সিসি লাইন

Offbeat Destination: বনপথে ঘেরা হোমস্টে, দোলের ছুটি নিভৃতে কাটাতে আসুন উত্তরবঙ্গের এই পাহাড়ি গ্রামে

অনন্যা দে, আলিপুরদুয়ার: অতিপরিচিত পর্যটন কেন্দ্র এখনও হয়নি,তবে নিভৃতযাপন করতে হলে আসতেই হবে আলিপুরদুয়ারের কোদালবস্তি এলাকায়। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঠাসা এই গ্রামে হাতেগোনা কিছু পর্যটকদের আনাগোনা দেখা যায়।যদিও এই গ্রামে পাঁচটি হোম স্টে রয়েছে।এই হোম স্টে-র ভিতর রয়েছে সবজির বাগান।এই সবজির বাগানে চাষ হয় মরশুমি শাকসবজির।পর্যটকরা এসে পছন্দমতো শাকসবজি রান্না করে খেতে পারবেন।অথবা হোম স্টে-র মালিককে পছন্দের শাকসবজির কথা জানিয়ে দিলে তাঁরাই তা রান্না করিয়ে রাখবেন।

এই গ্রামেই রয়েছে সিসি লাইন।এই রাস্তা দিয়ে সাফারি চলাকালীন দেখা যায় বন‍্যপ্রাণীদের অবাধ বিচরণ। দীর্ঘ ৭ বছর পর খোলে জঙ্গলের সিসি লাইন।দুটি সাফারি কার দিয়ে বনদফতরের তরফে শুরু হয়েছে জঙ্গল সাফারি। সকাল ৭,৮,৯ টায় হাতি সাফারির ব‍্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু অনেকেই এই এলাকায় সাফারির ব‍্যবস্থা রয়েছে সেটাই জানেন না।আবার হাতি সাফারির ব‍্যবস্থা রয়েছে। প্রচারের আলো প্রবেশ করেনি পর্যটনস্থলটিতে।

আরও পড়ুন : সুপারস্টার ছেলের আকাশছোঁয়া সাফল্যের পরও এই তারকা অভিনেতার বাবা এখনও বাসচালক

পর্যটন ব্যবসায় যুক্ত হয়েছেন গ্রামের অনেকেই।গ্রামে রয়েছে ৫ টি হোম স্টে।পর্যটন ব্যবসায়ী রবিন রাভার কথায়, “জঙ্গলটি জলদাপাড়া বনবিভাগের অন্তর্গত। এই গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সকলের নজর কাড়বেই।এই জায়গা থেকে ঘন্টা খানেকের দূরত্বের রয়েছে চিলাপাতা, বক্সা, জয়ন্তী-সহ অন্যান্য পর্যটন স্থান। বর্তমানে, গাড়ি ও হাতি সাফারি দুই-ই হচ্ছে এখানে। কোলাহল এই এলাকায় নেই,যারা শান্ত পরিবেশ পছন্দ করেন তাঁদের জন‍্য আদর্শ স্থান এটি।”

প্রকৃতির মাঝে এই অভিজ্ঞতা অনুভব করতে পর্যটকদের আহ্বান জানাচ্ছেন এলাকার পর্যটন ব‍্যবসায়ীরা। এক শৃঙ্গ গণ্ডার,হাতি, বাইসন-সহ অন্যান্য বন্যজন্তুর অবাধ বিচরণ এই এলাকাতেই। নিরিবিলি এলাকাটি সকলের পছন্দ হবে বলে দাবি পর্যটন ব্যবসায়ীদের। শুধু নাচ গান নয়, পর্যটকদের খাবারেও রাভা সংস্কৃতির ছোঁয়া থাকছে। পর্যটকদের ভাগ‍্য সহায় থাকলে হোম স্টে-র আশেপাশেই দেখা যাবে হাতি সহ অন‍্যান‍্য বন‍্য জন্তু।