প্রতিবাদ মিছিল 

Reclaim the Night: শঙ্খ ধ্বনি, ফ্ল্যাশ লাইটে নতুন স্বাধীনতার ভোর দেখল কাটোয়া

পূর্ব বর্ধমান: ‘মেয়েরা, রাত দখল করো’ আরজি কর হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর এই কথাটি সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছিল। সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বার্তা থেকে তৈরি হল এক অভূতপূর্ব গণজাগরণ। ১৪ অগাস্টের রাত বাংলার নারীদের দখলে চলে গেল। হাজারে হাজারে মানুষ মধ্যরাতে রাস্তায় হাঁটলেন।

আরজি করে জুনিয়র চিকিৎসকের নৃশংস মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হল প্রতিবাদ মিছিল। পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়া শহরেও বুধবার রাত্রে প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রায় এক হাজার মহিলাকে এই মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদের উপস্থিতিও ছিল চোখে পড়ার মত।

আর‌ও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ৬০ বছরের পুরনো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনল ক্লাব, যা যা হল…

মিছিলে উপস্থিত মহিলাদের হাতে ছিল বিভিন্ন ধরনের সচেতনতা মূলক বার্তা দিয়ে লেখা কাট আউট। প্রত্যেক মহিলার হাতে ছিল মোবাইল ফোন। মোবাইল ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট জেলে মহিলাদের এই প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। এছাড়াও বেশ কিছু মহিলাকে এই প্রতিবাদ মিছিলে শঙ্খধ্বনি দিতেও দেখা গিয়েছে। তবে শুধু মিছিলে অংশগ্রহণকারী মহিলারাই নয়, কাটোয়া শহরের বেশ কিছু বাড়িতেও এই শঙ্খ ধ্বনি দেওয়ার দৃশ্য চোখে পড়েছে। মোবাইলের আলোতে যেন এক অন্যরকম রূপে দেখা গেল কাটোয়া শহরকে। মিছিলে উপস্থিত অপরূপা ব্যানার্জী জানিয়েছেন, আমরা সবাই একসঙ্গে আছি সেই বার্তা দেওয়ার জন্যই এই মিছিলের আয়োজন। আমাদের সকলের জাস্টিস চাই। দরকার পড়লে আমরা আবার রাস্তায় নামব।

বুধবার রাত্রির প্রতিবাদ মিছিল থেকে দাবি ওঠে, আরজি করের ঘটনায় মূল অভিযুক্তকে ফাঁসির সাজা দিতে হবে। সকলেই একজোট হয়ে ন্যয্য বিচারের দাবিজানিয়েছেন। এছাড়াও মহিলাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েও অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। মিছিলে উপস্থিত অর্চিতা দত্ত জানিয়েছেন, আমার মনে হয় সিসিটিভি প্রত্যেকটা জায়গাতেই থাকা উচিত। মেয়ে মানেই সে ঘরে আটকে থাকবে এমনটা কখনওই নয়। প্রত্যেকের নিরাপত্তার প্রয়োজন রয়েছে। আশা করছি আমরা বিচার পাব এবং সঠিক বিচার পাব।

এই মিছিল কাটোয়া পুরসভার সামনে থেকে শুরু হয়ে কাটোয়া সার্কাস ময়দান নজরুল মূর্তির কাছে এসে শেষ হয়। মিছিল শেষে সকলে মৃত চিকিৎসকের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ১ মিনিটের নীরবতা পালন করেন।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী