তৈরি হচ্ছে মালপোয়া 

Rath Yatra 2024: জগন্নাথ দেবের প্রিয় এই খাবার, রথযাত্রায় বাড়িতেই বানিয়ে নিন ছানার মালপোয়া, রইল চটজলদি রেসিপি

মুর্শিদাবাদ: রবিবার রথযাত্রা। জগন্নাথ দেব নিজের বাড়ি থেকে রওনা দেবেন মাসির বাড়িতে। জগন্নাথ দেবকে পুজো হিসেবে অন্যতম ভোগ দেওয়া হয় মালপোয়া। মুর্শিদাবাদ জেলাতে মিষ্টির দোকানে তৈরি করা হচ্ছে ছানার মালপোয়া।

জগন্নাথ দেবের প্রসাদ হিসেবে ভোগ দেওয়া হয়ে থাকে মালপোয়া। তাই জোর কদমে চলছে মালপোয়া তৈরির কাজ। মালপোয়ার সংস্কৃত নাম “মল্লপূধা।” মালপোয়া খেলে মল্ল অর্থাৎ পালোয়ানের মতো শক্তি হয়, এই বিশ্বাসে এক সময় ঈশ্বরের কাছে মালপোয়া ভোগ নিবেদন করে প্রসাদ গ্রহণ করা হত। ভিন্ন মতে, মালপোয়ার ‘মাল’ শব্দটি নাকি ফারসি। আর পোয়া এসেছে সংস্কৃত ‘পূপ’ থেকে। পূপ মানে পিঠে।

আরও পড়ুন-  মাত্র ৭ দিনেই জব্দ! ধমনী থেকে নিংড়ে বার করবে কোলেস্টেরল, শিরায় জমে থাকা ময়লা হবে সাফ, রোজ পাতে রাখুন এই খাবার

মালপোয়া কিন্তু ঠিক বঙ্গীয় খাদ্য নয়। যদিও বাংলায় এটি দারুণ জনপ্রিয়। চৈতন্য চরিতামৃতে অবশ্য মালপোয়ার উল্লেখ নেই। বৃন্দাবনের ভক্ত বৈষ্ণবদের হাত ধরে এই সুখাদ্যটি গৌড়ীয় বৈষ্ণব সমাজে প্রবেশ করে। তবে পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি ওড়িশা, বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রের মতো রাজ্যেও মালপোয়া অত্যন্ত জনপ্রিয়।

আরও পড়ুন-  ভয়ঙ্কর তোলপাড় পরিবর্তন! সূর্য-মঙ্গল-বুধ-শুক্রের বিরাট চালে ভাগ্যের খেলা শুরু…! কারা ভাগ্যবান, কাদের লোকসান? আপনার কপালে কী?

বিভিন্ন উপকরণ দিয়েই ছানার মালপোয়া তৈরি করা যায়। চিনির রস কিংবা ময়দা, উভয়ের মধ্যে চুবিয়ে এই মালপোয়া খেতে অসাধারণ লাগে। একবার এভাবে ছানার তৈরি মালপোয়া খেয়ে দেখুন, মন্দ যে লাগবে না, সে কথা হলফ করে বলতে পারি। দৈনিক প্রায় ৫০০ কাছাকাছি তৈরি হয় এই মালপোয়া। বর্তমানে ৭ টাকা প্রতি পিস হিসেবে বিক্রি করা হয়ে থাকে। যা কিনতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ । ৫৬ ভোগের মধ্যে হিসেবে দেওয়া হয়ে থাকে মালপোয়াকে। প্রিয় প্রভু জগন্নাথ দেবকে ভোগ হিসেবে দেওয়ার জন্য ভিড় করছেন দোকানে ক্রেতারা ।

ছানার মালপোয়ার রেসিপি উপকরণ: দুধ- দেড় কাপ (হালকা গরম)ছানা পরিমান মতোময়দা- ১ কাপ মৌরি- ১ চামচ ঘি / সাদা তেল- ভাজার জন্য দুধ – ১ লিটার চিনি – ৩.৫ টেবিল চামচ এলাচ গুঁড়ো – ১/২ চা চামচ কাজু, পেস্তা, আমন্ড (ইচ্ছে মতো) কেশর- এক চিমটি (দুধে ভেজানো, অপশনাল)

কারিগর নির্মল মন্ডল জানান, ছানা ও ময়দা দিয়ে ভাল করে মেশাতে হবে। একেবারে মিশে গেলে তাতে অল্প অল্প করে ময়দা দিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন।যদি দুধ, ছানা এবং ময়দা মিক্সিতে দিয়ে মিহি করে মেশাতে পারেন তাহলে আরও ভাল হয়। সেক্ষেত্রে ময়দা ছাঁকনিতে ছেঁকে নেবেন। তাহলে ব্যাটারটি আরও ভাল হবে।এবার ব্যাটারটি একটি বড় পাত্রে ঢেলে নিন। এতে দিয়ে দিন এক চামচ মৌরি। ভাল করে মিশিয়ে নিন। মৌরি দেওয়ার আগে সেগুলিকে একটু থেঁতো করে নিলে ভাল হয়। এবার কড়াইয়ে ঘি এবং সাদা তেল গরম করুন। ডুবো তেলে মালপোয়া ভাজতে হবে।

দোকান মালিক রাজকুমার দত্ত জানান, মালপোয়া তৈরি করার সময়ে খেয়াল রাখতে হবে, ঘি গরম হয়ে গেলে এক ফোঁটা ব্যাটার নিয়ে তাতে দিয়ে দেখুন যে মিশ্রণটি ভেসে উঠছে কিনা। এইভাবেই বুঝতে পারবেন তেল বা ঘি ঠিকঠাক গরম হয়েছে কিনা।এবার একটি হাতা করে অল্প ব্যাটার নিয়ে তেলে সাবধানে ছেড়ে দিন। দেখবেন সেটি গোল লুচির মতো তেলে ভেসে উঠবে। এপিঠ ওপিঠ করে মালপোয়া ভেজে নিন। মালপোয়ার রং হালকা বাদামি করতে চাইলে বেশিক্ষণ ধরে ভাজুন। এভাবে একে একে মালপোয়া ভাজতে থাকুন।চিনির রস পছন্দ করলে মালপোয়াগুলি সিরায় ভেজান।

কৌশিক অধিকারী