Tag Archives: Laddu

Astrology: চরম অভাব? সব কাজে বাধা? টাকার দরকার? পয়লা বৈশাখে লাড্ডু দিয়ে করুন এই কাজ

পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের শুরু। এই দিন মিষ্টিমুখ করার নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। তবে পয়লা বৈশাখে লাড্ডু খাওয়া এবং লাড্ডু বিতরণের নিয়ম সবথেকে বেশি প্রচলিত। কিন্তু কেন এমনটা করা হয় জানেন?
পয়লা বৈশাখ। বাংলা নতুন বছরের শুরু। এই দিন মিষ্টিমুখ করার নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। তবে পয়লা বৈশাখে লাড্ডু খাওয়া এবং লাড্ডু বিতরণের নিয়ম সবথেকে বেশি প্রচলিত। কিন্তু কেন এমনটা করা হয় জানেন?
এই বিষয়ে বিশিষ্ট পুরোহিত এবং জ্যোতিষবিদ ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, পয়লা বৈশাখে লাড্ডু খাওয়ার নিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে গভীর ধর্মীয় সংযোগ। ধর্মীয় কারণ অনুসারে, এদিন লাড্ডু প্রসাদ হিসেবে খেলে এবং বিতরণ করলে ভগবান গণেশের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে বিশিষ্ট পুরোহিত এবং জ্যোতিষবিদ ধীমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, পয়লা বৈশাখে লাড্ডু খাওয়ার নিয়মের সঙ্গে জড়িত রয়েছে গভীর ধর্মীয় সংযোগ। ধর্মীয় কারণ অনুসারে, এদিন লাড্ডু প্রসাদ হিসেবে খেলে এবং বিতরণ করলে ভগবান গণেশের বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
তিনি বলছেন, পয়লা বৈশাখে গণেশ পুজোর বিশেষ নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। এদিন অনেকেই ঘরে গণেশ ঠাকুর প্রতিস্থাপন করেন। অনেক জায়গায় দেবী লক্ষ্মীরও পুজো হয়। এদিন ঘরে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি এবং বাধা-বিপত্তি দূর করতে তাদের পুজো করা হয়।
তিনি বলছেন, পয়লা বৈশাখে গণেশ পুজোর বিশেষ নিয়ম প্রচলিত রয়েছে। এদিন অনেকেই ঘরে গণেশ ঠাকুর প্রতিস্থাপন করেন। অনেক জায়গায় দেবী লক্ষ্মীরও পুজো হয়। এদিন ঘরে আর্থিক শ্রীবৃদ্ধি এবং বাধা-বিপত্তি দূর করতে তাদের পুজো করা হয়।
তিনি বলছেন, ভগবান গণেশের অত্যন্ত প্রিয় লাড্ডু। হলুদ রং ভীষণ পছন্দ করেন ভগবান গণেশ। আবার হলুদ রং দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক বলে মনে করা হয়। হলুদ মিষ্টি, ফুল লক্ষ্মীর ভীষণ প্রিয়। তাই এদিন লাড্ডু পুজোর প্রসাদ হিসেবে দেওয়া এবং খাওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
তিনি বলছেন, ভগবান গণেশের অত্যন্ত প্রিয় লাড্ডু। হলুদ রং ভীষণ পছন্দ করেন ভগবান গণেশ। আবার হলুদ রং দেবী লক্ষ্মীর প্রতীক বলে মনে করা হয়। হলুদ মিষ্টি, ফুল লক্ষ্মীর ভীষণ প্রিয়। তাই এদিন লাড্ডু পুজোর প্রসাদ হিসেবে দেওয়া এবং খাওয়ার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
ধীমানবাবু বলছেন, সেই একই কারণে বহু কাল থেকে নববর্ষের দিন লক্ষ্মী এবং গণেশকে লাড্ডু উৎসর্গ করার নিয়ম রয়েছে। যা কালে কালে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পয়লা বৈশাখের মিষ্টি মুখে অনিবার্য হয়ে উঠেছে লাড্ডু।
ধীমানবাবু বলছেন, সেই একই কারণে বহু কাল থেকে নববর্ষের দিন লক্ষ্মী এবং গণেশকে লাড্ডু উৎসর্গ করার নিয়ম রয়েছে। যা কালে কালে আরও বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পয়লা বৈশাখের মিষ্টি মুখে অনিবার্য হয়ে উঠেছে লাড্ডু।

