কী ভয়ঙ্কর সেই বিস্ফোরণ!

Plane Crash: মৃত্যু ৩৩১ জনের! এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে সেই ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণ! কেঁপে যায় গোটা দুনিয়া! মনে আছে?

কানাডা ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মাস কয়েক আগেও তুঙ্গে উঠেছিল আলোচনা। সেই সময় ফের আলোচনায় উঠে এসেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ১৯৮৫ সালে বোমা হামলার ঘটনা। কী ঘটেছিল?
কানাডা ও ভারতের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মাস কয়েক আগেও তুঙ্গে উঠেছিল আলোচনা। সেই সময় ফের আলোচনায় উঠে এসেছিল এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে ১৯৮৫ সালে বোমা হামলার ঘটনা। কী ঘটেছিল?
১৯৮৫ সালের ২৩ জুন দিল্লি থেকে কানাডার মন্ট্রিয়লগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে মাঝ আকাশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ওই ঘটনায় যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে মোট ৩৩১ জন মারা যান।
১৯৮৫ সালের ২৩ জুন দিল্লি থেকে কানাডার মন্ট্রিয়লগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমানে মাঝ আকাশে বোমা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। ওই ঘটনায় যাত্রী এবং বিমানকর্মী মিলিয়ে মোট ৩৩১ জন মারা যান।
এতে তিন অভিযুক্ত হিসাবে মালিক ছাড়া ইন্দ্রজিৎ সিংহ রেয়াত এবং আজেইব সিং বাগরির নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। প্রসঙ্গত, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৮২ (বোয়িং ৭৪৭) বিমানটির নাম ‘কণিষ্ক’ হওয়ায় সেটি ‘কণিষ্ক মামলা’ নামেও পরিচিত।
এতে তিন অভিযুক্ত হিসাবে মালিক ছাড়া ইন্দ্রজিৎ সিংহ রেয়াত এবং আজেইব সিং বাগরির নাম প্রকাশ্যে এসেছিল। প্রসঙ্গত, এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট ১৮২ (বোয়িং ৭৪৭) বিমানটির নাম ‘কণিষ্ক’ হওয়ায় সেটি ‘কণিষ্ক মামলা’ নামেও পরিচিত।
মামলার তদন্তকারীদের দাবি, ভ্যাঙ্কুভারে বিমান থামলে সে সময় মালপত্রের সঙ্গে একটি স্যুটকেসের মধ্যে বোমা রাখা হয়। পরে আটলান্টিকের ৩১,০০০ ফুট উপরে ওই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ওই মামলায় মালিক এবং বাগরির বিরুদ্ধে ৩৩১ জনকে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল।

মামলার তদন্তকারীদের দাবি, ভ্যাঙ্কুভারে বিমান থামলে সে সময় মালপত্রের সঙ্গে একটি স্যুটকেসের মধ্যে বোমা রাখা হয়। পরে আটলান্টিকের ৩১,০০০ ফুট উপরে ওই বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। ওই মামলায় মালিক এবং বাগরির বিরুদ্ধে ৩৩১ জনকে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছিল।
যদিও রেয়াতের সাক্ষ্যের পর বোমা-কাণ্ডে ছাড়া পেয়ে যান মালিক। মামলা চলাকালীনই তদন্তকারীদের সাক্ষী হিসাবে রেয়াতকে আদালতে তোলা হয়েছিল। রেয়াতের দাবি ছিল, ওই কাণ্ডে কে বা কারা জড়িত অথবা পরিকল্পনার খুঁটিনাটি মনে করতে পারছেন না তিনি।

