মালদহ: সকলের হয়তো মনে পড়ে শৈশব। ছোটবেলার সব খেলাধুলো। কিন্তু সময়ের সঙ্গে এখন সেই সব ছোটবেলা স্মৃতি অতীত। আবার আধুনিকতার দাপটে বর্তমান প্রজন্ম এখন মজে আধুনিক সব খেলা থেকে অনলাইন গেমে।
বর্তমান প্রজন্মের কাছে অজানা, ষোল-ঘুঁটি, কানামাছি, লাট্টু থেকে ছোট বেলার নানান সব খেলা। কাগজের নৌকা, থেকে এরোপ্লেন, এমনকি ছোটদের এখন আর রান্নাঘর খেলতে দেখা যায়না। এসব যেন এখন অতীত।
শৈশবের সব স্মৃতি মনে করাতেই এবার মালদহ শহরের ঘোড়াপীড় সার্বজনীন দুর্গা উৎসব কমিটির পুজোর থিম ‘কে নিয়ে গেল’। অর্থাৎ শৈশবে বোঝানো হয়েছে এখানে।
আরও পড়ুন- প্রতীমায় সাবেকিয়ানা, ডায়মন্ড হারবার যুববৃন্দের এবছরের পুজোর থিম ময়ূরাক্ষী
শৈশবের সব খেলাধুলো বর্তমানে হারিয়ে যাচ্ছে সেগুলিকেই বোঝানো হয়েছে এই থিমের মাধ্যমে। মন্ডপ তৈরি করা হয়েছে, বিশাল এক লাট্টুর আকারে।
প্রায় ৩০ ফিট উঁচু লাট্টু তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও মন্ডপ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন সাইজের লাট্টু। এছাড়াও রয়েছে ছোটবেলার বিভিন্ন খেলার সামগ্রী যেমন মাটির রান্নার জিনিসপত্র এছাড়াও রয়েছে কাগজের নৌকা কাগজের এরোপ্লেন। মডেল আকারে বোঝানো হয়েছে কানামাছি সহ বিভিন্ন খেলা। যেগুলি বর্তমানে হারিয়ে যাচ্ছে।
প্রতিমাতেও রয়েছে এক বিশেষ বার্তা। এখানে মা দুর্গা দশভূজা নয়। দেবী দুর্গার হাতে কোন অস্ত্র নেই। দেবীর হাতে রয়েছে কাজলদানি। এই থিমের মাধ্যমে বোঝানো হয়েছে মা তার ছোট্ট শিশুকে কাজল পড়ানোর জন্য ডাক দিচ্ছে।
আরও পড়ুন- উত্তরপাড়া বলাকার পুজোর থিমে বিরাট চমক..! দূর-দূরান্ত থেকে উপচে পড়ছে মানুষের ঢল
মন্ডপ থেকে প্রতিমা সমস্ত কিছুকেই শৈশব তুলে ধরা হয়েছে। যা প্রাপ্তবয়স্ক থেকে বৃদ্ধদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ করছে। এমনকি সব বয়সের দর্শনার্থীরাই এই মন্ডপে আসলে এক বিশেষ বার্তা পাবেন।
পুজো কমিটির সম্পাদক কমল ঘোষ বলেন, শৈশব তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমরা আমাদের এই থিমের মাধ্যমে। ছোটবেলার বিভিন্ন খেলা ও খেলার সামগ্রী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে মন্ডপ। এখানে আসলে সকলেরই শৈশব মনে পড়বে। বিশাল লাট্টুর আকারে তৈরি হয়েছে মন্ডপ।
মালদহ শহরের ঘোড়াপীড় সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটির পুজো এই বছর ২৭ তম বর্ষ। প্রতিবছরই নিত্য নতুন থিম দর্শনার্থীদের আকর্ষণ করে এই পুজো। এই বছরও তার ব্যতিক্রম নয়।
উদ্যোক্তারা আশাবাদী এবারও দর্শকরা আসবেন তাদের মন্ডপ দেখবেন উপভোগ করবেন। এই বছর তাদের পুজোর বাজেট প্রায় ছয় লক্ষ টাকা।
হরষিত সিংহ