arrest

West Bengal news: মালদহে গ্রেফতার বিজেপি শাসিত পঞ্চায়েতের প্রধান, অস্ত্র কিনতে গিয়ে ধৃত বলে অভিযোগ

মালদহ: মালদহে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ গ্রেফতার বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান বলে অভিযোগ। পুলিশ সূত্রে খবর অস্ত্র কিনতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়েছে বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধানকে। সেই সঙ্গে উদ্ধার করা হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি, নগদ টাকা বলে জানিয়েছে পুলিশ। মালদহের মানিকচকের নাজিরপুর পঞ্চায়েতের হরিপুর এলাকার ঘটনা।

বিজেপি পঞ্চায়েত প্রধান দেবাশিস মণ্ডল-সহ ছয় জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে মানিকচক থানার পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে একজন তৃণমূল কর্মীও রয়েছেন বলে দাবি। অস্ত্র বিক্রি করতে আসার অভিযোগ তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। পুলিশি অভিযানে উদ্ধার সেভেন এমএম পিস্তল, চার রাউন্ড গুলি, নগদ টাকা, দুটি মোটরবাইক এবং বেশ কয়েকটি মোবাইল ফোন। ধৃতদের কয়েক জন গত মাসে ভুতনিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংক ও জুয়েলারি দোকানে ডাকাতির চেষ্টার ঘটনায় জড়িত বলেও সন্দেহ পুলিশের। ধৃতদের আজ তোলা হয় মালদহ জেলা আদালতে। ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করে পুলিশ।

আরও পড়ুন: ফাইনালে বিরাটের জায়গায় নামুক ধোনি! সমাজমাধ্যমে দাবি সমর্থকদের, কী ভাবে সম্ভব?

জানা গিয়েছে, অস্ত্রের লেনদেন হচ্ছে বলে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় মানিকচক থানার পুলিশ। হরিপুরে একটি মন্দিরের কাছে ঘিরে ফেলে অভিযানের সময় কয়েক জন পালিয়ে গেলেও ছয় জনকে হাতেনাতে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। ধৃতদের মধ্যে দেবাশিস মন্ডল মানিকচকের নাজিরপুর পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান। ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন তৃণমূল কর্মী শ্রবণ মণ্ডলও। শ্রবণ-সহ আরও দুই জন সঞ্জীব মণ্ডল এবং অনন্ত মণ্ডল প্রধানকে অস্ত্র বিক্রি করতে এসেছিলেন বলে দাবি পুলিশের। ধৃতদের মধ্যে সঞ্জীব মণ্ডলের হেফাজত থেকে অস্ত্র বিক্রির নগদ ১২ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে বলেও দাবি পুলিশের।

এদিকে অস্ত্রের লেনদেনের বেআইনি কারবারে বিজেপি প্রধান এবং তৃণমূলের কর্মী গ্রেফতার হওয়ায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানোউতর। বিজেপির দাবি, দলীয় প্রধানকে মিথ্যে অস্ত্র মামলায় ফাঁসিয়েছে পুলিশ ও তৃণমূল। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌড়চন্দ্র মণ্ডল বলেন “নাজিরপুর পঞ্চায়েত অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের টার্গেট। প্রধানকে গ্রেফতার করে পঞ্চায়েতের দখল নিতে চাইছে তৃণমূল। পুলিশ এবং তৃণমূল একযোগে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। আমরা আইনি লড়াই লড়ব”। অন্য দিকে, তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি দুলাল সরকারের পাল্টা দাবি, “মানিকচকের গঙ্গার ওপারে বিহার ও ঝাড়খণ্ড। সেই সব রাজ্য থেকে মালদহে অস্ত্র আমদানি করা হচ্ছে,  এই কাজে বিজেপির নেতৃত্ব জড়িত। এ দিনের ঘটনায় তা প্রমাণ হয়েছে। বেআইনি কারবারে দলের কেউ জড়িত থাকলে তৃণমূল পাশে থাকবে না বলেও দাবি করেছেন জেলা সহ-সভাপতি”।