Poila Baishakh: পয়লা বৈশাখের হালখাতাতেও স্বাস্থ্য সচেতনতার ছাপ, ‘কম মিষ্টির’ সন্দেশের চাহিদা বেশি

পশ্চিম বর্ধমান: হ্যাপি নিউ ইয়ারে রং পর এবার আসছে পয়লা বৈশাখ। বাংলা নববর্ষ। এই বছরটা লিপ ইয়ার অর্থাৎ ২৯ দিনে ফেব্রুয়ারি মাস হওয়ায় পয়লা বৈশাখ ১৫ ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে পড়েছে ১৪ ফেব্রুয়ারি। আর বাংলা নববর্ষ মানেই হালখাতা ও মিষ্টিমুখ করার আনন্দ। তার জন্য আগেভাগেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্রস্তুতি। এখন থেকেই তুঙ্গে উঠেছে মিষ্টির চাহিদা।

হালখাতা বাঙালির এক ঐতিহ্যবাহী রীতি। মূলত পয়লা বৈশাখের দিন আজও বাংলার দোকানে দোকানে, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে হালখাতা হয়ে থাকে। এই দিন চলে যাওয়া বছরের যাবতীয় বকেয়া দোকানে এসে মিটিয়ে দেন খরিদ্দার বা ক্রেতারা। সেই সঙ্গে একটি টোকেন অ্যামাউন্ট বা অগ্রিম কিছু অর্থ জমা দিয়ে নতুন বছরের খাতা শুরু করেন। অবশ্য কেউ কেউ এই প্রথা অক্ষয় তৃতীয়াতেও পালন করেন। তবে বর্তমানে বাংলা ক্যালেন্ডারের পরিবর্তে আর্থিক হিসাব ইংরেজি ক্যালেন্ডার মেনে ১ এপ্রিল থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত করা হয়ে থাকে। তাই পয়লা বৈশাখের হালখাতা অনেকটাই ঐতিহ্য মেনে রীতি পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তাতে এর আবেদন বা গ্রহণযোগ্যতা এতোটুকু কমেনি।

আর‌ও পড়ুন: স্বাধীনতার এতদিন পর পাকা হচ্ছে কাঠের সেতু

হালখাতাতে মিষ্টিমুখ করানো এবং ক্রেতাদের মিষ্টির প্যাকেট দেওয়ার রীতি আজও চলে আসছে। ফলে পয়লা বৈশাখ আসার আগে থেকেই মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার চলছে মিষ্টি তৈরির কাজ। বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরি হচ্ছে। তবে চলতি বছরে মিষ্টির মাত্রা কম, এমন মিষ্টির চাহিদা অনেকটাই বেশি। মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বাড়ায় এমনটা হয়েছে বলে মনে করছেন মিষ্টি দোকানের মালিকরা।

এদিকে পয়লা বৈশাখের মিষ্টির সঙ্গে লাড্ডু ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। তাই লাড্ডুর চাহিদা রয়েছে অনেক বেশি। ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে যেমন লাড্ডুর জন্য অর্ডার আসছে, তেমনই সাধারণ মানুষ‌ও প্রচুর পরিমাণে লাড্ডু কিনছে। তাই পহেলা বৈশাখ আসার আগে থেকেই ছোট-বড় বিভিন্ন মিষ্টির দোকানে শুরু হয়ে গিয়েছে মিষ্টির তৈরির কাজ। কর্মচারীরা সারা রাত ধরে মিষ্টি প্রস্তুত করছেন।

