মৃত শচীন রজক

Police Death: আর ঘরে ফেরা হল না শচীনের, বাড়িতে অপেক্ষায় বৃদ্ধ মা-বাবা! মর্মান্তিক ঘটনা

হাওড়া: দুপুরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আর ঘরে ফেরা হল না হাওড়া সিটি পুলিশের টিএইচজি কর্মী’র। কেঁদে বুক ভাসাচ্ছে মা। পরিবারের প্রধান রোজগেরে ছিলেন যে একমাত্র ছেলে, তিনি না ফেরার দেশে আচমকাই। মাঝপথেই থমকে গেল হাওড়া সিটি পুলিশের টিএইচজি শচীনের জীবন।

আর পাঁচটা দিনের মতোই দুপুরে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল শচীন। তারপর আর ফেরেনি ঘরের ছেলে। রাতের অন্ধকারে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সাঁতরাগাছিতে, কর্মরত হাওড়া সিটি পুলিশে কর্মরত টিএইচজি কর্মীর বাসের ধাক্কায় মৃত্যু! জানা যায়, রবিবার রাত্রি ৯.১৫ নাগাদ মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে উলুবেড়িয়াগামী লেনের সাঁতরাগাছি সাবওয়ের সামনে। সেই সময় সাবওয়ের কাছে দু’জন টিএইচজি ও এক সিভিক ভলেন্টিয়ার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ কর্তব্যরত ছিলেন।

আরও পড়ুন: ঘি করলা খান? ‘স্বর্গীয় ফল’ বলে অনেকে! ক্যানসার আটকাতে এর জুড়ি মেলা ভার, জানুন

হঠাৎ কলকাতার দিক থেকে দ্রুত গতিতে আসা একটি বেসরকারি বাস এসে কর্মরত টিএইচজি কর্মীকে ধাক্কা মারে। সজোরে ধাক্কায় সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাতে লুটিয়ে পড়ে কর্মরত ওই টিএইচজি কর্মী। এরপরই রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করে। ডোমজুড় বাঁকড়ার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সি শচীন রজক। ছোট্ট এক চিলতে টালির চালের ছাউনি বাড়িতে বাবা মা ও শচীন তিনজনের ছোট্ট সংসার। বড় দিদির বিবাহ হয়েছে কয়েক বছর আগেই।

আরও পড়ুন: বদলে গেল সময়, জুন মাসে কখন যেতে হবে স্কুলে? লক্ষ লক্ষ পড়ুয়ার জন্য স্বস্তির খবর

পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় চার বছর আগে হাওড়া সিটি পুলিশের অধীনের টিএইচজি কাজে যুক্ত হয়। বাবা লন্ড্রির কাজ করে কষ্টে চলত সংসার। একমাত্র ছেলের রোজগারে সবে স্বস্তি ফিরেছিল সংসারে। হঠাৎই সংসারে নেমে এলো কালো মেঘ। মৃতের বাবা রাজ কিশোর রজক জানান, দুর্ঘটনার কিছুক্ষণ পর ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি ছেলের দুর্ঘটনার কথা। যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে এলাকায় শোকের ছায়া নেমেছে। এদিকে ঘটনাস্থলে, স্থানীয় মানুষ বিক্ষুব্ধ। স্থানীয়দের অভিযোগ, বাস চালকদের রেষেরেষির ফলেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা।

রাকেশ মাইতি