Tag Archives: Success

WB Madhyamik 10th Result 2024: প্রতিকূলতাকে জয় করে সাফল্য! মাধ্যমিক উত্তীর্ণ চার বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়াকে ঘিরে খুশির আমেজ

সুরজিৎ দে, জলপাইগুড়ি: সব প্রতিকূলতাকে হারিয়ে জয় ছিনিয়ে আনল বিশেষভাবে সক্ষম চারজন পরীক্ষার্থী। জীবনের প্রতি পদেই এদের দিতে হয় পরীক্ষা! রয়েছে শত বাধা। সব বাধা পেরিয়ে জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষায় সফল জলপাইগুড়ির বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এই চার মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হল রাজ্যজুড়ে। সকাল থেকেই অধীর আগ্রহে খানিক ভয়, খানিক উৎকণ্ঠা নিয়ে টেলিভিশনের সামনে অপেক্ষা করছিল লক্ষ লক্ষ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী।

প্রথম ১০-এর তালিকায় এত পড়ুয়ার মধ্যে কোথাও নিজের জায়গা করতে পারেনি জলপাইগুড়ির কোনও পড়ুয়াই। তাই সকাল থেকেই মন খারাপ শহরের বাসিন্দাদের। কিন্তু বেলা বাড়তেই প্রকাশ্যে আসে জলপাইগুড়ির চার বিশেষভাবে সক্ষম পড়ুয়ার সাফল্যের খবর। বিদ্যা সরকার, ঋক সরকার, সায়ন্তনী রায় ও পায়েল রায়-এরা চারজনই জন্ম থেকেই মূক ও বধির।  তাদের প্রাপ্ত নম্বর যথাক্রমে ১৯০, ২২৭, ১৮৪, ২২৮। নম্বর যা-ই হোক না কেন, জন্ম থেকেই নিজেদের মতো করেই লড়াই চালাচ্ছে এরা।

আরও পড়ুন : গরমে উপকারী হলেও ব্লাড সুগারে কি মিছরি খাওয়া যায়? মিছরি খেলে কি ডায়াবেটিস বাড়ে? জানুন

বড় হয়ে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর অসীম ইচ্ছে। আর এতেই খুশির আমেজ শহর জুড়ে। এ যেন খরার মধ্যেও এক চিলতে বৃষ্টি। জলপাইগুড়ির ইন্দিরা কলোনির বাসিন্দা ঋক সরকারের এই সাফল্যে খুশি তার মা এবং পরিবারের সকলে। অন্যদিকে, নেতাজি পাড়া পরেশ মিত্র কলোনির বাসিন্দা বিদ্যা সরকারের বাড়িতেও উৎবের আমেজ। তবে, এখনও অনেকটা পথ পেরিয়ে যাওয়া বাকি। উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পুলিশ হতে চায় বিদ্যা। শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও হার না মানা লড়াই চালাচ্ছে এদের প্রত্যেকেই। এই খবর ছড়িয়ে পড়া মাত্রই লড়াইকে কুর্নিশ জানিয়ে প্রশংসায় পঞ্চমুখ জলপাইগুড়িবাসী।

Success story: কলকাতায় শুরু, ভারতের বিস্কুটের বাজারে তোলপাড়, বলিউড অভিনেতারই হাজার কোটি টাকা ব্র্যান্ডের মুখ