যদিও বিক্রেতারা মেনে নিচ্ছেন, আগে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে যে রকম মিষ্টির চাহিদা থাকত, সেই চাহিদা কিছুটা হলেও কমেছে। কারণ অনেক ব্যবসায়ী এখন হালখাতা করা বন্ধ করে দিয়েছেন। যে কারণে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মিষ্টির অর্ডার আসা কিছুটা কমেছে। তবে সাধারণ মানুষের কাছে মিষ্টির জনপ্রিয়তা আগের মতই রয়ে গিয়েছে। শুধু স্বাদে কিছুটা বদল এসেছে। তাই নতুন বছরে মানুষকে মিষ্টিমুখ করাতে মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা দিনরাত এক করে পরিশ্রম করছেন।

নয়ন ঘোষ

North 24 Parganas News: রাতারাতি গোটা বনগাঁ জুড়ে লাড্ডুর চরম আকাল! মিলছেনা একটাও! কারণ শুনলে চোখ কপালে উঠবে!

উত্তর ২৪ পরগনা: বনগাঁ জুড়ে এক রাতেই তৈরি হল লাড্ডুর আকাল! অবাক লাগলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই এখন এমন কথাই বলছেন। মতুয়া পিঠস্থান ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়ির অন্যতম সদস্য তথা বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ শান্তনু ঠাকুরের উপরই ভরসা রেখে পুনরায় বিজেপির তরফ থেকে তার নাম ঘোষণা করা হয়েছে বনগাঁ লোকসভা নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে। মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক নিজেদের অনুকুলে রাখতেই শান্তনুর উপর ফের আস্থা রাখল বিজেপি এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। আর তাই নাম ঘোষণার পরেই বনগাঁ এলাকার নানা দোকানের থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই উধাও হয়ে গেল সব লাড্ডু।

আরও পড়ুনঃ আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা! ঝেঁপে আসছে বৃষ্টি! তুমুল ঝড়বৃষ্টি কলকাতায়!আবহাওয়ার বড় আপডেট

দলীয় কর্মী সমর্থক থেকে স্থানীয়দের মধ্যে বিতরণ করা হয় পেটি পেটি লাড্ডু। সঙ্গেই চলে আবির মাখিয়ে উল্লাস। এমন ছবিই ধরা পরল বনগাঁর সংসদীয় এলাকার নানা প্রান্তে। ২০১৯ এর লোকসভা ভোটে মতুয়াদের নাগরিকত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বনগাঁয় বাজিমাত করেছিল বিজেপি। ঠাকুর বাড়িতে এসেছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদিও। মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ কেন্দ্র থেকে জয়লাভ করলেও, দীর্ঘ বছর পেরিয়ে গেলেও নাগরিকত্ব নিয়ে কোন সুরাহা দেখাতে পারেনি গেরুয়া শিবির। এমনকী বিষয়টি নিয়ে মাঝে বেসুরও হতে দেখা যায় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে। অবশেষে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব নানা ভাবে বুঝিয়ে শান্তনুকে বাগে আনলেও নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না হওয়ায় বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে মতুয়াদের বলেই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। আর গত পঞ্চায়েত এবং পুরসভা নির্বাচনে এর ফসলই ঘরে তুলেছিল তৃণমূল।

