এভারেস্টে ট্র্যাফিক জ্যাম! হ্যাঁ, দেখলে শিউরে উঠতে হয়। শয়ে শয়ে অভিযাত্রী গা ঘেঁষাঘেঁষি করে উঠছেন। পিছন ফেরারও জায়গা নেই। ২৯ মে আন্তর্জাতিক এভারেস্ট ডে-র ঠিক কয়েকদিন আগে সামনে এল সেই ভিডিও।
ভারতীয় পর্বতারোহী রাজন দ্বিবেদী শেয়ার করেছেন এই ভিডিও। সেখানেই উঠে এসেছে এভারেস্ট আরোহণের সবচেয়ে কম আলোচিত কিন্তু ভীতিকর দিক। সেটা হল পাহাড়ে ‘ট্র্যাফিক জ্যাম’। এক দশকের স্বপ্ন পূরণ করে এভারেস্ট আরোহণ করেছেন রাজন। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা তাঁর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সরু পথ। আর সেই পথে পর্বতারোহীদের দীর্ঘ লাইন।
ভিডিওর ক্যাপশনে রাজন লিখেছেন, “মাউন্ট এভারেস্টে চড়া কোনও মজা নয়। সিরিয়াস বিষয়। আরোহণের তিনটি ভাগ – ক) খুম্বু আইসফল খ) C3 থেকে C4 গ) C4 থেকে সামিট। সারারাত ঠান্ডা বাতাসে যেন মৃত্যু উপত্যকা। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর ৫০০ পর্বতারোহী, অপেশাদাররা মাউন্ট এভারেস্টের চুড়ো ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেন। ২৫০ থেকে ৩০০ জনই সফল হন। আমার মনে হয় ১৯৫৩ সালে মে মাসে প্রথম আরোহণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০০০ জন সফল হয়েছেন।”
View this post on Instagram
ফ্রস্ট বাইট, স্নো ব্লাইন্ডনেস নিয়েও অনেক পর্বতারোহী শেষ পর্যন্ত লড়ে যান। কোনও ডেটাবেসেই তাঁদের পরিসংখ্যান নেই। রাজনের কথায়, “ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওঠা এবং নামার একটাই দড়ি। এর প্রধান কারণ হল আবহাওয়া। আমার কাছে নিচে নামাটা দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। প্রচণ্ড ক্লান্তিকর। সেই সময়েই উপরে ওঠার জন্য পর্বতারোহীদের বিশাল লাইন”।
আরও পড়ুন: সরকারি দুর্নীতি থেকে বেকারত্ব! বিশ্বের কোন কোন দেশে অপরাধের হার বেশি? রইল তালিকা
আরও পড়ুন: অমৃত সমান! এই পাতার রস সব রোগের যম… ওষুধ লাগবে না, সারবে বাঘা বাঘা অসুখ
ভিডিও-র কমেন্ট সেকশনে বিতৃষ্ণা উগড়ে দিয়েছেন অনেকেই। একজন লিখেছেন, “মাউন্ট এভারেস্টে ওঠা আমার স্বপ্ন ছিল। এখন সেই স্বপ্ন মুলতুবি রাখলাম। আপনাকে ধন্যবাদ”। অনেকেই পর্বতারোহীদের নিরাপত্তা কামনা করেছেন। লিখেছেন, “আশা করি সবাই সুস্থ শরীরে নেমে আসতে পারবেন”। আরেকজন লিখেছেন, “এর থেকে বড় রসিকতা আর কিছু হয় না”।
তবে এমন লাইন দেখে বেশিরভাগ ইউজারই ক্ষুদ্ধ। তাঁরা বলছেন, “আরে, মাউন্ট এভারেস্টকে তো দাদর স্টেশন বানিয়ে ছেড়েছে”। আরেকজনের সরস মন্তব্য, “পিক আওয়ারে ঘাটকোপার-ভারসোভা মেট্রো লাইনের সঙ্গে তুলনা করা উচিত ছিল! একই পরিস্থিতি”।