হাওড়া: নদী সংস্কারের সিদ্ধান্তেও ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ! সরস্বতী নদী সংস্কার ঘিরে এমন পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। এটি হুগলি ও হাওড়া জেলার একটি গুরুত্বপূর্ণ নদী। গত ৩০ বছর ধরে সংস্কার না হওয়া ক্ষুব্ধ ছিল সাধারণ মানুষ। তবে এখন সংস্কারের কাজ শুরু হওয়াতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন একাংশ।
প্রায় ৩০ বছর পর সরস্বতী নদী সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। যা দেখে প্রাথমিকভাবে খুশি হয়েছিল সবাই। তবে নদীর পাড় দখল করে থাকাদের একাংশ এই সংস্কার কাজ নিয়ে খুব প্রকাশ করেছে। আবার স্থানীয়দের একটি অংশের অভিযোগ, সঠিকভাবে খনন কাজ হচ্ছে না। কোনওরকমে দায়সারা কাজ করা হচ্ছে। তারা সরস্বতী নদী সম্পূর্ণ সংস্কারের দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: মাত্র ১৫ দিন সময়, হঠাৎ রেলের নোটাশে ঘুম উড়ল হকারদের
মনসামঙ্গল কাব্যে সরস্বতী নদীর উল্লেখ রয়েছে। চাঁদ সওদাগর এই নদীপথে বাণিজ্য করতে যেতেন বলে কথিত আছে। আবার শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু এই নদী পথে যাত্রা করেছিলেন এমনটাও কথিত আছে। হুগলির উত্তর দিক থেকে ত্রিবেণী সপ্তগ্রাম হয়ে হাওড়ার সাঁকরাইল নাজিরগঞ্জ এসে হুগলি নদীতে মিশেছে সরস্বতী নদী। কিন্তু দীর্ঘদিন সংস্কারের অভাবে নদীটি আবর্জনাময় হয়ে পড়ে। নদীর পাড় দখল করে বাজার-দোকান গড়ে ওঠে। অবশেষে সেই নদী সংস্কারের কাজ শুরু হলেও ডোমজুড়ের মহিয়াড়ি চাঁদনি বাগান এলাকায় তাতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে। পথ অবরোধ করে গ্রামবাসীরা কাজে বাধা দান করেন বলে অভিযোগ। পুলিশ এসে পরিস্থিতির সামাল দেয়। এদিকে স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি অংশের দাবি, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করে এই নদী সংস্কারের কাজ করতে হবে সেচ দফতরকে। এখানে কোনরকম বাধা এলেও তা মানা চলবে না।
রাকেশ মাইতি