নাগরিকত্ব আইন কার্যকর না হওয়ার পাশাপাশি সম্প্রতি আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় করা নিয়েও বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বেড়েছে মতুয়াদের একটা বড় অংশের। আর তার মাঝেই আবারও শান্তনুকেই প্রার্থী করল বিজেপি। শান্তনু ঠাকুর জানান, “দল যোগ্য মনে করেছে, তাই প্রার্থী করেছে। নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা হয়েছে। মতুয়াদের উন্নয়ন এবং ঠাকুরবাড়ি কেন্দ্রিক উন্নয়ন নিয়েও কথা হয়েছে। কেন্দ্রের সহায়তাতেই ঠাকুরবাড়িতে ভক্তদের প্রসাদ খাওয়ার ঘর তৈরি হচ্ছে বলেও জানান তিনি।” তবে শান্তনু ঠাকুরের নাম ঘোষণা হতেই বনগাঁ জুড়ে বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে বাড়তি উন্মাদনা চোখে পড়েছে। আর এই আনন্দ উদযাপনের জন্যই এলাকায় ব্যাপক বিক্রি বেড়েছে লাড্ডুর। ফলে মুখে হাসি ফুটেছে বিক্রেতাদের।

Rudra Narayan Roy

Ram Mandir Inauguration Laddu : দেশি ঘিয়ের ১৩.৫ লক্ষ লাড্ডু সাজানো থরে থরে! রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠায় স্টিলের পাত্রে প্রসাদের রকমফের

অযোধ্যা: রামলালার প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আজ অযোধ্যায় সাজো সাজো রব। শহরের ছোটি চাবনি ভবনের একতলা কার্যত পরিণত হয়েছে লাড্ডুর কারখানায়। কয়েক হাজার লাড্ডু এখানে থরে থরে সজ্জিত থালায়। কয়েকশো মানুষ দিনরাত লাড্ডু বানিয়ে চলেছেন। দেশি ঘিয়ে তৈরি হাজার হাজার লাড্ডু সাজিয়ে রাখা হচ্ছে। দেশি ঘিয়ের লাড্ডু তৈরি হচ্ছে দিনরাত।

প্রায় সাড়ে ১৩ লক্ষ লাড্ডু তৈরি হয়েছে। প্রাণ প্রতিষ্ঠা উপলক্ষে আগত ৮ হাজার আমন্ত্রিতদের মধ্যে বিতরণ করা হবে ওই প্রসাদ। সাধারণ মানুষের দর্শনের জন্য ২৩ জানুয়ারি থেকে খুলে যাবে মন্দিরের দরজা। তাঁরাও পাবেন দেশি ঘিয়ের লাড্ডু প্রসাদ।

তিন রকমের স্টিলের পাত্রে রাখা হচ্ছে দেশি ঘিয়ের তৈরি এই লাড্ডু। ১১ লাড্ডুর প্যাকেট দেওয়া হবে প্রাণপ্রতিষ্ঠায় আগত আমন্ত্রিতদের। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং বিজেপি কর্মীদের জন্য থাকছে ৭ লাড্ডুর প্যাকেট। ৫ টি লাড্ডু আছে, এরকম প্যাকেট দেওয়া হবে ২৩ জানুয়ারিতে আগত সাধারণ দর্শনার্থীদের। স্টিলের পাত্রগুলিতে দেওয়া আছে রাম মন্দিরের স্টিকার।

সাড়ে তেরো লক্ষ লাড্ডু তৈরি মুখের কথা নয়। স্বেচ্ছাসেবীরা দিনরাত এক করে লাড্ডু বানিয়ে চলেছেন। ২২ জানুয়ারির মধ্যে সব লাড্ডু তৈরি করে নিখুঁতভাবে ভরা হবে স্টিলের পাত্রে। নিশ্চিত করা হচ্ছে যাতে প্রত্যেক লাড্ডুর আকার আয়তন একইরকম হয়। পুরো বিষয়টি দেখভালের দায়িত্বে আছেন প্রাক্তন আমলা এনএন পাণ্ডে। তিনি ঝাড়খণ্ডের স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন।

আরও পড়ুন : লন্ডন থেকে মনোবিদ, বায়োলজিস্ট সন্ন্যাসিনীরা অযোধ্যায় হাজির রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার সাক্ষী থাকতে

