সাবিত্রী জিন্দল, কিরণ মজুমদার সাউ, ফাল্গুনী নায়ার, ইন্দ্রা নুয়ি, সুধা মূর্তি, বিনীতা সিং এবং নমিতা থাপারের মতো মহিলাদের নাম তো আমরা সকলেই শুনে থাকি। কারণ ভারতীয় ব্যবসায়িক জগতে এঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু ভারতে এমন আরও মহিলা রয়েছেন, যাঁরা বড় বড় ব্যবসা চালান। আজ এমনই এক মহিলার সাফল্যের গল্প বলা যাক। যিনি মাত্র ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করেছেন। আর বর্তমানে তাঁর সেই সংস্থার মার্কেট ক্যাপ ৮০০০ কোটি টাকা। আমরা কথা বলছি রজনী বেক্টরের বিষয়ে।

দেশভাগের যন্ত্রণা বুকে নিয়ে মৃতদেহে ঠাসা মালগাড়িতে চেপে পৌঁছেছিলেন ভারতে; আজ তিনিই ৮০০০ কোটি টাকা মূল্যের সংস্থার মালকিন

সাবিত্রী জিন্দল, কিরণ মজুমদার সাউ, ফাল্গুনী নায়ার, ইন্দ্রা নুয়ি, সুধা মূর্তি, বিনীতা সিং এবং নমিতা থাপারের মতো মহিলাদের নাম তো আমরা সকলেই শুনে থাকি। কারণ ভারতীয় ব্যবসায়িক জগতে এঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু ভারতে এমন আরও মহিলা রয়েছেন, যাঁরা বড় বড় ব্যবসা চালান। আজ এমনই এক মহিলার সাফল্যের গল্প বলা যাক। যিনি মাত্র ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করেছেন। আর বর্তমানে তাঁর সেই সংস্থার মার্কেট ক্যাপ ৮০০০ কোটি টাকা। আমরা কথা বলছি রজনী বেক্টরের বিষয়ে।
সাবিত্রী জিন্দল, কিরণ মজুমদার সাউ, ফাল্গুনী নায়ার, ইন্দ্রা নুয়ি, সুধা মূর্তি, বিনীতা সিং এবং নমিতা থাপারের মতো মহিলাদের নাম তো আমরা সকলেই শুনে থাকি। কারণ ভারতীয় ব্যবসায়িক জগতে এঁদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কিন্তু ভারতে এমন আরও মহিলা রয়েছেন, যাঁরা বড় বড় ব্যবসা চালান। আজ এমনই এক মহিলার সাফল্যের গল্প বলা যাক। যিনি মাত্র ২০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে ব্যবসা শুরু করেছেন। আর বর্তমানে তাঁর সেই সংস্থার মার্কেট ক্যাপ ৮০০০ কোটি টাকা। আমরা কথা বলছি রজনী বেক্টরের বিষয়ে।
মিসেস বেক্টর ফুড স্পেশাল্টি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন হলেন রজনী বেক্টর। ব্যবসায়িক জগতে তাঁর অবস্থান এতটাই বলিষ্ঠ যে ২০২১ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন। আমরা হয়তো কমবেশি সকলেই ক্রেমিকা বিস্কুট কিংবা ইংলিশ ওভেন ব্রেড খেয়ে থাকি। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই অবশ্য মিসেস বেক্টরের কথা না-ও জানতে পারেন!
মিসেস বেক্টর ফুড স্পেশাল্টি লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং চেয়ারপার্সন হলেন রজনী বেক্টর। ব্যবসায়িক জগতে তাঁর অবস্থান এতটাই বলিষ্ঠ যে ২০২১ সালে তিনি পদ্মশ্রী পুরস্কার পেয়েছেন। আমরা হয়তো কমবেশি সকলেই ক্রেমিকা বিস্কুট কিংবা ইংলিশ ওভেন ব্রেড খেয়ে থাকি। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষই অবশ্য মিসেস বেক্টরের কথা না-ও জানতে পারেন!
