সন্দীপ ঘোষের বিলাসবহুল বাড়ি 

Sandip Ghosh: এবার খোঁজ মিলল ক্যানিংয়ের এক বাংলো বাড়ির! সন্দীপের আরও এক ‘রহস্য’ ফাঁস! কী হত এই বাড়িতে?

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: আরজি কর হাসপাতালে দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের বিলাসবহুল বাংলোর খোঁজ পাওয়া গেল ক্যানিংয়ে। এই নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সন্দীপবাবুর এই বাংলোটি ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় অবস্থিত। বাংলোটি প্রায় দশ বিঘে জমির উপর তৈরি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের। বাড়িটির নাম ‘সঙ্গীতা-সন্দীপ ভিলা’।

জানা গিয়েছে, বছর দুই আগে এই বাংলোটি তৈরি করা হয়েছিল। দেখভাল করার জন্য একজন কেয়ারটেকারও রয়েছেন। মাঝেমধ্যেই পরিবার নিয়ে এখানে সময় কাটাতে আসতেন সন্দীপবাবু। খাওয়া দাওয়া করে আবার বেরিয়ে যেতেন। কিন্তু আরজি কর কাণ্ডের আগে থেকেই এখানে আর আসেননি প্রাক্তন অধ্যক্ষ। আপাতত তালা বন্ধ অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিলাসবহুল বাংলোটি। প্রাক্তন অধ্যক্ষের গ্রেফতারের পর থেকেই তার নানা বিষয়কে ঘিরে কৌতূহল বেড়েছে সাধারণ মানুষের। এবার তার এই বিলাসবহুল বাংলাকে ঘিরেও আগ্রহ তুঙ্গে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের ঘুটিয়ারি শরিফের নারায়ণপুর মৌজাতে কেনা হয়েছে কয়েকশো বিঘা জমি। শুধু তাই নয়, সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল বাংলো বাড়ি। স্থানীয় বেশ কিছু যুবক সেখানে ফার্ম হাউস তৈরি করেছেন। কিন্তু পুরোটাই চলতো সন্দীপ ঘোষের নির্দেশ মতোই। সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থের অপচয়, ভেন্ডর নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্বজনপোষণ, চুক্তিভিত্তিক কর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ ছাড়াও বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিক্রি করে দেওয়া-সহ একাধিক অভিযোগ করেছিলেন প্রাক্তন ডেপুটি সুপার আখতার আলি।

আরও পড়ুন: পৃথিবীর একমাত্র প্রাণী, যার দুধের রং কালো! জানেন কোন প্রাণী? নাম শুনলে কিন্তু চমকে উঠবেন

সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিবিআই। ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে সন্দীপ ঘোষ সহ বেশ কয়েকজনকে। সেই সন্দীপ ঘোষেরই একটি বাংলো বাড়ির হদিশ মিলেছে ক্যানিং ২ নম্বর ব্লকের নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। বাড়িটির নাম ‘সঙ্গীতাসন্দীপ ভিলা’। তবে তাঁর সেই বাড়ির কেয়ারটেকার জাকির লস্কর বলেন, ”তিনি মাঝেমধ্যেই ফ্যামিলি নিয়ে এই নারায়ণপুরের বাংলো বাড়িতে আসতেন। প্রায় দু বছর আগে তিনি এই বাড়িটি তৈরি করেছিলেন। সারাদিন থাকতেন। খাওয়াদাওয়া করতেন। দিনের বেলা সময় কাটাতেন, তারপর বেরিয়ে যেতেন।” তবে সেই বাড়িটি এখন তালাবন্ধ দীর্ঘদিন ধরে। যোগাযোগও বন্ধ সেই বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে। আরজি করের ঘটনা ঘটার পর থেকে নারায়ণপুরের সেই বাড়িতে আর যাননি সন্দীপ ঘোষ।

—- সুমন সাহা