Retirement Planning: ৩০-৩২ বছর বয়স? ৫০ বছর বয়সে অবসর নিতে চান? আপনাকে কী করতে হবে জানুন

দেশে অবসরের বয়স ৬০ বছর। তবে অনেকেই আগাম অবসর নিয়ে নেন। ইদানীং এই প্রবণতা বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। ৫০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার কথা শুনতে ভাল। কিন্তু কাজটা কঠিন। কারণ দ্রুত অবসর নিতে চাইলে অনেক কাজ একসঙ্গে করতে হবে।
দেশে অবসরের বয়স ৬০ বছর। তবে অনেকেই আগাম অবসর নিয়ে নেন। ইদানীং এই প্রবণতা বাড়ছে, বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে। ৫০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার কথা শুনতে ভাল। কিন্তু কাজটা কঠিন। কারণ দ্রুত অবসর নিতে চাইলে অনেক কাজ একসঙ্গে করতে হবে।
ধরে নেওয়া যাক, কারও ৩২ বছর বয়স। চাকরিতে তিনি খুশি নন। কিন্তু আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত চাকরি ছাড়তেও পারছেন না। এখন তিনি ঠিক করলেন, ৫০ বছর বয়সে যথেষ্ট অর্থ হাতে আসবে, তখন তিনি অবসর নেবেন। তার মানে হাতে সময় থাকছে ১৮ বছর। এই সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ তৈরি করবেন কীভাবে?
ধরে নেওয়া যাক, কারও ৩২ বছর বয়স। চাকরিতে তিনি খুশি নন। কিন্তু আর্থিক স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত চাকরি ছাড়তেও পারছেন না। এখন তিনি ঠিক করলেন, ৫০ বছর বয়সে যথেষ্ট অর্থ হাতে আসবে, তখন তিনি অবসর নেবেন। তার মানে হাতে সময় থাকছে ১৮ বছর। এই সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ তৈরি করবেন কীভাবে?
৫০ বছর বয়সে অবসর নিতে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা প্রয়োজন: মাথায় রাখতে হবে মানুষের আয়ু বাড়ছে। তাই ৮৫-৯০ বছর বয়স পর্যন্ত খরচ সামলানোর মতো টাকা হাতে রাখতে হবে। এই হিসাব অনুযায়ী, অবসরের পর তিনি ৪০ বছর কাটাবেন। এখন বার্ষিক ব্যয় ধরা যাক ৭.৫ লক্ষ টাকা। এর সঙ্গে গড় মুল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ ধরা যাক। তাহলে ৫০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার জন্য তাঁর ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা প্রয়োজন।
৫০ বছর বয়সে অবসর নিতে ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা প্রয়োজন: মাথায় রাখতে হবে মানুষের আয়ু বাড়ছে। তাই ৮৫-৯০ বছর বয়স পর্যন্ত খরচ সামলানোর মতো টাকা হাতে রাখতে হবে। এই হিসাব অনুযায়ী, অবসরের পর তিনি ৪০ বছর কাটাবেন। এখন বার্ষিক ব্যয় ধরা যাক ৭.৫ লক্ষ টাকা। এর সঙ্গে গড় মুল্যস্ফীতি ৬ শতাংশ ধরা যাক। তাহলে ৫০ বছর বয়সে অবসর নেওয়ার জন্য তাঁর ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা প্রয়োজন।
এই টাকা কী যথেষ্ট: এর উত্তর হল, না। স্ত্রী, সন্তান থাকলে শুধু অবসর গ্রহণের টাকা জমানোই যথেষ্ট নয়। সন্তানের লেখাপড়া এবং বিয়ের জন্যও সঞ্চয় করতে হবে। নিজের বাড়ি কেনার ইচ্ছা থাকলে, মেটাতে হবে তাও। তাই অবসর নেওয়ার আগে এই চাহিদাগুলোর কথাও মাথায় রাখতে হবে।
এই টাকা কী যথেষ্ট: এর উত্তর হল, না। স্ত্রী, সন্তান থাকলে শুধু অবসর গ্রহণের টাকা জমানোই যথেষ্ট নয়। সন্তানের লেখাপড়া এবং বিয়ের জন্যও সঞ্চয় করতে হবে। নিজের বাড়ি কেনার ইচ্ছা থাকলে, মেটাতে হবে তাও। তাই অবসর নেওয়ার আগে এই চাহিদাগুলোর কথাও মাথায় রাখতে হবে।
হঠাৎ কোনও কিছুর প্রয়োজন পড়তে পারে। আগে থেকে এর পরিকল্পনা করা যায় না। সেটা বাড়ি বা গাড়ি মেরামত হতে পারে। তখন সঞ্চয়ের একটা অংশ বেড়িয়ে যায়। তাড়াতাড়ি অবসর নেওয়ার কথা ভাবলে এই খরচগুলোর কথাও ভেবে রাখতে হবে।
হঠাৎ কোনও কিছুর প্রয়োজন পড়তে পারে। আগে থেকে এর পরিকল্পনা করা যায় না। সেটা বাড়ি বা গাড়ি মেরামত হতে পারে। তখন সঞ্চয়ের একটা অংশ বেড়িয়ে যায়। তাড়াতাড়ি অবসর নেওয়ার কথা ভাবলে এই খরচগুলোর কথাও ভেবে রাখতে হবে।
বয়স যত বাড়বে রোগভোগও বাড়বে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে চিকিৎসা খরচও। তাই স্বাস্থ্য বিমা নেওয়া প্রয়োজন। তবে স্বাস্থ্য বিমাই যথেষ্ট নয়। কারণ সেই সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় সম্পর্কেও ভাবতে হবে যা স্বাস্থ্যবিমায় অন্তর্ভুক্ত নেই। অতএব মেডিকেল কন্টিনজেন্সি ফান্ড তৈরি করতে হবে।
বয়স যত বাড়বে রোগভোগও বাড়বে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়বে চিকিৎসা খরচও। তাই স্বাস্থ্য বিমা নেওয়া প্রয়োজন। তবে স্বাস্থ্য বিমাই যথেষ্ট নয়। কারণ সেই সমস্ত চিকিৎসা ব্যয় সম্পর্কেও ভাবতে হবে যা স্বাস্থ্যবিমায় অন্তর্ভুক্ত নেই। অতএব মেডিকেল কন্টিনজেন্সি ফান্ড তৈরি করতে হবে।
সোজা কথায়, তাড়াতাড়ি অবসর নিতে চাইলে প্রচুর সঞ্চয়ের প্রয়োজন। আবার সঞ্চয় করতে গিয়ে নিজের বর্তমান খারাপ করাটাও কাজের কথা নয়। তাই শুরু থেকে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। সব দিক বজায় রাখতে পারলে তবেই দ্রুত অবসর নেওয়ার কথা ভাবা উচিত।
সোজা কথায়, তাড়াতাড়ি অবসর নিতে চাইলে প্রচুর সঞ্চয়ের প্রয়োজন। আবার সঞ্চয় করতে গিয়ে নিজের বর্তমান খারাপ করাটাও কাজের কথা নয়। তাই শুরু থেকে সঠিক পরিকল্পনা করতে হবে। সব দিক বজায় রাখতে পারলে তবেই দ্রুত অবসর নেওয়ার কথা ভাবা উচিত।