১৯৪৯ সালে বর্তমান পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম রজনী বেক্টরের। লাহোরে কেটেছে তাঁর শৈশব। দেশভাগের সময় তাঁরা ভারতে আসেন এবং দিল্লিতে পাকাপাকি ভাবে বাস করতে থাকেন। সেই দেশভাগের যন্ত্রণার কথা আউটলুক বিজনেসের এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাদের বলা হয়েছিল যে, আমরা পাঠানকোটগামী একটা ট্রেন পাব। কিন্তু ৭ দিন পর্যন্ত সেখানে কিছুই আসেনি। একটা সপ্তাহ আমরা গাছের তলাতেই কাটিয়ে দিয়েছি। এরপর একটা মালগাড়ি আসে। এখনও মনে আছে, সেখানে ছিল প্রচুর মৃতদেহ। পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকা দিয়ে যখন ট্রেন ছুটছিল, অনেকেই আমাদের খাবার ও লস্যি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। আমি ছোট ছিলাম। মা-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ওঁরা আমাদের কেন এসব দিচ্ছে? ওঁরা কি চেনে আমাদের?”
১৯৪৯ সালে বর্তমান পাকিস্তানের করাচিতে জন্ম রজনী বেক্টরের। লাহোরে কেটেছে তাঁর শৈশব। দেশভাগের সময় তাঁরা ভারতে আসেন এবং দিল্লিতে পাকাপাকি ভাবে বাস করতে থাকেন। সেই দেশভাগের যন্ত্রণার কথা আউটলুক বিজনেসের এক সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাদের বলা হয়েছিল যে, আমরা পাঠানকোটগামী একটা ট্রেন পাব। কিন্তু ৭ দিন পর্যন্ত সেখানে কিছুই আসেনি। একটা সপ্তাহ আমরা গাছের তলাতেই কাটিয়ে দিয়েছি। এরপর একটা মালগাড়ি আসে। এখনও মনে আছে, সেখানে ছিল প্রচুর মৃতদেহ। পঞ্জাবের বিস্তীর্ণ এলাকা দিয়ে যখন ট্রেন ছুটছিল, অনেকেই আমাদের খাবার ও লস্যি দিয়ে সাহায্য করেছিলেন। আমি ছোট ছিলাম। মা-কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, ওঁরা আমাদের কেন এসব দিচ্ছে? ওঁরা কি চেনে আমাদের?”
১৯৫৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পঞ্জাবের ব্যবসায়ী ধরমবীর বেক্টরের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় রজনীর। তখনও পড়াশোনা শেষ হয়নি তাঁর। বিয়ের পরে লুধিয়ানায় চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লুধিয়ানা খুবই ছোট্ট জায়গা ছিল। আর দিল্লির তুলনায় তা বেশ পিছিয়ে পড়া শহরই ছিল। গোটা শহরে মাত্র ৪টি গাড়ি ছিল। ফলে বিয়ের প্রথম দিকে খুবই অদ্ভুত লাগত।”বিয়ের পর তিন সন্তান জন্মায় দম্পতির। সন্তানদের বড় করার সময়ই রজনী পঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাঙ্কিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন। বরাবরই ব্যাঙ্কিং সেক্টরে ছিল তাঁর আগ্রহ। আর ছোট্ট এক শহরের এক মহিলার ব্যাঙ্কিং বিষয়ে তীক্ষ্ণ জ্ঞান কিন্তু কোনও ছোটখাটো বিষয় নয়। ফলে হিরো মোটোকর্পের ব্রিজমোহন মুঞ্জলের বড়সড় ব্যক্তিত্বদের থেকে প্রশংসা পেতে শুরু করেন। রজনী বেক্টরের এরপর মনে হতে থাকে যে, কিছু কাজ করা দরকার।