: ভারতীয় বিস্কুটের বাজারে পার্লে-জি-র একচ্ছত্রাধিপত্য তা নিয়ে কারো মনে কোনও সংশয় নেই৷  এটি এমন একটি বিস্কুট প্রতিটি বাড়িতে, স্কুলে, চায়ের দোকানে, বড় বড় রেস্তোরাঁয় এমনকি হোটেলেও পাওয়া যায়। তবে Parle-G-র সাম্রাজ্যে এখন দুরন্তভাবে কব্জা করে নিয়েছে আরও একটি কোম্পানির বিস্কুট৷ যার মালিকের আবার সম্পর্ক কলকাতার সঙ্গে৷ পার্লে জিকে একচেটিয়া বাজারে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে প্রিয়া গোল্ড বিস্কুট৷
: ভারতীয় বিস্কুটের বাজারে পার্লে-জি-র একচ্ছত্রাধিপত্য তা নিয়ে কারো মনে কোনও সংশয় নেই৷  এটি এমন একটি বিস্কুট প্রতিটি বাড়িতে, স্কুলে, চায়ের দোকানে, বড় বড় রেস্তোরাঁয় এমনকি হোটেলেও পাওয়া যায়। তবে Parle-G-র সাম্রাজ্যে এখন দুরন্তভাবে কব্জা করে নিয়েছে আরও একটি কোম্পানির বিস্কুট৷ যার মালিকের আবার সম্পর্ক কলকাতার সঙ্গে৷ পার্লে জিকে একচেটিয়া বাজারে বড়সড় ধাক্কা দিয়েছে প্রিয়া গোল্ড বিস্কুট৷
বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল মাড়োয়ারি পরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর রক্তে ছিল ব্যবসা। তাঁর পৈতৃক ব্যবসা কলকাতায় তেলের ব্যবসা৷ কিন্তু বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল সেই ব্যবসা ভাল লাগত না। তিনি ভেবেছিলেন এমন কিছু করবেন যা অন্যরকম, আর তিনি করলেন এবং ভারতের বাজারে  নতুন বিস্কুট ব্র্যান্ড পেল  তা হল প্রিয়াগোল্ড। জেনে নিন ভিপি আগরওয়াল ও তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট  প্রিয়গোল্ড বিস্কুট।
বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল মাড়োয়ারি পরিবার থেকে এসেছেন। তাঁর রক্তে ছিল ব্যবসা। তাঁর পৈতৃক ব্যবসা কলকাতায় তেলের ব্যবসা৷ কিন্তু বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল সেই ব্যবসা ভাল লাগত না। তিনি ভেবেছিলেন এমন কিছু করবেন যা অন্যরকম, আর তিনি করলেন এবং ভারতের বাজারে  নতুন বিস্কুট ব্র্যান্ড পেল  তা হল প্রিয়াগোল্ড। জেনে নিন ভিপি আগরওয়াল ও তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট  প্রিয়গোল্ড বিস্কুট।
ভিপি আগরওয়ালের পরিবার নারকেল তেলের ব্যবসা করত। এটি ১৯৬৭ সালে, যখন বল্লভ প্রথমবার একই তেল দিয়ে একটি বিস্কুট তৈরি করেছিলেন। সেই বিস্কুটের নাম ছিল ‘প্রিয়া’।  বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল এমন একটি কাজ করলেন যাতে  তাঁর পরিবার এবং বন্ধুরা অবাক হয়ে যেতেন৷
ভিপি আগরওয়ালের পরিবার নারকেল তেলের ব্যবসা করত। এটি ১৯৬৭ সালে, যখন বল্লভ প্রথমবার একই তেল দিয়ে একটি বিস্কুট তৈরি করেছিলেন। সেই বিস্কুটের নাম ছিল ‘প্রিয়া’।  বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল এমন একটি কাজ করলেন যাতে  তাঁর পরিবার এবং বন্ধুরা অবাক হয়ে যেতেন৷
তাঁর পরিবার চেয়েছিল  তিনিও পরিবারের ব্যবসা করুন,  কিন্তু বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল বিস্কুটের ব্যবসাকে তাঁর প্রধান কাজ করে তোলে। তারা দিল্লি বা নয়ডায় (উত্তরপ্রদেশ) স্থানান্তরিত হয়েছে। ব্যবসা চালাতে টাকার প্রয়োজন ছিল। তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেন।  এরপর  জায়গা এবং টাকাও ছিল। বল্লভ প্রসাদ ভেবেছিলেন এমন একটি বিস্কুট বানাবেন করেছিলেন যা ছিল সোনার মতো খাঁটি এবং স্বাদে বেশ ভিন্ন এবং ভালো।
তাঁর পরিবার চেয়েছিল  তিনিও পরিবারের ব্যবসা করুন,  কিন্তু বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল বিস্কুটের ব্যবসাকে তাঁর প্রধান কাজ করে তোলে। তারা দিল্লি বা নয়ডায় (উত্তরপ্রদেশ) স্থানান্তরিত হয়েছে। ব্যবসা চালাতে টাকার প্রয়োজন ছিল। তিনি ব্যাঙ্ক থেকে ২৫ লক্ষ টাকা ঋণ নেন।  এরপর  জায়গা এবং টাকাও ছিল। বল্লভ প্রসাদ ভেবেছিলেন এমন একটি বিস্কুট বানাবেন করেছিলেন যা ছিল সোনার মতো খাঁটি এবং স্বাদে বেশ ভিন্ন এবং ভালো।
১৯৯৪ সালে, তিনি তার কোম্পানির নাম দেন সূর্য ফুডস,  কোম্পানির বিস্কুটের নাম রাখা হয় প্রিয়গোল্ড। তারা চেয়েছিলেন খুব ভাল মানের বিস্কুট কম দামে বিক্রি হোক। এর কিছুক্ষণ পরে, বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল প্রিয়াগোল্ড বাটার বাইট বিস্কুট তৈরি শুরু হোক। এই বিস্কুটের ট্যাগলাইন ছিল- ‘হক সে মাগো’- অর্থাৎ অধিকার চাও৷  এরপর থেকে বিস্কুটের পাশাপাশি এই ট্যাগলাইনটিও মানুষের মুখে মুখে।
