Tag Archives: barrage

Jalpaiguri News: এখনও সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা! ফের সিঁদুরে মেঘ, তিস্তার জল ভয়ঙ্কর রূপ নিতে পারে কি!

প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্ভোগ অব্যাহত উত্তরবঙ্গবাসীদের! সোমবার এবং মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগে থেকে ছিলই। সেই অনুযায়ী রাতভর জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে। আজ সকাল থেকেই কোথাও কোথাও হওয়া বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল ফের খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্ভোগ অব্যাহত উত্তরবঙ্গবাসীদের! সোমবার এবং মঙ্গলবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস আগে থেকে ছিলই। সেই অনুযায়ী রাতভর জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে বিক্ষিপ্তভাবে। আজ সকাল থেকেই কোথাও কোথাও হওয়া বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল ফের খানিকটা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা।
সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ে ক্রমাগত নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তায় জমছে জল। তিস্তার উপরে চাপ পড়ায় দফায় দফায় ছাড়া হচ্ছে গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল। আজ সকাল ছয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলেই ফ্লাড কন্ট্রোল রুম জলপাইগুড়ি তরফে খবর।
সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ে ক্রমাগত নাগাড়ে বৃষ্টি হওয়ায় তিস্তায় জমছে জল। তিস্তার উপরে চাপ পড়ায় দফায় দফায় ছাড়া হচ্ছে গাজলডোবা তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল। আজ সকাল ছয়টা থেকে বারোটা পর্যন্ত প্রায় ৩ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে বলেই ফ্লাড কন্ট্রোল রুম জলপাইগুড়ি তরফে খবর।
দোহমনী এবং মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় এখনও জারি রয়েছে হলুদ সংকেত। মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় রয়েছে লাল সংকেত, জানা গিয়েছে সেচ দফতরের তরফে।
দোহমনী এবং মেখলিগঞ্জ পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় এখনও জারি রয়েছে হলুদ সংকেত। মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত অসংরক্ষিত এলাকায় রয়েছে লাল সংকেত, জানা গিয়েছে সেচ দফতরের তরফে।
বাংলায় এখনও সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। উত্তর-পূর্ব ভারতে রয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেখানেও জারি রয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। তার প্রভাই পড়ছে বঙ্গ জুড়ে। সিকিম-ভুটান পাহাড় থেকে শুরু করে উত্তরের পার্বত্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার কারণেই বাড়ছে তিস্তার জল। ফলত, ডুয়ার্সের বহু এলাকা যেমন- টোটগাঁও থেকে শুরু করে অন্যান্য পাড় লাগোয়া গ্রামগুলিতে ফের প্লাবনের আশঙ্কা।
বাংলায় এখনও সক্রিয় রয়েছে মৌসুমী অক্ষরেখা। উত্তর-পূর্ব ভারতে রয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস। সেখানেও জারি রয়েছে অবিরাম বৃষ্টি। তার প্রভাই পড়ছে বঙ্গ জুড়ে। সিকিম-ভুটান পাহাড় থেকে শুরু করে উত্তরের পার্বত্য এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার কারণেই বাড়ছে তিস্তার জল। ফলত, ডুয়ার্সের বহু এলাকা যেমন- টোটগাঁও থেকে শুরু করে অন্যান্য পাড় লাগোয়া গ্রামগুলিতে ফের প্লাবনের আশঙ্কা।
তিস্তা ও অন্যান্য শাখা নদী এবং খরস্রোতা নদীগুলোতে শুধু যে প্লাবন কিংবা হড়পা বান আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তা নয়। পার্বত্য এলাকা-সহ ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূমি ধসের সম্ভাবনাও আছে।
তিস্তা ও অন্যান্য শাখা নদী এবং খরস্রোতা নদীগুলোতে শুধু যে প্লাবন কিংবা হড়পা বান আসার সম্ভাবনা রয়েছে, তা নয়। পার্বত্য এলাকা-সহ ডুয়ার্সের বিস্তীর্ণ এলাকায় ভূমি ধসের সম্ভাবনাও আছে।
তবে কোনও অঘটন এড়াতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। প্রত্যেকটি জেলা-সহ নবান্নের কন্ট্রোল রুম মারফত উপকূলবর্তী এলাকাগুলোয় নজরদারি চালানো হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।
তবে কোনও অঘটন এড়াতে কড়া নজরদারি চালাচ্ছে প্রশাসন। প্রত্যেকটি জেলা-সহ নবান্নের কন্ট্রোল রুম মারফত উপকূলবর্তী এলাকাগুলোয় নজরদারি চালানো হচ্ছে। সরকারি কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করে জরুরি পরিষেবা দেওয়ার জন্য সর্বদা সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে।

