলায় ও পুণ্যস্নানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করতে মোতায়েন রয়েছে কয়েক হাজার পুলিশ।
পাশাপাশি সাগরে পূণ্য স্নানে দুর্ঘটনা এড়াতে মোতায়েন এনডিআরএফ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম।
পাশাপাশি সাগরে পূণ্য স্নানে দুর্ঘটনা এড়াতে মোতায়েন এনডিআরএফ ও ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম।
পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে যেমন আলোয় উদ্ভাসিত কপিলমুনির আশ্রম, তেমনি মহাসাগর আরতি।
পুণ্যস্নান উপলক্ষ্যে যেমন আলোয় উদ্ভাসিত কপিলমুনির আশ্রম, তেমনি মহাসাগর আরতি।
ক'দিন হাড় কাঁপানো ঠান্ডা না থাকলেও সংক্রান্তির শেষ লগ্নে পারদপতন যেন মকর সংক্রান্তির আমেজ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।
ক’দিন হাড় কাঁপানো ঠান্ডা না থাকলেও সংক্রান্তির শেষ লগ্নে পারদপতন যেন মকর সংক্রান্তির আমেজ কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

Shaktipeeth: ৫১ সতীপীঠের অন্যতম পতিরাম বিদ্যেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ পুজো ঘিরে ভক্তদের ঢল  

সুস্মিতা গোস্বামী, দক্ষিণ দিনাজপুর : পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে এবং প্রমাণের উপরে ভিত্তি করে যদি এগোনো যায় তাহলে এই শক্তি পীঠের সন্ধান পাওয়া যায়, সেটা হল বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের পতিরাম অঞ্চলে অবস্থিত। সব তীর্থস্থান এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য হল সতীর ৫১ টি শক্তি পীঠের মধ্যে বিরাট শক্তিপীঠ, আবার অনেকেই এই শক্তিপীঠকে পতিরাম শক্তিপীঠ বলে জানেন। সতীর দেহ অংশগুলি যখন পৃথিবীর বুকে ছড়িয়ে পড়েছিল তখন এই স্থানে দেবীর বাম পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুল পতিত হয়েছিল।

এখানে কোন বিগ্রহ দেখতে পাওয়া যায় না।তার পরিবর্তে বেদি দেখতে পাওয়া যায়। সারা বছর মানুষ লাল কাপড় দিয়ে থাকেন মনোস্কামনা পূরণের জন্য। তবে, ভক্তদের দেওয়া সেই লাল শাড়ি কোনওদিনই উঁচু হয় না। ওই মন্দিরের বেদি বরাবরই থাকে। প্রত্যহ অন্নভোগের পাশাপাশি প্রতি অমাবস্যায় বিদ্যেশ্বরী মাকে মাছ ভোগ দেওয়া হয়।

জনশ্রুতি অনুসারে, মুরলীমোহন ভট্টাচার্য এই মন্দিরে পুজো করতেন। তাঁর একটি মেয়ে ছিল যার নাম ছিল বিদ্যেশ্বরী, যে তার বাবার সঙ্গে এই মন্দিরে পুজোর সময় সাহায্য করত। মানুষের মুখে শোনা যায়, একদিন সন্ধ্যা বেলায় বিদ্যেশ্বরী এই মন্দিরে সন্ধ্যা দিতে এসে নিখোঁজ হয়ে যায়।

গ্রামবাসীরা এবং বাবা মা গ্রামের চারদিকে খোঁজাখুঁজির পর এই মন্দির স্থানে এসে তাঁর লাল শাড়ি বিছানো অবস্থায় দেখতে পায়। তাঁর নাম অনুসারে পরবর্তীকাল থেকেই মন্দিরটি বিদ্যেশ্বরী মন্দির নামে পরিচিত।

মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে জানা যায়, বছরান্তে এই যজ্ঞ তিন দিন ধরে হয়ে থাকে। সূর্য ওঠা থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত দীর্ঘক্ষণ ধরেই এই যজ্ঞ হয়ে থাকে। মায়ের কৃপা পেতে প্রতি বছর দূর-দূরান্ত থেকে বহু ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে বিদ্যেশ্বরী মন্দির প্রাঙ্গনে।

আরও পড়ুন : নবদ্বীপের ক্ষীর দই এখন পাবেন নবাবের জেলাতেও! কীভাবে বানানো হয় এই ঘন দই? দেখুন ভিডিও

প্রতিবছর এই বিদ্যেশ্বরী মায়ের পুজোকে কেন্দ্র করে বিশাল আকৃতি যজ্ঞ উৎসব করা হয়ে থাকে। আর এই যজ্ঞ ও মায়ের পুজো স্বচক্ষে দেখতে প্রচুর ভক্তের সমাগম হয়ে থাকে প্রতি বছরই। চলতি বছরেও এর কোন ব্যতিক্রম হয়নি। ধর্ম-বর্ণ মিলে সবাই মেতে ওঠে কালীমায়ের আরাধনায়। এই পুজোয় সকলেই উপোস করে পুজো দেন, মানত করেন। মানত পূরণ হলে ফের মায়ের কাছে আসেন পুজো দিয়ে আশীর্বাদ নিতে।