১৯৯৪ সালে, তিনি তার কোম্পানির নাম দেন সূর্য ফুডস,  কোম্পানির বিস্কুটের নাম রাখা হয় প্রিয়গোল্ড। তারা চেয়েছিলেন খুব ভাল মানের বিস্কুট কম দামে বিক্রি হোক। এর কিছুক্ষণ পরে, বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল প্রিয়াগোল্ড বাটার বাইট বিস্কুট তৈরি শুরু হোক। এই বিস্কুটের ট্যাগলাইন ছিল- ‘হক সে মাগো’- অর্থাৎ অধিকার চাও৷  এরপর থেকে বিস্কুটের পাশাপাশি এই ট্যাগলাইনটিও মানুষের মুখে মুখে।
বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল ব্যবসা বড় করার আরও একটি স্ট্র্যাটেজি যা দারুণভাবে কাজ করে সেটি হল এর বিজ্ঞাপনকে দারুণ শক্তিশালী করেন তিনি৷ তিনি বুঝেছিলেন গুণমান ভাল, স্বাদের অভাব না থাকা সত্ত্বেও  তাঁর বিস্কুট লড়াইতে পিছিয়ে পড়ছে৷ এরপর তিনি অভিনেত্রী প্রিয়া তেন্ডুলকরকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করান।
বল্লভ প্রসাদ আগরওয়াল ব্যবসা বড় করার আরও একটি স্ট্র্যাটেজি যা দারুণভাবে কাজ করে সেটি হল এর বিজ্ঞাপনকে দারুণ শক্তিশালী করেন তিনি৷ তিনি বুঝেছিলেন গুণমান ভাল, স্বাদের অভাব না থাকা সত্ত্বেও  তাঁর বিস্কুট লড়াইতে পিছিয়ে পড়ছে৷ এরপর তিনি অভিনেত্রী প্রিয়া তেন্ডুলকরকে দিয়ে বিজ্ঞাপন করান।
প্রিয়া বিজ্ঞাপন জগতে এক প্রভাবশালী মুখ৷ জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক  একজন গৃহিণী রজনীর ভূমিকায় অভিনয় করার পরই তাঁর খ্যাতি হয়৷ এরপর তিনি বিজ্ঞাপন দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখও হয়ে ওঠেন৷ প্রিয়ার বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে তাঁর কাজ ফের এই বিস্কুটকেও বিপনণের বাজারে বড় ধাক্কা দেয়৷
প্রিয়া বিজ্ঞাপন জগতে এক প্রভাবশালী মুখ৷ জনপ্রিয় একটি ধারাবাহিক  একজন গৃহিণী রজনীর ভূমিকায় অভিনয় করার পরই তাঁর খ্যাতি হয়৷ এরপর তিনি বিজ্ঞাপন দুনিয়ার জনপ্রিয় মুখও হয়ে ওঠেন৷ প্রিয়ার বিস্কুটের বিজ্ঞাপনে তাঁর কাজ ফের এই বিস্কুটকেও বিপনণের বাজারে বড় ধাক্কা দেয়৷
৫৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত পার্লে-জি সাম্রাজ্যকে নাড়া দিতে চেয়েছিলেন।  বর্তমানে প্রিয়াগোল্ড একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড যার মূল্য ৩০০০ কোটি টাকা।
৫৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠিত পার্লে-জি সাম্রাজ্যকে নাড়া দিতে চেয়েছিলেন।  বর্তমানে প্রিয়াগোল্ড একটি শক্তিশালী ব্র্যান্ড যার মূল্য ৩০০০ কোটি টাকা।
শুধু বিজ্ঞাপনই নয়, বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি প্রিয়াগোল্ড বাটার বাইট, সিএনসি এবং জিগ-জ্যাগ সল্টির বিক্রিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০০৮ সাল নাগাদ, সূর্য ফুডস-এর বিক্রি ৪০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। এতে ৯০ শতাংশ রাজস্ব আসত প্রিয়গোল্ড বিস্কুট বিক্রি থেকে। প্রিয়াগোল্ড বিস্কুট, যা ১২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছিল, ব্রিটানিয়া, পার্লে জি এবং  আইটিসিকে লড়াইতে ফেলে দিয়েছিল৷
শুধু বিজ্ঞাপনই নয়, বিজ্ঞাপনের পাশাপাশি প্রিয়াগোল্ড বাটার বাইট, সিএনসি এবং জিগ-জ্যাগ সল্টির বিক্রিও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। ২০০৮ সাল নাগাদ, সূর্য ফুডস-এর বিক্রি ৪০০ কোটি টাকায় পৌঁছেছিল। এতে ৯০ শতাংশ রাজস্ব আসত প্রিয়গোল্ড বিস্কুট বিক্রি থেকে। প্রিয়াগোল্ড বিস্কুট, যা ১২ শতাংশ মার্কেট শেয়ার অর্জন করেছিল, ব্রিটানিয়া, পার্লে জি এবং  আইটিসিকে লড়াইতে ফেলে দিয়েছিল৷
২০২৩ সালে ৩০০০ কোটি টাকার বিক্রয়সূর্য ফুডস অল্প সময়ের মধ্যে স্ন্যাকার চকো ওয়েফার্স চালু করেছে। এটি দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত পণ্য - ডিউককে উৎসাহিত করার জন্য ছিল। বল্লভ আগরওয়াল গোয়ালিয়রে তার পঞ্চম প্ল্যান্ট স্থাপন করেন। এই কোম্পানিটি ১০০০ কোটি টাকার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। তিনি এখনও বলিউড হিরোইনদের দিয়ে তাঁর বিজ্ঞাপন করার ধারা জারি রেখেছেন৷
২০২৩ সালে ৩০০০ কোটি টাকার বিক্রয়
সূর্য ফুডস অল্প সময়ের মধ্যে স্ন্যাকার চকো ওয়েফার্স চালু করেছে। এটি দক্ষিণ ভারতের বিখ্যাত পণ্য – ডিউককে উৎসাহিত করার জন্য ছিল। বল্লভ আগরওয়াল গোয়ালিয়রে তার পঞ্চম প্ল্যান্ট স্থাপন করেন। এই কোম্পানিটি ১০০০ কোটি টাকার ব্র্যান্ডে পরিণত হয়েছে। তিনি এখনও বলিউড হিরোইনদের দিয়ে তাঁর বিজ্ঞাপন করার ধারা জারি রেখেছেন৷

