Offbeat Destination: শান্ত সুবর্ণরেখায় সূর্যাস্ত থেকে প্রাচীন দুর্গে ইতিহাসের গন্ধ! ছোট্ট ছুটিতে স্বল্প খরচে বেড়াতে আসুন এই চরাচরে

রঞ্জন চন্দ, পশ্চিম মেদিনীপুর: বেড়াতে যেতে কমবেশি সকলেই ভালবাসেন। কর্মব্যস্ততার মধ্যে কাছাকাছি অফবিট ডেস্টিনেশন সকলেরই খুব পছন্দের। উইকএন্ডে কিংবা একদিনের ছুটি নিয়ে পাহাড় কিংবা সমুদ্র ছেড়ে এবার ঘুরে দেখতে পারেন আঁকাবাঁকা ছোট নদী কিংবা ইতিহাসের নানা নিদর্শন। একদিকে যেমন দিনের শেষে সূর্যাস্ত মন ভাল করবে তেমনই বাড়ির ছোট্ট ছোট্ট ছেলে মেয়েরা কিংবা নিজেরাও জানতে পারবেন ইতিহাসের নানা কথা। যারা একটু সময় বাঁচিয়ে অন্তত একটা দিন কোথাও ঘুরে আসার প্ল্যান করছেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন জঙ্গলে ঘেরা পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লক কেশিয়াড়ি।

এই জেলার প্রান্তিক এক ব্লক কেশিয়াড়ি। জীবনযাত্রার উন্নতি হলেও মূলত মূলবাসী সম্প্রদায়ের মানুষের বসবাস এখানে। ব্লকের এক প্রান্তে বয়ে চলেছে শান্ত সুবর্ণরেখা। অন্যদিকে রয়েছে সাজানো-গোছানো একটি পার্ক এবং ইতিহাসের এক জীবন্ত নিদর্শন। জেলা সদর থেকে মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে এমন সুন্দর সাজানো পেছানো একটি ব্লক মন কাড়বে আপনার।

যারা ঘুরতে যেতে পছন্দ করেন, তাঁদের অবশ্যই প্রিয় জায়গার মধ্যে থাকবে এই কেশিয়াড়ি। কেশিয়াড়িতে রয়েছে সুপ্রাচীন ইতিহাসের নিদর্শন কুরুমবেড়া। চারিদিকে পাথর দিয়ে ঘেরা সাজানো গোছানো একটি ইতিহাসের ইমারত। ঘুরে দেখতে পারবেন জানতে পারবেন ইতিহাসের নানা কথা। কেশিয়াড়ি ব্লকের গগনেশ্বর এলাকায় রয়েছে এই প্রাচীন দুর্গ।

আরও পড়ুন : জামাইষষ্ঠীর ভূরিভোজে বাড়িতেই বানান ঘন সুস্বাদু লাল দই! রইল সহজ রেসিপি

শুধু তাই নয়, সেখান থেকে মাত্র ৪ কিলোমিটার দূরে রয়েছে শিশুদের জন্য পার্ক, ‘প্রত্যুষা’। রয়েছে বোটিং, ফুলের বাগান, বাচ্চাদের খেলার নানা জায়গা এবং কিছুক্ষণ সময় কাটানোর একটি সুন্দর সবুজে ঘেরা এই পার্ক। বিকেলটা অবশ্য কাটাতে পারবেন নদীর পাড়ে। কেশিয়াড়ি বাজার থেকে ৯ কিলোমিটার দূরে রয়েছে সুবর্ণরেখা নদী। রয়েছে নদীতে নৌকোবিহারের ব্যবস্থা। সুবর্ণরেখা নদীতে বিকালের সূর্যাস্ত এবং হালকা আলোয় মায়াবী জঙ্গলকন্যা সেতু মন ভালো করে দেবে আপনার।

রেলশহর খড়গপুর থেকে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে কেশিয়াড়ি ব্লকের এই সমস্ত ঘোরার নানা জায়গা। রেলপথে এলে খড়্গপুরে নেমে সেখান থেকে বাস বা অন্যান্য গাড়ি করে আসা যাবে এখানে। তবে যারা সপ্তাহান্তে ঘুরতে পছন্দ করেন তারা অবশ্যই ঘুরে দেখতে পারেন কেশিয়াড়ি ব্লকের বিভিন্ন ঘোরার জায়গা।