বিদ্যালয়ের বাগান

Paschim Medinipur News: প্রত্যন্ত এলাকায় এই স্কুল যেন পড়ুয়াদের ‘স্বপ্নের দেশ’! কেন জানেন, রইল সেই গল্প

পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রত্যন্ত গ্রাম! প্রধান রাস্তা অনেকটা দূর। স্কুলের মধ্যেই বসানো ফোয়ারা। ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা স্কুলের নানা অনুষ্ঠান হওয়ার জন্য স্কুলের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি হল। সেটিকে সাজানো হয়েছে শিশুবান্ধব হিসেবে। রয়েছে কিচেন গার্ডেন থেকে ফুলের বাগান। পড়াশোনার পাশাপাশি যেখানে নিয়মিত পরিচর্যা করে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। শ্রেণিকক্ষ, বারান্দা এমনকি বিদ্যালয়ের সিঁড়িতেও নানা ধরনের শিক্ষামূলক জিনিস লেখা। দেওয়ালে রয়েছে বিভিন্ন মনীষীদের  বাণী। প্রত্যন্ত এই গ্রামের স্কুলে প্রতিদিন উপস্থিতির সংখ্যা প্রায় নব্বই শতাংশেরও বেশি। চোখ ধাঁধানো এমন প্রাথমিক বিদ্যালয় নজর কেড়েছে সকলের। সাজানো বিদ্যালয় এবং সৃজনশীল চিন্তাভাবনার জন্য মিলেছে পুরস্কারও। বিদ্যালয়ে এই সৃজনশীলতা বাড়িয়েছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বাংলা-ওড়িশা সীমান্ত এলাকা দাঁতন। সেখানকার এক প্রত্যন্ত এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। যে গ্রাম সকলের কাছে পরিচিত না হলেও গ্রামের বিদ্যালয় এবং সেখানকার সৃজনশীল ভাবনাচিন্তা পরিচিতি এনে দিয়েছে সকলের কাছে। যখন গ্রামাঞ্চলে স্কুলছুট হওয়ার প্রবণতা বেশি তখনই এই বিদ্যালয়ে উপস্থিতির সংখ্যা ৯০ শতাংশেরও বেশি। শুধু তথাকথিত শিক্ষাব্যবস্থা থেকে পাঠ গ্রহণ নয়, সাজানো গোছানো বিদ্যালয় থেকেও খেলার ছলে ছাত্রছাত্রীরা শিখছে পড়াশোনা। রয়েছে কিচেন গার্ডেন, ফুলের বাগান। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পাশাপাশি যার নিয়মিত পরিচর্যা করে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।

পশ্চিম মেদিনীপুরে দাঁতন ১ ব্লকের বামনবিরুয়াঁ প্রাথমিক বিদ্যালয়। ছোট্ট পরিসরের এই বিদ্যালয়। বিদ্যালয়ের আন্তরিক ভাবনাচিন্তা এবং গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় এই বিদ্যালয়টিকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। কংক্রিটের দেওয়ালে মুড়ে ফেলা নয়, সবুজ গাছে বিদ্যালয়ের পরিসরকে সাজিয়ে তুলেছে কর্তৃপক্ষ। দাঁতন ১ পঞ্চায়েত সমিতির উদ্যোগে বিদ্যালয় এর মধ্যেই রয়েছে ঝাঁ চকচকে কমিউনিটি হল, যেখানে বিদ্যালয়ের নানা অনুষ্ঠান হয়ে থাকে। স্বাভাবিকভাবে প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এই বিদ্যালয় সকলের কাছে দৃষ্টান্ত। সৃজনশীল ভাবনাচিন্তা এবং শিশুবান্ধব হিসেবে সাজিয়ে তোলা বিদ্যালয়ের প্রশংসা করেছেন সকলে।

রঞ্জন চন্দ