Success Story: দ্বাদশের পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়ে পড়ায় সাময়িক ইতি! দুধ বিক্রির সঙ্গে লেখাপড়া করেই আইপিএস হন এই ’12th Fail’

দ্বাদশে অনুত্তীর্ণ হয়েও লেখা যায় জীবনে সাফল্যের চিত্রনাট্য। ‘টুয়েলফথ ফেল’ ছবির মতো অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে চলার পথের বাঁকে বাঁকে। সেরকমই এক নজির উজ্জ্বল হয়ে আছে পশ্চিমঘাট পর্বতের নীচে ত্র্যম্বকেশ্বরের কাছে মাহিরাবনি গ্রামে। দেশের আর পাঁচটা গ্রামের সঙ্গে সাধারণত্বে কোনও পার্থক্য নেই। এই গ্রামেই গবাদি পশু পালন করে অন্নসংস্থান করেন গণপত খণ্ডবহালে। তিনি এই গ্রামের দুধ ব্যবসায়ীদের মধ্যে একজন। এখন আইপিএস অফিসারের গর্বিত বাবা। তিনি এখনও বিশ্বাস করতে পারেন না তাঁর ছেলে দেশের ব্যস্ত আমলা। তাঁর ছেলে উমেশ এইচএসসি পরীক্ষায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। বাধ্য হয়ে যোগ দিয়েছিলেন পারিবারিক ব্যবসায়।

দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষায় ব্যর্থ হন উমেশ৷ সেখান থেকেই শুরু তাঁর সাফল্য যাত্রার৷ ক্লাস টুয়েলভে তিনি ফেল করেন ইংরেজি বিষয়ে৷ তাঁর কথায়, ‘‘আমি ইংরেজিতে ফেল করে হতাশ হয়ে পড়েছিলাম৷ সিন্নারে আবাসিক স্কুল ছেড়ে দিই আমি৷ বাড়িতে ফিরে এসে বাবার সঙ্গে যোগ দিই পারিবারিক ব্যবসায়৷ রোজ গ্রাম থেকে গরুর দুধ সংগ্রহ করে বিক্রি করতে যেতাম নাসিকের দুধবাজারে৷’’

মাহিরাবনি গ্রাম থেকে নাসিক যাওয়ার পথ ছিল যশবন্তরাও চহ্বন মহারাষ্ট্র ওপেন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসের ভিতর দিয়ে৷ ওই মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দিয়ে যাতায়াত করার সময়ই ঘুরে যায় উমেশের চিন্তাভাবনার মোড়৷ তিনি মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার কথা ভাবেন৷ সেটাই তাঁর কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট৷

টুয়েলফথ ফেল হয়েও উচ্চশিক্ষার পথ খুলে যায় উমেশের সামনে৷ তিনি হর্টিকালচারে বিএসসি পড়তে শুরু করেন৷ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হওয়ার পর ভর্তি হন নাসিকের কেটিএইচএম কলেজে৷ যে ইংরেজিতে ফেল করেছিলেন, সেই বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেন৷ পড়াশোনার পুরো পর্বই তিনি বাবার সঙ্গে পারিবারিক ব্যবসাতেও শামিল হয়েছিলেন৷ দিল্লি যাওয়ার পরিকল্পনা করেন স্নাতকোত্তরের পর৷

আরও পড়ুন : প্রেমে বাধা হয়নি বেড়াজাল, রাশিদের ছন্দের দোসর স্ত্রী জয়িতাই, তাঁদের আনন্দ মুহূর্ত এখন স্মৃতির জলছবি

