উওর ২৪ পরগনা: হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর৷ এমনকি, সাঁড়াশি দিয়ে গোপনাঙ্গ ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা! আড়িয়াদহের বীভৎস সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর থেকেই রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন৷ যদিও ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ১৮ বাংলা৷ গণপিটুনির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইতিমধ্যেই জয়ন্ত সিং নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের তদন্তকারী অফিসারেরা৷ সম্প্রতি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হল জয়ন্তর আরও এক শাগরেদ৷
সূত্রের খবর, কোনও একটি চুরির ঘটনায় এক কিশোরকে প্রথমে ক্লাবে তুলে নিয়ে আসে জয়ন্ত সিং-এর দলবল। অভিযোগ, এরপর ক্লাবের ভিতরে তাকে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ তারপর সাঁড়াশি দিয়ে ছিঁড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় তার গোপনাঙ্গ। ওই ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করা হয়নি লোকাল ১৮ এর তরফে) রীতিমতো শিউরে ওঠেন মানুষজন।
আরও পড়ুন: সবজি বেচছেন জেলাশাসক! দৃশ্য দেখে থমকে গেল বর্ধমান…হঠাৎ কী কারণ?
এখন প্রশ্ন আরও এমন কত কু-কীর্তি কাণ্ড ঘটিয়েছে জয়ন্ত ও তার শাগরেদরা। পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। ইতিমধ্যেই জয়ন্ত ও তার শাগরেদদের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের।
ভাইরাল হকি স্টিক দিয়ে গণপিটুনির ভিডিও দেখে চিহ্নিত করে বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জয়ন্ত সিং রয়েছে জেল হেফাজতে। এবার আরও একটি ভাইরাল ভিডিও ঘিরে তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হল অভিযুক্ত জয়ন্ত সিংয়ের আরেক শাগরেদকে। ওই কিশোরের গোপন অঙ্গ সাঁড়াশি দিয়ে ছিড়ে নেওয়ার চেষ্টা করার অভিযোগে প্রসেনজিৎ দাস ওরফে লাল্টুকে গ্রেফতার করল বেলঘরিয়া থানার পুলিশ।
জয়ন্ত সিং-এর শাগরেদ ছিল এই প্রসেনজিৎ ওরফে লাল্টু। ইতিমধ্যেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় এলাকার এই দুষ্কৃতীদের যে দাপাদাপি বেড়েছিল, পরপর ঘটা এই ঘটনাগুলিতে যেন তারই প্রমাণ হিসেবে উঠে আসছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। ধৃতকে এদিন ব্যারাকপুর আদালতে পেশ করানো হয়৷ পুলিশি হেফাজত চায় বেলঘরিয়া থানা৷
Rudra Narayan Roy