১৯৫৭ সালে মাত্র ১৭ বছর বয়সে পঞ্জাবের ব্যবসায়ী ধরমবীর বেক্টরের সঙ্গে বিয়ে হয়ে যায় রজনীর। তখনও পড়াশোনা শেষ হয়নি তাঁর। বিয়ের পরে লুধিয়ানায় চলে যাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “লুধিয়ানা খুবই ছোট্ট জায়গা ছিল। আর দিল্লির তুলনায় তা বেশ পিছিয়ে পড়া শহরই ছিল। গোটা শহরে মাত্র ৪টি গাড়ি ছিল। ফলে বিয়ের প্রথম দিকে খুবই অদ্ভুত লাগত।” বিয়ের পর তিন সন্তান জন্মায় দম্পতির। সন্তানদের বড় করার সময়ই রজনী পঞ্জাব এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাঙ্কিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন। বরাবরই ব্যাঙ্কিং সেক্টরে ছিল তাঁর আগ্রহ। আর ছোট্ট এক শহরের এক মহিলার ব্যাঙ্কিং বিষয়ে তীক্ষ্ণ জ্ঞান কিন্তু কোনও ছোটখাটো বিষয় নয়। ফলে হিরো মোটোকর্পের ব্রিজমোহন মুঞ্জলের বড়সড় ব্যক্তিত্বদের থেকে প্রশংসা পেতে শুরু করেন। রজনী বেক্টরের এরপর মনে হতে থাকে যে, কিছু কাজ করা দরকার।
কিছু ভাবনাচিন্তার পরে ১৯৭৮ সালে রজনী বিনিয়োগ করেছিলেন ২০০০০ টাকা। একটি ছোট্ট ক্রিম তৈরি করার ইউনিট বানিয়ে ফেলেন। এভাবেই প্রতিষ্ঠা করেন ক্রেমিকার। আর এই নামটি এসেছে ‘ক্রিম কা’ থেকে। দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে তাঁর পণ্য। যা বিখ্যাত সংস্থা কোয়ালিটিকেও চাপে ফেলে দিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে পঞ্জাবে একটি ব্রেড তৈরির ইউনিট বানান। ডাবল রোটি বানাতে শুরু করেন। যা আমরা আজ বান নামে জানি। পঞ্জাবে একে ডাবল রোটি বলা হয়। প্রাথমিক ভাবে এই ইউনিটের সাহায্যে প্রতিদিন ৫০০০ ডাবল রোটি বানানো হত। ১৯৮৯ সালে ডাবল রোটি তৈরির ক্ষমতা বাড়ানো হতে থাকে। তৈরি হয় ৫০০০০ রুটি। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর চাহিদা প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পায়।
কিছু ভাবনাচিন্তার পরে ১৯৭৮ সালে রজনী বিনিয়োগ করেছিলেন ২০০০০ টাকা। একটি ছোট্ট ক্রিম তৈরি করার ইউনিট বানিয়ে ফেলেন। এভাবেই প্রতিষ্ঠা করেন ক্রেমিকার। আর এই নামটি এসেছে ‘ক্রিম কা’ থেকে। দ্রুত জনপ্রিয়তা লাভ করতে শুরু করে তাঁর পণ্য। যা বিখ্যাত সংস্থা কোয়ালিটিকেও চাপে ফেলে দিয়েছিল। ১৯৮৫ সালে পঞ্জাবে একটি ব্রেড তৈরির ইউনিট বানান। ডাবল রোটি বানাতে শুরু করেন। যা আমরা আজ বান নামে জানি। পঞ্জাবে একে ডাবল রোটি বলা হয়। প্রাথমিক ভাবে এই ইউনিটের সাহায্যে প্রতিদিন ৫০০০ ডাবল রোটি বানানো হত। ১৯৮৯ সালে ডাবল রোটি তৈরির ক্ষমতা বাড়ানো হতে থাকে। তৈরি হয় ৫০০০০ রুটি। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর চাহিদা প্রায় ১০ গুণ বৃদ্ধি পায়।