বাবার সাহায্য নিয়েই উমেশ গ্রাম ছেড়ে নয়াদিল্লি চলে আসেন৷ ২০১২ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত রাজধানীই ছিল তাঁর ঠিকানা৷ ওই সময়পর্বে দু’বার ইউপিএসসি পরীক্ষায় বসেছিলেন৷ তৃতীয় প্রচেষ্টায় সর্বভারতীয় মেধাতালিকায় তিনি ৭০ তম স্থান পান৷ বর্তমানে তিনি জলপাইগুড়ির পুলিশ সুপার৷

নিজের উদাহরণ দিয়ে স্কুল কলেজ পড়ুয়াদের অনুপ্রাণিত করতে চান উমেশ৷ বোঝাতে চান, স্কুলের কোনও পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়া মানেই থেমে যাওয়া নয়৷ জীবনের পথ চলা এখনও বাকি থেকে যায়৷ চম্বলের মনোজ শর্মা থেকে পশ্চিমঘাট পাহাড়ের উমেশ খণ্ডবহালে-শিখিয়ে চলেছেন স্বপ্ন সফল করার চাবিকাঠি লুকিয়ে আছে ইচ্ছে আর উদ্যোগের ‘রিস্টার্ট’-এই৷

৩৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক, থাকেন খুবই সাধাসিধে ভাবে, চেনেন রাধা ভেম্বুকে

