Poila Baishakh: পয়লা বৈশাখের হালখাতাতেও স্বাস্থ্য সচেতনতার ছাপ, ‘কম মিষ্টির’ সন্দেশের চাহিদা বেশি

পশ্চিম বর্ধমান: হ্যাপি নিউ ইয়ারে রং পর এবার আসছে পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। এই বছরটা লিপ ইয়ার অর্থাৎ ২৯ দিনে ফেব্রুয়ারি মাস হওয়ায় পয়লা বৈশাখ ১৫ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে পড়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। আর বাংলা নববর্ষ মানেই হালখাতা ও মিষ্টিমুখ করার আনন্দ। তার জন্য আগেভাগেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। এখন থেকেই তুঙ্গে উঠেছে মিষ্টির চাহিদা।

হালখাতা বাঙালির এক ঐতিহ্যবাহী রীতি। মূলত পয়লা বৈশাখের দিন আজও বাংলার দোকানে দোকানে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হালখাতা হয়ে থাকে। এই দিন চলে যাওয়া বছরের যাবতীয় বকেয়া দোকানে এসে মিটিয়ে দেন খরিদ্দার বা ক্রেতারা। সেই সঙ্গে একটি টোকেন অ্যামাউন্ট বা অগ্রিম কিছু অর্থ জমা দিয়ে নতুন বছরের খাতা শুরু করেন। অবশ্য কেউ কেউ এই প্রথা অক্ষয় তৃতীয়াতেও পালন করেন। তবে বর্তমানে বাংলা ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে আর্থিক হিসাব ইংরেজি ক্যালেন্ডার মেনে ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়ে থাকে। তাই পয়লা বৈশাখের হালখাতা অনেকটাই ঐতিহ্য মেনে রীতি পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে এর আবেদন বা গ্রহণযোগ্যতা এতোটুকু কমেনি।

আর‌ও পড়ুন: স্বাধীনতার এতদিন পর পাকা হচ্ছে কাঠের সেতু

হালখাতাতে মিষ্টিমুখ করানো এবং ক্রেতাদের মিষ্টির প্যাকেট দেওয়ার রীতি আজও চলে আসছে। ফলে পয়লা বৈশাখ আসার আগে থেকেই মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার চলছে মিষ্টি তৈরির কাজ। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি হচ্ছে। তবে চলতি বছরে মিষ্টির মাত্রা কম, এমন মিষ্টির চাহিদা অনেকটাই বেশি। মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন মিষ্টি দোকানের মালিকরা।

এদিকে পয়লা বৈশাখের মিষ্টির সঙ্গে লাড্ডু ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই লাড্ডুর চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যেমন লাড্ডুর জন্য অর্ডার আসছে, তেমনই সাধারণ মানুষ‌ও প্রচুর পরিমাণে লাড্ডু কিনছে। তাই পহেলা বৈশাখ আসার আগে থেকেই ছোট-বড় বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে শুরু হয়ে গিয়েছে মিষ্টির তৈরির কাজ। কর্মচারীরা সারা রাত ধরে মিষ্টি প্রস্তুত করছেন।

যদিও বিক্রেতারা মেনে নিচ্ছেন, আগে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যে রকম মিষ্টির চাহিদা থাকত, সেই চাহিদা কিছুটা হলেও কমেছে। কারণ অনেক ব্যবসায়ী এখন হালখাতা করা বন্ধ করে দিয়েছেন। যে কারণে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মিষ্টির অর্ডার আসা কিছুটা কমেছে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে মিষ্টির জনপ্রিয়তা আগের মতই রয়ে গিয়েছে। শুধু স্বাদে কিছুটা বদল এসেছে। তাই নতুন বছরে মানুষকে মিষ্টিমুখ করাতে মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন।

নয়ন ঘোষ