প্রতিটা স্টিলের পাত্র দেওয়া হচ্ছে একটি ব্যাগে। সঙ্গে থাকছে তিনটি বই। যেখানে লেখা থাকছে রাম জন্মভূমির ইতিহাস। এছাড়াও ব্যাগে দেওয়া হচ্ছে একটি অঙ্গবস্ত্র। এই পবিত্র কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে পেরে ভক্ত তথা কর্মীরা আপ্লুত।

Sesame Jaggery Laddu: শীতে সর্দি-কাশি-জ্বরে ভুগছেন? রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী অব্যর্থ এই নাড়ু

কলকাতাঃ শীত শুরু হলেই আমরা ফিটনেস নিয়ে অত্যন্ত চিন্তায় পড়ে যাই। শরীরকে ফিট রাখতে আমরা নিজেদের খাদ্যাভাসে বিভিন্ন পরিবর্তন আনার চেষ্টা করি। এর জন্য বিভিন্ন ধরনের সিজনাল ফল বা শুকনো ফল খাওয়া শুরু করি। আজ আমরা এমন একটি সাধারণ জিনিসের কথা বলব যা যে কোনও ফল এবং শুকনো ফলের চেয়ে সুস্বাদু তো বটেই, পাওয়াও যাবে কম দামে, পাশাপাশি এটি শরীরের জন্যেও সমান ভাবে কার্যকরী। আমরা বলছি গুড় এবং তিলের কথা। এটি আমাদের দেশে সর্বত্রই সহজে পাওয়া যায়। শীতকালে গুড় সহযোগে তৈরি তিলের লাড্ডু শুধু ঠান্ডা থেকে রক্ষা করবে তা নয়, এটি আমাদের শরীরকেও শক্তিশালীও রাখে।

আরও পড়ুনঃ ব‍্যবহার করেই ফেলে দিচ্ছেন? ‘এইভাবে’ কাজে লাগান অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল! বাড়ির হাজার ‘সমস্যার’ মুশকিল আসান

রায়বরেলির আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডা. স্মিতা শ্রীবাস্তবের মতে, শীতকালে গুড় এবং তিলের নাড়ু আমাদের শরীরের জন্যও খুব উপকারী। এটি শুকনো ফলের মতোই শীতকালে আমাদের শরীরকে উষ্ণ রাখে। এটি আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও শক্তিশালী করে। নিয়মিত তিল ও গুড়ের নাড়ু শীতকালে সর্দি, কাশি এবং ফ্লুয়ের মতো রোগ থেকেও বাঁচায়। আয়ুর্বেদশাস্ত্রে তিলকে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এতে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১, কপার এবং জিঙ্ক পাওয়া যায়। এগুলো সবই আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী।

ডা. স্মিতা শ্রীবাস্তব বলেন, শীতকালে তিল ও গুড় খাওয়া আমাদের জন্য খুবই উপকারী কারণ এতে প্রচুর পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। এতে উপস্থিত সেসামিন এবং সেসামোলিন নামক দুটি উপাদান পাওয়া যায় যা আমাদের শরীরে ক্যানসার কোষ বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। এছাড়াও হৃদরোগ প্রতিরোধেও এটি খুবই উপকারী। এতে রয়েছে ফাইটোস্টেরল পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড যা শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলকে বাড়তে বাঁধা দেয়।

তিলের নাড়ু বানানোর জন্য আমাদের প্রথমে তিল ভেজে তার সঙ্গে গুড় মিশিয়ে নিতে হবে। এরপরে হাতের সাহায্যে গোল গোল নাড়ুর আকারে এটি তৈরি করে নিতে হবে। প্রতিদিন ৪০ থেকে ৫০ গ্রাম পরিমাণে নাড়ু খাওয়া উচিত। এটি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী প্রমাণিত হবে।

South 24 Parganas News: বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন দোকানের মত মতিচুরের লাড্ডু! জেনে নিন সহজ রেসিপি