ধনী নারীর কথা আমাদের দেশে উঠলেই সবার আগে মনে পড়ে নায়িকাদের কথা। কিন্তু উদ্যোগপতিরা বৈভবে, মহিমায় ছাড়িয়ে যান তাঁদেরকেও। সবার আগে এই তালিকায় যাঁর নাম মনে আসে, তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অন্যতম কর্ণধার নীতা মুকেশ আম্বানি। যশ তাঁর বহুধাবিস্তৃত, সাফল্য এবং অবদান দেশের নানা ক্ষেত্রে সীমাহীন। এর পর একে একে অনেকেরই মনে পড়ে যেতে পারে সাবিত্রী জিন্দল, রেখা ঝুনঝুনওয়ালা, লীনা তিওয়ারিদের কথা। কিন্তু রাধা ভেম্বুর নাম প্রচারের আলোয় নেই।
ধনী নারীর কথা আমাদের দেশে উঠলেই সবার আগে মনে পড়ে নায়িকাদের কথা। কিন্তু উদ্যোগপতিরা বৈভবে, মহিমায় ছাড়িয়ে যান তাঁদেরকেও। সবার আগে এই তালিকায় যাঁর নাম মনে আসে, তিনি রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের অন্যতম কর্ণধার নীতা মুকেশ আম্বানি। যশ তাঁর বহুধাবিস্তৃত, সাফল্য এবং অবদান দেশের নানা ক্ষেত্রে সীমাহীন। এর পর একে একে অনেকেরই মনে পড়ে যেতে পারে সাবিত্রী জিন্দল, রেখা ঝুনঝুনওয়ালা, লীনা তিওয়ারিদের কথা। কিন্তু রাধা ভেম্বুর নাম প্রচারের আলোয় নেই।
আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে নিতান্তই আটপৌরে এক ভারতীয় নারী। সাজও তাঁর খুবই ছিমছাম। অথচ, এই রাধা ভেম্বুই প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। বিশ্বাস না হলেও এ নির্জলা বাস্তব। হালেই ৩৬০ ওয়ান ওয়েল্থ হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৩-এ উঠে এসেছে তাঁর নাম। জোভো কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাধার সাফল্য আত্মবিশ্বাস দেবে দেশের যে কোনও নারীকে।
আপাতদৃষ্টিতে দেখলে মনে হবে নিতান্তই আটপৌরে এক ভারতীয় নারী। সাজও তাঁর খুবই ছিমছাম। অথচ, এই রাধা ভেম্বুই প্রায় ৩৫,০০০ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। বিশ্বাস না হলেও এ নির্জলা বাস্তব। হালেই ৩৬০ ওয়ান ওয়েল্থ হুরুন ইন্ডিয়া রিচ লিস্ট ২০২৩-এ উঠে এসেছে তাঁর নাম। জোভো কর্পোরেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রাধার সাফল্য আত্মবিশ্বাস দেবে দেশের যে কোনও নারীকে।
ডিএনএ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের নিরিখে রাধার সম্পত্তির পরিমাণ সঠিক ভাবে বললে ৩৪,৯০০ কোটি টাকা। কৃষিখাতের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানকী হাই-টেক এগ্রো, রিয়েল এস্টেট সংস্থা হাইল্যান্ড ভ্যালির মালিক রাধার নাম এখন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দেশের ৪০তম ধনী ব্যক্তির তালিকায়। অথচ, এ হেন রাধা এবং তাঁর ভাই শ্রীধর ভেম্বুর বাবা একসময়ে কাজ করতেন মাদ্রাজ হাই কোর্টে স্টেনোগ্রাফার হিসাবে, সামান্য উপার্জনে কোনও মতে চলত সংসার। সেখান থেকে সাফল্যের এই সোপান বেয়ে ধাপে ধাপে স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছেন ভাই-বোন।
ডিএনএ ইন্ডিয়ার রিপোর্টের নিরিখে রাধার সম্পত্তির পরিমাণ সঠিক ভাবে বললে ৩৪,৯০০ কোটি টাকা। কৃষিখাতের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা জানকী হাই-টেক এগ্রো, রিয়েল এস্টেট সংস্থা হাইল্যান্ড ভ্যালির মালিক রাধার নাম এখন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে দেশের ৪০তম ধনী ব্যক্তির তালিকায়। অথচ, এ হেন রাধা এবং তাঁর ভাই শ্রীধর ভেম্বুর বাবা একসময়ে কাজ করতেন মাদ্রাজ হাই কোর্টে স্টেনোগ্রাফার হিসাবে, সামান্য উপার্জনে কোনও মতে চলত সংসার। সেখান থেকে সাফল্যের এই সোপান বেয়ে ধাপে ধাপে স্বচ্ছলতার মুখ দেখেছেন ভাই-বোন।
১৯৯৭ সালে আইআইটি মাদ্রাজ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্টে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে রাধা যোগ দেন জোহোতে। তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় জোহো আজ মাল্টিন্যাশনাল সংস্থার তকমা পেয়েছে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে ১৮০টি দেশে নিরলস পরিষেবা দিচ্ছে এই সংস্থা। সঙ্গত কারণেই জোহোতে সিইও শ্রীধরের মাত্র ৫ শতাংশ স্টেক থাকলেও রাধার অংশে রয়েছে ৪৭ ভাগ।
১৯৯৭ সালে আইআইটি মাদ্রাজ থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যানেজমেন্টে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করে রাধা যোগ দেন জোহোতে। তাঁর সুযোগ্য পরিচালনায় জোহো আজ মাল্টিন্যাশনাল সংস্থার তকমা পেয়েছে, প্রযুক্তিগত দিক থেকে ১৮০টি দেশে নিরলস পরিষেবা দিচ্ছে এই সংস্থা। সঙ্গত কারণেই জোহোতে সিইও শ্রীধরের মাত্র ৫ শতাংশ স্টেক থাকলেও রাধার অংশে রয়েছে ৪৭ ভাগ।
তবে, শুধুই বাণিজ্য নয়, সমাজসেবার ক্ষেত্রেও নিজের ভূমিকা বিস্মৃত হননি এই সংগ্রামী নারী। দেশের যুবসমাজের উন্নতির স্বার্থে প্রায়শই বিভিন্ন এডুকেশনাল এবং স্কলারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে দেখা যায় রাধাকে।
তবে, শুধুই বাণিজ্য নয়, সমাজসেবার ক্ষেত্রেও নিজের ভূমিকা বিস্মৃত হননি এই সংগ্রামী নারী। দেশের যুবসমাজের উন্নতির স্বার্থে প্রায়শই বিভিন্ন এডুকেশনাল এবং স্কলারশিপ প্রোগ্রামে অংশ নিতে দেখা যায় রাধাকে।

