দার্জিলিং: পাহাড় মানেই সকলের কাছে একটা আবেগ ,তাই তো ছুটি হোক বা উইকেন্ড একটু সুযোগ পেলেই পাহাড়ে ছুটে আসে পাহাড়প্রেমীরা। বর্তমানে পাহাড়ের এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনার চোখের সামনে ভেসে উঠবে ১৮০° অ্যাঙ্গেলে সারি সারি সবুজে ঘেরা পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য।দার্জিলিং যাওয়ার পথে কার্শিয়াংয়ের এই জায়গায় এলে নিমেষেই মন ভাল হবে আপনার। বর্তমানে পর্যটকদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কার্শিয়াংয়ের গৌরী শংকর চা বাগান।
পাহাড়ের কোলে চারিদিকে প্রকৃতির মাঝে এই জায়গায় এলে আপনার পায়ের নিচে ভাসবে মেঘ যেন কিছুক্ষণের জন্য মনে হবে আপনি মেঘের উপরে দাঁড়িয়ে আছেন। বর্তমানে দার্জিলিংয়ের বুকে কার্শিয়াং পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা এই জায়গায় ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকেরা। বর্তমানে এই চা বাগানের কোলে অজানা ভিউ পয়েন্ট চৌম্বকের মতো আকর্ষণ করছে পর্যটকদের যেখানে দাঁড়িয়ে পর্যটকেরা পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে ব্যস্ত থাকে হামেশাই।
আরও পড়ুনঃ পাহাড় ঘেরা সুইমিংপুল, সাজানো কটেজ! উত্তরবঙ্গের ‘সুইজারল্যান্ড’ গিয়েছেন? পৌঁছে গেলে ফিরতে চাইবেন না
দার্জিলিং যাওয়ার পথে কার্শিয়াং জিরো পয়েন্টের ঠিক আগে পাহাড়ের কোলে গৌরী শংকর চা বাগানের এই ভিউ পয়েন্টে না দাঁড়ালেই বড় মিস। এখানে দাঁড়িয়ে পুরো ১৮০ ডিগ্রি পাহাড়ের ভিউ উপভোগ করতে পারবেন আপনি। এই জায়গায় দাঁড়িয়ে আপনি যে দিকে তাকাবেন সেদিকেই সবুজে ঘেরা পাহাড় যেন আপনাকে হাতছানি দেবে। রাতের অন্ধকারে জোনাকির মতো জ্বলতে থাকা শহর শিলিগুড়িরকে দু-চোখ ভরে দেখতে পাবেন আপনি।
আরও পড়ুনঃ পর্যটক টানতে বিরাট উদ্যোগ! নতুন সাজে সাজছে জনপ্রিয় এই বিশাল পার্ক, দেখুন তো চেনেন কিনা…
আপনি চাইলে এখানে থেকে কার্শিয়াং শহর, ডাউহিল, পাইন ফরেস্ট, হনুমান টক-সহ বিভিন্ন জায়গার দর্শন করতে পারেন। এ প্রসঙ্গে এক পর্যটক বিশাল বিশ্বাস বলেন, শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাওয়ার পথে কার্শিয়াংয়ের গৌরীশংকর চা বাগানে নতুন করে তৈরি হওয়া এই জায়গা পর্যটকদের কাছে এখনও অচেনা এখান বসে চারদিকে সবুজে ঘেরা পাহাড়ের এক অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করলাম জায়গাটি সত্যিই অসাধারণ।
দার্জিলিং যাওয়ার পথে কার্শিয়াং এর বুকে এই জায়গা বর্তমানে পর্যটকদের অত্যন্ত পছন্দের। এই ভিউ পয়েন্টে দাঁড়িয়ে দার্জিলিং পাহাড়ের অপরূপ সৌন্দর্য ক্যামেরাবন্দি করতে ভিড় জমাচ্ছে পর্যটকেরা। প্রকৃতির মাঝে পাহাড়ের গায়ে ভাসমান মেঘের ছোঁয়ায় নিমিষেই যেন মনের সমস্ত ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
সুজয় ঘোষ