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বহুড়ু মতিচুরের লাড্ডু যার টেক্কা দিতে পারে তিরুপতি লাড্ডু কেও। জয়নগরের যেমন বিখ্যাত জয়নগরের মোয়া আর তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে জয়নগর থানা এলাকার বহড়ুতে জমজমাট মতিচুরের লাড্ডু। পিয়াল গাছের বীজ সংগ্রহ করে তার বেসন তৈরি করে প্রস্তুত করেন মোতিচুর লাড্ডু। যা সেই সময় থেকেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।

মোতির মত চকচকে হয় এই লাড্ডু, এজন্যই এর মোতিচুর লাড্ডু নামকরণ করা হয়। ছোট ছোট মুক্তা দানার মতো বুন্দিয়া বানিয়ে সেগুলোকে একসঙ্গে হাতে চেপে তৈরি হয় মতিচুরের লাড্ডু। আর এইজন্যই এমন চমৎকার নামের উৎপত্তি।

আরও পড়ুন:  শান্তিনিকেতনের পৌষ মেলায় ঘুরতে আসবেন? গাড়ি নিয়ে এলে অবশ‍্যই জানুন এই নিয়ম

মতিচুরের লাড্ডু ভারত উপমহাদেশের একটি প্রাচীন মিষ্টি। ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নেপালে মতিচুরের লাড্ডু অত্যন্ত জনপ্রিয়। বিশেষ করে দিল্লির মতিচুরের লাড্ডুর সুখ্যাতি তো সারা বিশ্বজুড়ে। বিয়ে, ঈদ, পূজা, জন্মদিন বা যে কোনও আনন্দের অনুষ্ঠানেই মতিচুরের লাড্ডুর উপস্থিতি থাকেই থাকে। এর বয়স দু’হাজার বছরেরও বেশি। বেসন ও চিনির রস এই লাড্ডুর প্রধান উপকরণ।

এছাড়াও বাদাম, কিসমিস ইত্যাদি নানান উপকরণ ব্যবহৃত হয়। আসল স্বাদ পেতে ভাজার জন্য ব্যবহার করা হয় খাঁটি ঘি। মতিচুরের লাড্ডু কিনতে গেলে তো বেশ খরচ। আর আমাদের দেশে সব দোকানে এই লাড্ডু পাওয়াও যায়না। অনেকেই নিজে বানিয়ে খেতে ভালোবাসেন। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জয়নগর থানা এলাকার বহুড়ু প্রায় ঘরে ঘরে এই মতিচুরে লাড্ডুর ব্যবসা গড়ে উঠেছে।

রেসিপিটা জানা থাকলে যখন-তখন বাড়িতেও তৈরি করা যাবে প্রিয় এই লাড্ডু। ১/২ কেজি বেসন ১/৩ কাপ দুধ ১ টেবিল চামচ পেস্তা কুচি ১/২ কেজি চিনি ১ টেবিল চামচ কিসমিস ১ চিমটি বেকিং সোডা কয়েক ফোঁটা কমলা ফুড কালার/ জাফরান দানা ও ভাজার জন্য ঘি। বেসন ও বেকিং পাউডার একসঙ্গেমিশিয়ে নিন। ২ টেবিল চামচ ঘি ও প্রয়োজনমতো জল দিয়ে ঘন করে মিশ্রন তৈরি করুন।

প্যান কেকের ব্যাটার বা বেগুনী ভাজার বেসন গোলার মতন হবে ঘনত্বে। ঘি গরম করে ঝাঁঝরি চামচ দিয়ে বেসনের মিশ্রণ তেলে দিন।বুন্দিগুলো ভালো করে লাল করে ভেজে নিন। সবটুকু বেসনের বুন্দি ভাজা হয়ে গেলে একটি পাত্রে রেখে দিন। তারপর সেগুলো ঠান্ডা হয়ে গেলে গোল গোল করে পাকিয়ে নিলেইতৈরি মতিচুরের লাড্ডু।

সুমন সাহা