উত্তর ২৪ পরগনা: দীর্ঘ ১৩ বছরের সম্পর্কে পড়াশোনা পাগল মেধাবী বান্ধবী যে আর জি কর হাসপাতালে গিয়ে ধীরে ধীরে নানা চাপের মধ্যে পড়ছেন তা যেন আগেই আঁচ করতে পেরেছিল বয়সে কয়েক বছরের বড় সিনিয়র ডাক্তার প্রেমিক।
সম্পর্কের শুরু থেকেই ছোটখাটো বিষয়ে জানাতেন সিনিয়র প্রিয় বন্ধুকেই। তবে ভালোবাসার মানুষকে হয়তো বর্তমান কর্মক্ষেত্রে চলা পরিস্থিতির সবটুকু বলে ওঠার আগেই ঘটলো এই নৃশংস নারকীয় ঘটনা। নম্র, ভদ্র, বিনয়ী হওয়ার কারণে পাশাপাশি কাজের প্রতি ভালবাসা থেকেই আরজি করের অন্দরে চলা চাপের সঙ্গেও লড়াই করতে হচ্ছিল নির্যাতিতা ওই ডাক্তার পড়ুয়াকে। তবে কিছুদিন যাবৎ বদলে ছিল গোটা পরিস্থিতি।
বাবা-মায়ের পাশাপাশি তাই ভালোবাসার মানুষের কাছেও এক প্রকার আক্ষেপ করে জানিয়েছিল, “আমার আর নাইটটা করতে ভাল লাগে না। কেমন যেন অসুবিধা হয়।” অসুবিধার কথা বিশদে জিজ্ঞাসা করায়, তার কোন ব্যাখ্যা দেননি প্রেমিকা, নির্যাতিতা ওই ডাক্তারি পড়ুয়া।
“এর আগেও বহুবার বহু জায়গায় নাইট করেছে ও। তবে সম্ভবত কিছু একটা আঁচ করতে পারছিল।” অনুমান ১৩ বছর ধরে চেনা ভালবাসার প্রেমিকের। যখনই ওর সঙ্গে কথা হতো তখন বেশিরভাগ সময়ে চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয় এবং পেশেন্টদের ট্রিটমেন্ট নিয়ে কথা বলতেন দু’জনে। কথাগুলো বলতে গিয়ে ভালবাসার মানুষকে হারানো চিকিৎসক প্রেমিকের ধরে আসছিল গলা। তবে এই নারকীয় ঘটনা যে একজনের কাজ নয়, তাই একপ্রকার মেনে নিচ্ছেন তিনিও।
ছিল মুক্তোর মত হাতের লেখা, পড়াশোনা বাদ দিয়ে কোনও কিছুই বুঝত না। এটুকুই বলার একজন অসাধারণ ডাক্তারকে হারালাম আমরা। কান্না ভেজা গলায় জানালো আর জি কর হাসপাতালে কর্তব্যরত অবস্থায় ধর্ষণ করে খুন করা ডাক্তারের বন্ধু । এখন তার দাবি, যত দ্রুত সম্ভব পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হয়ে, যে কজন এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত আছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তদন্তের বিষয় নিয়েও “কাকু কাকিমার সঙ্গে” কথা হয়েছে বলেও জানায় সে। ডাক্তার প্রেমিকের ভালোবাসার চিকিৎসক প্রেমিকাকে দেওয়া, শেষ উপহার ছিল ‘হ্যারিসনের’ একটি বই। সে কথা মনে করতে গিয়ে আজ যেন চোখের কোনে থাকা জল আর বাধ মানছে না।
উঠে আসুক আসল প্রকৃত সত্য। চরম শাস্তি হোক অপরাধীদের এখন প্রেমিকার আত্মার শান্তি কামনা করে এটুকুই চাইছে নির্যাতিতা তরুনীর ভালবাসার ডাক্তার প্রেমিক।
Rudra Narayan Roy