প্রতিকী ছবি

Public Resistance: গণ প্রতিরোধ গড়ে টাওয়ার বসানো আটকে দিলেন গ্রামবাসীরা

নদিয়া: টাওয়ার বসানোকে কেন্দ্র করে গণ প্রতিরোধের ঘটনা শান্তিপুরে। গ্রামবাসীদের বাধায় শেষ পর্যন্ত থমকে গেল কাজ। এলাকার মানুষকে ভুল বুঝিয়ে কখনও মিনি টাওয়ার, কখনও গাড়ির নানান সমস্যার কথা বলে ঘনবসতি এলাকায় সুউচ্চ টাওয়ার বসানোর ঘটনা ঘটছিল। এই বিষয়ে অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। যদিও গণ প্রতিরোধের মুখে শেষ পর্যন্ত থমকে গেল টাওয়ার বসানোর কাজ।

নদিয়ার শান্তিপুর থানার অন্তর্গত হরিপুর গ্রামপঞ্চায়েতের মেথিরডাঙা বড়ডাঙা পাড়ায় জনবহুল এলাকায় মোবাইল টাওয়ার বসানোর জন্য গর্ত খোঁড়াখুড়ির কাজ চলছিল। কিন্তু ক্ষতির আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা এই কাজে বাধা দেন। এলাকাবাসীদের আশঙ্কা, এলাকায় টাওয়ার বসানো হলে বাজ পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হবে এখানকার বাসিন্দাদের। তাছাড়া টাওয়ার থেকে নির্গত রেডিয়েশন থেকে শিশু ও বয়স্কদের নানান রোগব্যাধি, চাষ আবাদ হত। এলাকায় ফলন কমে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

আরও পড়ুন: কাঁকড়া চারা রোপণ! সুন্দরবনকে বাঁচাতে গুরু দায়িত্বে ভূমিকন্যারা

সমস্ত প্রশাসনিক মহল সহ স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে বিষয়টি জানানো হয়েছিল। কিন্তু অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধান তাঁদের সমস্যার পাশে না দাঁড়িয়ে পক্ষান্তরে ওই টাওয়ার বসানোকেই সমর্থন জানান নীরব থেকে। এরপরই গণপ্রতিরোধে শামিল হন গ্রামবাসীরা।

যদিও এই ঘটনায় স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান বীরেন মাহাত জানান, এখানে পঞ্চায়েতের কোনও ভূমিকা নেই। যেভাবেই হোক আশেপাশের মানুষ টাওয়ার বসানোর কাগজে সই করেছিল এবং অনলাইন পোর্টালে সমস্ত কাগজপত্র জমা দিয়ে তাঁরা নবান্নের অনুমোদন পান। তবুও মানুষের সমস্যার কথা ভেবে দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করা হয়েছিল, সমাধান না হওয়ার ফলে প্রশাসনিক উচ্চ মহলের দ্বারস্থ হওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

এদিকে টাওয়ার বসানোর ঘটনায় কাঠগোড়ায় ওঠা যুবক বিপ্লব হাজারির বক্তব্য, এই এলাকায় আরেকটি টাওয়ার রয়েছে। সেখানে কোনও প্রতিবাদ হয়নি। এমনকি এনওসি হিসাবে এলাকার ১০ জন সই করেন। পরবর্তীতে এলাকার বেশ কিছু মানুষের টাওয়ার বসানোর ইচ্ছা থাকলেও তা অনুমোদন পায়নি আর সেই কারণেই সম্পূর্ণভাবে গায়ের জোরে তাঁর বিরুদ্ধে জনমত গড়ে তোলা হচ্ছে। এরপর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত টাওয়ার কোম্পানি নেবে বলে তিনি জানান। আপাতত টাওয়ার বসানোর কাজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

মৈনাক দেবনাথ