"প্রিয়াঙ্কা-রাহুল ওয়ানাডের দুই চোখ"

Priyanka Gandhi Vadra: ‘প্রিয়ঙ্কা-রাহুল ওয়ানাডের দুই চোখ…’, সনিয়া-কন্যাকে প্রার্থী করার নেপথ্যে কৌশলী পদক্ষেপ? যা বলছে কংগ্রেস

নয়াদিল্লি: নির্বাচনী রাজনীতিতে কেন নামছেন না প্রিয়ঙ্কা? দীর্ঘ দিন ধরেই কংগ্রেসের ভিতরে, বাইরে উঠছিল প্রশ্ন। অবশেষে লোকসভা ভোটের পর্ব চুকতেই কংগ্রেসের নয়া রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ঘিরে ফের সরগরম দেশের রাজনৈতিক মহল। কেরলের ওয়েনাড থেকে প্রিয়ঙ্কা গান্ধির নির্বাচনী অভিষেক এবং রাহুল গান্ধির দক্ষিণ ভারতের এই আসনটি ছেড়ে রায়বরেলিকে বেছে নেওয়াকে কার্যত একটি সুনির্দিষ্ট রাজনৈতিক কৌশল হিসাবেই দেখা হচ্ছে।

গোটা ঘটনাকে কী ভাবে দেখছে কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্ব? সূত্রের খবর, কেরল কংগ্রেস মনে করছে, প্রিয়ঙ্কার প্রতিদ্বন্দ্বিতার সঙ্গে এই আসনে যেমন গান্ধিদের উত্তরাধিকার অব্যাহত থাকবে অন্যদিকে ওয়েনাডের মানুষও সহজেই রাহুলের মতোই স্বাগত জানাবেন প্রিয়াঙ্কাকে।

কেরলের কুন্দারার বিধায়ক ও কংগ্রেস সচিব পিসি বিষ্ণুনাধ বলেন, “প্রিয়ঙ্কা গান্ধি এবং রাহুল গান্ধি ওয়ানাডের দুটি চোখের মতো। তাঁরা আগামী দিনে এলাকার মানুষের বিশ্বাস এবং ভালবাসাকে অক্ষুণ্ণ রেখে জনগণকে উন্নয়নের একটি নতুন যুগ দেখতে সহায়তা করবেন বলেই বিশ্বাস।” বিষ্ণুনাধ আরও বলেন, প্রিয়াঙ্কা গান্ধি রাজনৈতিকভাবে আত্মপ্রকাশের জন্য ওয়েনাডকে বেছে নিচ্ছেন, তাঁকে সর্বান্তকরণে স্বাগত জানাচ্ছেন ওয়ানাডের জনসাধারণ।

আরও পড়ুন: অভিষেকের প্রশংসার পর এবার তৃণমূল নেতার পা ছুঁয়ে প্রণাম…! ফুল বদলের পথে বিজেপির সৌমিত্র খাঁ? জল্পনা তুঙ্গে

নিউজ 18 কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিষ্ণুনাধ বলেন, “গান্ধিদের উত্তরাধিকার অক্ষুন্ন থাকছে ওয়ানাডে, তা রাহুল জি হোক বা প্রিয়ঙ্কা জি। মানুষ জানে যে কংগ্রেস এই আসনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং রাহুল জিকে দেওয়া ৩ লক্ষেরও বেশি ব্যবধানে জয়ই তার প্রমাণ। ওয়ানাডের মানুষ এই সিদ্ধান্তে খুব খুশি”।

প্রসঙ্গত, আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম হলেও, সচেতন ভাবেই দীর্ঘদিন রাজনীতি থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। মা এবং দাদার সঙ্গে মিটিং-মিছিলে কালেভদ্রে দেখা গেলেও, নির্বাচনী রাজনীতিতে পা রাখতে আগ্রহী নন বলে তিনি জানিয়েছিলেন গোড়াতেই। অবশেষে প্রিয়াঙ্কা দীর্ঘ ২০ বছরের সেই পণ ভাঙলেন। কেরলের ওয়েনাড লোকসভা কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন তিনি। প্রিয়ঙ্কার এই মত পরিবর্তনের নেপথ্যে কংগ্রেসের কৌশলই দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

আরও পড়ুন: এগোচ্ছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু…! দক্ষিণবঙ্গে ঝমঝমিয়ে ‘বর্ষামঙ্গল’ কবে শুরু? ‘দিন-তারিখ’ বলে দিল আলিপুর

মনে করা হচ্ছে নেহাতই আচমকা মত পাল্টাননি প্রিয়াঙ্কা, বরং এটি যথেষ্ট কৌশলী সিদ্ধান্ত। তাঁদের মতে, রায়বেরেলি গান্ধিদের পারিবারিক আসন। সনিয়ার পর রাহুল সেই আসন ধরে রাখবেন, সেটাই স্বাভাবিক। তাই বলে ওয়েনাডকে হেলাফেলা করতে চান না রাহুল। কারণ ২০১৯ সালে আমেঠি খালিহাতে ফেরালেও এই ওয়েনাডই তাঁর মুখরক্ষা করেছিল। তাই প্রিয়ঙ্কাকে ওয়েনাডে দাঁড় করিয়ে সেখানকার মানুষের পাশে থাকারই বার্তা দিলেন রাহুল। প্রিয়ঙ্কা যদি ওয়েনাডে জেতেন, সেক্ষেত্রে উত্তর এবং দক্ষিণ, দেশের দুই প্রান্তেই গান্ধি পরিবারের দুই সদস্যের উপস্থিতি বজায় থাকবে, যা আগামী নির্বাচনগুলিতে দলকে সাহায্য় করবে বলেই বিশ্বাস কংগ্রেস নেতৃত্বের।