West Bardhaman News: বৃষ্টির দোসর ব‍্যারেজের জল! আতঙ্কে রাত কেটে এলাকাবাসীর, শেষমেশ পাঞ্চেত জলাধার নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত

পশ্চিম বর্ধমান: গত দু’দিন ধরে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হয়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে। রবিবার বিকেল পর্যন্ত দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হয়েছে এক লক্ষ কুড়ি হাজার কিউসেকের বেশি জল। রাতে আরও জল ছেড়েছে দুর্গাপুর ব্যারেজ। যা রীতিমতো আতঙ্কিত করে তুলেছে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজনকে। বহু মানুষকে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার মধ্যেই খানিক স্বস্তি।

রবিবার সকালেই জল ছাড়ার পরিমাণ অনেকটা কমিয়ে ছিল মাইথন জলাধার। তারপর রবিবার রাতের দিকে এক ধাক্কায় অনেকটা কমল পাঞ্চেত জলাধার থেকে জল ছাড়া পরিমাণ। জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট ব্যারেজও।

যার ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে এবার ধাপে ধাপে জল ছাড়ার পরিমাণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। যদিও রবিবার রাত পর্যন্ত যে পরিমাণ জল ছাড়া হয়েছে, সেই জল দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া হবে তারপর ধীরে ধীরে কমবে জল ছাড়ার পরিমাণ।

আরও পড়ুন: স্কুটিতে চেপে যাচ্ছিল বাবা-মেয়ে, সঙ্গে ট্রলি, ব‍্যাগ খুলতেই যা বেরল! পুলিশের চক্ষু চড়কগাছ, গ্রেফতার দু’জনেই

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ভারী বৃষ্টির পর দামোদরের বিভিন্ন জলধারগুলি থেকে প্রচুর পরিমাণে জল ছাড়া হচ্ছিল। তার মধ্যেই ভীষণ ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করেছিল দুর্গাপুর ব্যারেজ। নদী তীরবর্তী এলাকাগুলি এবং নিম্ন অববাহিকার গ্রামগুলিতে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টিও হয়েছে। বহু মানুষকে প্রশাসন তৎপরতার সঙ্গে সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। বহু জায়গায় জল ঢুকেছে। তেমন অবস্থায় ডিভিসির কাছে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানোর দাবি উঠছিল।

শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত জানা গিয়েছে, রবিবার পাঞ্চেত জলাধার থেকে ৬৯ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। অন্যদিকে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সচল রাখার জন্য মাইথন জলাধার থেকে ছাড়া হয়েছে ৬ হাজার কিউসেক জল। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। মূলত, দামোদরের উচ্চ অববাহিকায় অবস্থিত ঝাড়খণ্ডের তেনুঘাট জলধার থেকে কমানো হয়েছে জল ছাড়ার পরিমাণ।

আরও পড়ুন: এই প্রথম! বিধানসভায় রাজ‍্য সঙ্গীতে গলা মেলাল বিজেপি, মমতায় ‘সহমত’ শুভেন্দু, কী এমন ঘটল?

যে কারণে পাঞ্চেত থেকেও জল ছাড়ার পরিমাণ কমেছে। উচ্চ অববাহিকা এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাত না হলে, এই সমস্ত জলাধারগুলি থেকে আরও কমবে জল ছাড়া। ফলে দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকেও ধীরে ধীরে জল ছাড়ার পরিমাণ কমানো হবে। যা স্বস্তির খবর নদী তীরবর্তী গ্রামগুলির মানুষজনের কাছে।

নয়ন ঘোষ