সৃজন ভট্টাচার্য৷

প্রচারে হাজির সন্দেশখালির মহিলারা, যাদবপুরে হাল ছাড়ছেন না সৃজন

কলকাতা: লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে সন্দেশখালিকে অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে বিরোধী দলগুলি। শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কথা বলে রাজ্যে মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে নির্বাচনী প্রচারে। এই বক্তব্যকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলতে সন্দেশখালির মহিলাদের প্রচারে নিয়ে এল সিপিএম। সম্প্রতি যাদবপুরে সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্যের প্রচারে আসেন সন্দেশখালির মহিলারা। যদিও সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে বিরোধীরা অপপ্রচার করছে বলেও পাল্টা প্রচার করছে তৃণমূলও৷

লোকসভা নির্বাচন শুরু হয়ে গিয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে চার দফার নির্বাচন শেষ। যদিও বাকি কেন্দ্রগুলিতেও প্রচারের কাজ চলছে জোর কদমে। তবে শেষ দফার নির্বাচনে কেন্দ্রগুলির প্রার্থীরা প্রচারের সময় বেশি পাওয়াতে সেটা তাঁরা বেশ ভালো ভাবেই ব্যবহার করছেন। বিভিন্ন অংশের মানুষের কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। এদের মধ্যে অন্যতম যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সৃজন ভট্টাচার্য। কখনও তিনি শহরের ভোটারদের মন পেতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কখনও বা পৌঁছে যাচ্ছেন ভাঙ্গরের মতন গ্রামীণ এলাকায়। সেখানে কৃষি কাজের সঙ্গে যুক্ত মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। আবার প্রাক্তন ছাত্রনেতা হওয়ায় যুব সমাজের মধ্যে থাকা জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন সৃজন ভট্টাচার্য। প্রচার নিয়ে যাচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষের কাছেও। ছোট বড় সভা, মিছিল যেমন করছেন তেমনই দোল, ইদের মতো উৎসবেও মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছেন। প্রচার চলছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও।
একই ভাবে মহিলা ভোটারদের সমর্থন পেতেও উদ্যোগী হয়েছেন যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিএমের এই তরুণ প্রার্থী।

সম্প্রতি মহিলাদেরকে নিয়ে একটি সভা করেন তিনি। গড়িয়া অ্যান্ড্রুজ কলেজের মাঠে এই সভায় অংশ গ্রহণ করেন চাষের জমিতে কাজ করা প্রান্তিক মহিলা। এ ছাড়াও স্বনির্ভর গোষ্ঠী, সমবায়, অঙ্গনওয়াড়ি, গৃহ সহায়িকাদের সঙ্গে যোগ দেন আইটিতে কাজ করা মহিলারাও। সবাই এ দিন তাঁদের সঙ্গে হওয়া বঞ্চনার কথা তুলে ধরেন।

আরও পড়ুন: বাংলার সিপিএম, কংগ্রেসকে ধরবেন না…ইন্ডিয়া জোট জিতলে কী অবস্থান? জানিয়ে দিলেন মমতা

ওই সভায় সন্দেশখালির মহিলারাও উপস্থিত হন। তাঁরাও অত্যাচার ও জমি লুঠের অভিযোগের পাশাপাশি তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। সাংসদ হয়ে মহিলাদের জন্য কী কাজ করতে চান সেই কথা বলতে গিয়ে সৃজন প্রতিশ্রুতি দেন, এমপি ল্যাডের তিন ভাগের এক ভাগা টাকা তিনি খরচ করবেন মহিলাদের কালচারাল সেন্টার, বিজ্ঞান শিক্ষা কেন্দ্র, যৌথ রান্নাঘর, ক্রেশ, সমবায় ও ক্ষুদ্র ঋণের ব্যবস্থা ইত্যাদির জন্য। সেল্ফ ডিফেন্স ক্যাম্প করার কথাও বলেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের মতে, রাজ্যের শাসকদল মহিলাদের একটা বড় অংশের সমর্থন পেয়ে থাকেন। যাদবপুর কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীও মহিলা। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প বিশেষ করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের জন্য মহিলারা বিশেষ ভাবে সুবিধা পেয়ে থাকেন। ফলে সেই অংশের সমর্থনও স্বাভাবিকভাবে সেই দিকেই ঝুঁকে থাকবে এটা ধরেই এই রণকৌশল নিয়েছে সিপিএম। এই অংশের সমর্থনে ভাগ বসিয়ে ভোট যুদ্ধে লাভ তুলতে চাইছে দল। একই সঙ্গে সন্দেশখালির মহিলাদের সামনে রেখেও শাসকদলকে নিশানা করছেন সিপিএম প্রার্থী৷