সংসদে চাপে পড়বে মোদি সরকার?

Parliament session: প্রশ্নপত্র ফাঁস, মহুয়ার প্রত্যাবর্তন! বিরোধীদের হাতে অনেক অস্ত্র, সংসদে ঝড় ওঠার অপেক্ষা

নয়াদিল্লি: লোকসভার নির্বাচনের ফল, তার সঙ্গে সর্বভারতীয় একের পর এক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো গুরুতর অভিযোগ৷ লোকসভা নির্বাচনের পর সংসদের প্রথম অধিবেশনেই তৃতীয় মোদি সরকারকে চেপে ধরার জন্য বিরোধীদের হাতে অস্ত্রের অভাব নেই৷ সবথেকে বড়কথা, এতদিন হাতে ইস্যু থাকলেও সরকারকে কোণঠাসা করার মতো সংখ্যা ছিল না বিরোধী শিবিরের হাতে৷ ফলে, নতুন মোদি সরকারের আমলে সংসদের প্রথম অধিবেশনেই লোকসভায় জমজমাট লড়াইয়ের সম্ভাবনা প্রবল৷

সংসদের প্রথম অধিবেশনের শুরু থেকেই ঝড় উঠতে পারে নিট পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ নিয়ে৷ নিটের পর নেট পরীক্ষাও বাতিল করেছে কেন্দ্র৷ পিছিয়ে গিয়েছে নিট-পিজির পরীক্ষাও৷ সরকার প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার মতো পদক্ষেপ করলেও তাতে সন্তুষ্ট নয় বিরোধী শিবির৷ ফলে এই ইস্যুতে সংসদে প্রবল হইহট্টগোল হওয়া একরকম নিশ্চিত৷

আরও পড়ুন: রাশিয়ার চার্চ, পুলিশ পোস্টে বড়সড় জঙ্গি হামলা! নিহত পুলিশ অফিসার সহ অন্তত ১৬

সূত্রের খবর প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে মোদি সরকারকে আরও চেপে ধরতে সমর্থন চেয়ে বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র মতো দলগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ইন্ডিয়া জোট৷ যদিও এখনও এই দুটি দলের পক্ষ থেকে সমর্থনের আশ্বাস পায়নি বিরোধীরা৷

তাতে অবশ্য দমছে না বিরোধী শিবির৷ বিশেষ তাদের অস্ত্র এবার উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের দুর্দান্ত ফল৷ লোকসভা নির্বাচনের ফলে যা সবথেকে জোরাল ধাক্কা দিয়েছে বিজেপিকে৷ রায়বরেলি পুনরুদ্ধার করেছে কংগ্রেস৷ আবার অমেঠি থেকে জিতেছেন রাহুল গান্ধি৷ লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ঘুরে দাঁড়ানোর কৃতিত্বও রাহুলকেই দেওয়া হচ্ছে৷ লোকসভার অন্দরেও রাহুলকেই সামনে এগিয়ে দেবে কংগ্রেস৷ রাহুল এবং কংগ্রেসকে সঙ্গত দেওয়ার জন্য এবার থাকবেন অখিলেশও৷

সংসদে বিরোধীদের অন্যতম বড় অস্ত্র হিসেবে এবার মহুয়া মৈত্রের প্রত্যাবর্তনকেও দেখা হচ্ছে৷ এই লোকসভা থেকেই কয়েকমাস আগে বিতাড়িত হয়েছিলন মহুয়া৷ তিনিই ফের কৃষ্ণনগর থেকে বিপুল মার্জিনে জিতে লোকসভায় পা রাখছেন৷ মহুয়া নিজে সংসদে বিরোধীদের অন্যতম জোরাল কণ্ঠস্বর৷ তাঁকে হারাতে সর্বশক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি৷ শেষ পর্যন্ত সেই সম্মানের লড়াইয়ে জয়ী হয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ৷ মহুয়ার এই জয়ও বিরোধীদের কাছে বিরাট অক্সিজেন৷

এর পাশাপাশি সংসদে জোর বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস এবং ডিএমকে-র মতো ইন্ডিয়া জোটের শরিক দলগুলির৷ লোকসভা ভোটের আগে এবং প্রচার পর্বে কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘাতের আবহ তৈরি হলেও নির্বাচনের ফলপ্রকাশের আগে থেকেই দুই দলের মধ্যে সমন্বয় বাড়তে থাকে৷ ভোটের ফলপ্রকাশের পর দুই দলের বোঝাপড়া আরও মজবুত হয়েছে৷ এমন কি, প্রিয়াঙ্কা গান্ধির হয়ে ওয়ানাডে প্রচারে যাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ফলে তৃণমূল এবং কংগ্রেসের এই বোঝাপড়ার রেশ সংসদের অন্দরেও বজায় থাকবে৷ যা বিজেপির চিন্তা বাড়াবে৷