১৯৮৫ সালে রজনী বেক্টর ১৯৫৬-র কোম্পানিজ অ্যাক্টের অধীনে নিজের সংস্থাকে প্রাইভেট লিমিটেজ কোম্পানি হিসেবে রেজিস্টার করেন। সেই সময় যে সফর শুরু হয়েছিল, তা আজও চলছে। ১৯৯৬ সালে ম্যাকডোনাল্ডসকেও বার্গার বান সরবরাহ করতে শুরু করে। ফলে তাঁর ব্যবসা নয়া উচ্চতায় পৌঁছে যায়। ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট স্থাপন করেন। যা প্রোডাকশন আরও বাড়িয়ে দেয়। ২০০৭ সালে আবার নয়ডা প্ল্যান্টের সম্প্রসারণ ঘটিয়ে প্রোডাকশন আরও বৃদ্ধি করা হয়।
১৯৮৫ সালে রজনী বেক্টর ১৯৫৬-র কোম্পানিজ অ্যাক্টের অধীনে নিজের সংস্থাকে প্রাইভেট লিমিটেজ কোম্পানি হিসেবে রেজিস্টার করেন। সেই সময় যে সফর শুরু হয়েছিল, তা আজও চলছে। ১৯৯৬ সালে ম্যাকডোনাল্ডসকেও বার্গার বান সরবরাহ করতে শুরু করে। ফলে তাঁর ব্যবসা নয়া উচ্চতায় পৌঁছে যায়। ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশের নয়ডায় একটি ম্যানুফ্যাকচারিং ইউনিট স্থাপন করেন। যা প্রোডাকশন আরও বাড়িয়ে দেয়। ২০০৭ সালে আবার নয়ডা প্ল্যান্টের সম্প্রসারণ ঘটিয়ে প্রোডাকশন আরও বৃদ্ধি করা হয়।
২০১০ সালে রজনী বেক্টরের কোম্পানি ওরিও থেকে ম্যাকডোনাল্ডসের মতো বড় কোম্পানির কাছে নিজেদের পণ্য সরবরাহ করতে শুরু করে। তাঁদের পণ্যের সিরিজে আরও একটি বিখ্যাত পণ্য যোগ হয়। এরপর ২০২০ সালে সংস্থার আইপিও আসে। যা তাঁর সাফল্যকে নয়া দিশা দেয়।আজকের দিন তাঁর সংস্থা ভারতীয় স্টক মার্কেটে লিস্টেড। ওই সংস্থার মার্কেট ক্যাপ ৮৩৩৯.৭৩ কোটি টাকা। ফিনোলজিতে ৫-এর মধ্যে ৪ স্টার পেয়েছে রজনীর কোম্পানি। ২০২০ সালে কোম্পানির সেলস ছিল ৭৬২.১২ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এর রেকর্ড সেলস ছিল ৮৮০.৭৩ কোটি টাকা, ২০২২ এবং ২০২৩-এ ছিল যথাক্রমে ৯৮৮.১৭ কোটি টাকা এবং ১৪০০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে ১১ জুলাই মিসেস বেক্টরের শেয়ার বিএসই-তে ১৪১৪.৫৫ টাকায় ক্লোজ হয়েছে। আর এনএসই-তে তা ক্লোজ হয়েছে ১৪১৪.৩৫ টাকায়।
২০১০ সালে রজনী বেক্টরের কোম্পানি ওরিও থেকে ম্যাকডোনাল্ডসের মতো বড় কোম্পানির কাছে নিজেদের পণ্য সরবরাহ করতে শুরু করে। তাঁদের পণ্যের সিরিজে আরও একটি বিখ্যাত পণ্য যোগ হয়। এরপর ২০২০ সালে সংস্থার আইপিও আসে। যা তাঁর সাফল্যকে নয়া দিশা দেয়।
আজকের দিন তাঁর সংস্থা ভারতীয় স্টক মার্কেটে লিস্টেড। ওই সংস্থার মার্কেট ক্যাপ ৮৩৩৯.৭৩ কোটি টাকা। ফিনোলজিতে ৫-এর মধ্যে ৪ স্টার পেয়েছে রজনীর কোম্পানি। ২০২০ সালে কোম্পানির সেলস ছিল ৭৬২.১২ কোটি টাকা। ২০২১ সালে এর রেকর্ড সেলস ছিল ৮৮০.৭৩ কোটি টাকা, ২০২২ এবং ২০২৩-এ ছিল যথাক্রমে ৯৮৮.১৭ কোটি টাকা এবং ১৪০০ কোটি টাকা। ২০২৪ সালে ১১ জুলাই মিসেস বেক্টরের শেয়ার বিএসই-তে ১৪১৪.৫৫ টাকায় ক্লোজ হয়েছে। আর এনএসই-তে তা ক্লোজ হয়েছে ১৪১৪.৩৫ টাকায়।