Success Story: ছিল টোটো, হল চলমান চায়ের দোকান! বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে বিপুল লাভবান যুবক

বনোয়ারীলাল চৌধুরী, পূর্ব বর্ধমান: চা জলখাবারের দোকান। তবে স্থির নয় , ভ্রাম্যমাণ। কিন্তু কেনই বা হঠাৎএহেন সিধান্ত ? কোথায়-ই বা দেখা মিলল এই চলমান চায়ের দোকানের, সেটা দেখুন । দেখতে সাধারণ চায়ের দোকানের মতোই। তবে সাধারণ দোকানের সঙ্গে এর ফারাক হল এটি ভ্রাম্যমাণ। ভ্রাম্যমাণ এই দোকানটিকে লক্ষ করলে বোঝা যাবে আদতে এটি একটি টোটো। যেটির রূপান্তর ঘটিয়ে চায়ের দোকানের রূপ দেওয়া হয়েছে। বর্ধমান শহরের বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে দেখা গেল এই চলমান দোকানটির। এই দোকানটির মালিকের নাম শেখ ইমতিয়াজ হোসেন। তার বাড়ি বর্ধমান শহরের নবাব হাট এলাকায়।

কিন্তু কেন হঠাৎ টোটোর মধ্যে দোকান খুললেন তিনি ? এর কারণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটি দোকান যদি এখন করতে যাই, সেটা পাঁচ- সাত লাখ টাকার ব্যাপার। তার উপর আলাদা ইনভেস্টমেন্ট রয়েছে। এ সবের পরেও সেই দোকান চলবে কি চলবে না, তার কোনও ঠিকঠিকানা নেই। টোটোতে দোকান করলাম এই কারণেই । টোটোতে দোকান করার সুবিধে হল কোনও জায়গায় খরিদ্দার কম হলে প্রয়োজন অনুযায়ী অন্য যে কোনও জায়গায় নিয়ে গিয়ে ব্যবসা করতে পারি।”

আরও পড়ুন : মুসুর না মুগ-কোন ডাল খাবেন ব্লাড সুগারের রোগীরা? জানুন বিশেষজ্ঞের মত

সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান যে সম্পূর্ণ নিজস্ব বুদ্ধিতেই এই কাজ তিনি করেছেন।পুরো কাজটি করতে খরচ হয়েছে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। জানা গিয়েছে দেড় মাস সময় লেগেছে এই ভ্রাম্যমান দোকানটি নির্মাণ করতে। দোকানটির কর্ণধার শেখ ইমতিয়াজ জানিয়েছেন, এর আগে জাতীয় সড়কের ধারে দোকান ছিল তাঁর।

জাতীয় সড়কে কাজ শুরু হলে ভাঙা পড়ে তার সেই দোকান। এর পর কর্মহীন হয়ে বেশ কয়েক মাস বাড়িতেই বসে ছিলেন তিনি। তার পর হঠাৎই শুরু করেন এই ব্যবসা। মাস পাঁচেক হলএই ব্যবসা শুরু করেছেন এবং বর্তমানেও বেশ ভালভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে তাঁর ব্যবসা। তবে তাঁর এই দোকানে কেবল সাধারণ চা নয়। সাধারণ চায়ের পাশাপাশি পান, গোলাপ, চকোলেটের-সহ একাধিক ফ্লেভারের চা-ও পাওয়া যায় বলে জানান। বিভিন্ন প্রকার চা ছাড়াও পাস্তা, স্যান্ডউইচ ও অন্যান্য খাবারও পাবেন।

( আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F)