বৃষ্টির দোসর ব‍্যারেজের জল! আতঙ্কে রাত কেটে এলাকাবাসীর, শেষমেশ পাঞ্চেত জলাধার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

West Bardhaman News: বৃষ্টির দোসর ব‍্যারেজের জল! আতঙ্কে রাত কেটে এলাকাবাসীর, শেষমেশ পাঞ্চেত জলাধার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

পশ্চিম বর্ধমান: গত দু’দিন ধরে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে এক লক্ষ কুড়ি হাজার কিউসেকের বেশি জল। রাতে আরও জল ছেড়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ। যা রীতিমতো আতঙ্কিত করে তুলেছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে। বহু মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই খানিক স্বস্তি।

রবিবার সকালেই জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে ছিল মাইথন জলাধার। তারপর রবিবার রাতের দিকে এক ধাক্কায় অনেকটা কমল পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া পরিমাণ। জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট ব্যারেজও।

যার ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে এবার ধাপে ধাপে জল ছাড়ার পরিমাণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও রবিবার রাত পর্যন্ত যে পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে, সেই জল দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হবে তারপর ধীরে ধীরে কমবে জল ছাড়ার পরিমাণ।

আরও পড়ুন: স্কুটিতে চেপে যাচ্ছিল বাবা-মেয়ে, সঙ্গে ট্রলি, ব‍্যাগ খুলতেই যা বেরল! পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ, গ্রেফতার দু’জনেই

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ভারী বৃষ্টির পর দামোদরের বিভিন্ন জলধারগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হচ্ছিল। তার মধ্যেই ভীষণ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল দুর্গাপুর ব্যারেজ। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি এবং নিম্ন অববাহিকার গ্রামগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টিও হয়েছে। বহু মানুষকে প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় জল ঢুকেছে। তেমন অবস্থায় ডিভিসির কাছে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানোর দাবি উঠছিল।

শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত জানা গিয়েছে, রবিবার পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৬৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল রাখার জন্য মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ৬ হাজার কিউসেক জল। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মূলত, দামোদরের উচ্চ অববাহিকায় অবস্থিত ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট জলধার থেকে কমানো হয়েছে জল ছাড়ার পরিমাণ।

আরও পড়ুন: এই প্রথম! বিধানসভায় রাজ‍্য সঙ্গীতে গলা মেলাল বিজেপি, মমতায় ‘সহমত’ শুভেন্দু, কী এমন ঘটল?

যে কারণে পাঞ্চেত থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছে। উচ্চ অববাহিকা এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত না হলে, এই সমস্ত জলাধারগুলি থেকে আরও কমবে জল ছাড়া। ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও ধীরে ধীরে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হবে। যা স্বস্তির খবর নদী তীরবর্তী গ্রামগুলির মানুষজনের কাছে।

নয়ন ঘোষ