যদিও রেয়াতের সাক্ষ্যের পর বোমা-কাণ্ডে ছাড়া পেয়ে যান মালিক। মামলা চলাকালীনই তদন্তকারীদের সাক্ষী হিসাবে রেয়াতকে আদালতে তোলা হয়েছিল। রেয়াতের দাবি ছিল, ওই কাণ্ডে কে বা কারা জড়িত অথবা পরিকল্পনার খুঁটিনাটি মনে করতে পারছেন না তিনি।
দীর্ঘ দিন পর ২০০৫ সালে ‘খালিস্তানপন্থী’ মালিকের পাশাপাশি বাগরিকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় কানাডার একটি আদালত। তবে বিস্ফোরণের ছক কষা তথা বোমা তৈরির জন্য এবং মালিকের মতো সঙ্গীদের জন্য মিথ্যা বয়ান দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন রেয়াত। দু’দশক জেলে কাটানোর পর ২০১৬ সালে প্যারোলে ছাড়া পান তিনি।
দীর্ঘ দিন পর ২০০৫ সালে ‘খালিস্তানপন্থী’ মালিকের পাশাপাশি বাগরিকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় কানাডার একটি আদালত। তবে বিস্ফোরণের ছক কষা তথা বোমা তৈরির জন্য এবং মালিকের মতো সঙ্গীদের জন্য মিথ্যা বয়ান দেওয়ার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন রেয়াত। দু’দশক জেলে কাটানোর পর ২০১৬ সালে প্যারোলে ছাড়া পান তিনি।
বিস্ফোরণের কারণ ছিল বিমানে থাকা একটি সুটকেসের ভেতরে রাখা বোমা। সুটকেসটি যে টিকিটের আওতায় বিমানে তোলা হয়েছিল সেই ব্যক্তি অবশ্য বিমানে ওঠেনি। নিহতদের মধ্যে ছিল ২৬৮ জন কানাডার নাগরিক, যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ২৪ জন ভারতীয় নাগরিক। মাত্র ১৩১টি মরদেহ সাগর থেকে তোলা সম্ভব হয়েছিল।
বিস্ফোরণের কারণ ছিল বিমানে থাকা একটি সুটকেসের ভেতরে রাখা বোমা। সুটকেসটি যে টিকিটের আওতায় বিমানে তোলা হয়েছিল সেই ব্যক্তি অবশ্য বিমানে ওঠেনি। নিহতদের মধ্যে ছিল ২৬৮ জন কানাডার নাগরিক, যাদের বেশিরভাগই ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং ২৪ জন ভারতীয় নাগরিক। মাত্র ১৩১টি মরদেহ সাগর থেকে তোলা সম্ভব হয়েছিল।
বিমানটি যখন আকাশে উড়ছিল তখন টোকিওর নারিতা বিমানবন্দরে আরও একটি বিস্ফোরণ হয়, যাতে বিমানবন্দরের দুই কর্মী নিহত হন। পরে তদন্তে জানা যায়, ওই বোমাটি ফ্লাইট নম্বর ১৮২ লক্ষ্য করে পেতে রাখা হয়েছিল। ওই ফ্লাইটটি ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার যেটি জাপান থেকে ব্যাংককে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বোমাটি আগেই বিস্ফোরিত হয়।
বিমানটি যখন আকাশে উড়ছিল তখন টোকিওর নারিতা বিমানবন্দরে আরও একটি বিস্ফোরণ হয়, যাতে বিমানবন্দরের দুই কর্মী নিহত হন। পরে তদন্তে জানা যায়, ওই বোমাটি ফ্লাইট নম্বর ১৮২ লক্ষ্য করে পেতে রাখা হয়েছিল। ওই ফ্লাইটটি ছিল এয়ার ইন্ডিয়ার যেটি জাপান থেকে ব্যাংককে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বোমাটি আগেই বিস্ফোরিত হয়।
কানাডার তদন্তকারীরা বলেন, বোমা হামলার পরিকল্পনায় ছিল শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যারা ১৯৮৪ সালে পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ভয়ংকর অভিযানের বদলা নিতে চেয়েছিলেন।
কানাডার তদন্তকারীরা বলেন, বোমা হামলার পরিকল্পনায় ছিল শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদীরা যারা ১৯৮৪ সালে পাঞ্জাবের স্বর্ণমন্দিরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর ভয়ংকর অভিযানের বদলা নিতে চেয়েছিলেন।