Tag Archives: Mountain

Offbeat Destination: না গেলেই মিস! গরমেও শীতলতার পাবেন এই কয়েক জায়গা! গ্রীষ্মে খুব কম খরচে ঘুরে আসুন

উত্তরাখণ্ডঃ ভারতে অন্যতম দর্শনীয় রাজ্যগুলির মধ্যে একটি হল উত্তরাখণ্ড। প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষ এই রাজ্যে ঘুরতে আসেন। এখানে কেদারনাথ থেকে শুরু করে পাঁচটি প্রয়াগ, মুসৌরি বা নৈনিতালের মতো সুন্দর পাহাড়ি শহর, ধার্মিক থেকে নান্দনিক সমস্ত রকমের স্থানই এখানে রয়েছে। নৈনিতাল থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত সুন্দর হিল স্টেশন প্যাঙ্গোট। খুব সুন্দর এই জায়গাটি নৈনিতালে আসা পর্যটকদের খুব পছন্দ হয়। এখানকার শান্ত, মনোরম আবহাওয়া এবং সুন্দর দৃশ্য যে কোনও পর্যটকের হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।

আরও পড়ুনঃ রাতে দেরিতে ঘুমিযে সকালে দেরিতে ওঠার অভ্যাস? শরীরে কী হচ্ছে জানেন? জানুন আসল সত্যি

কিলবাড়ি নৈনিতাল থেকে প্রায় ৭ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। খুব সুন্দর এই জায়গায় বন বিভাগ একটি কৃত্রিম লেক তৈরি করেছে। এর পাশাপাশি এখানে অবস্থিত বাংলো থেকে দেখা হিমালয়ের সুন্দর দৃশ্য হৃদয়কে প্রশান্তি দেয়।

নাথুভাখান শহর নৈনিতাল থেকে প্রায় ৪৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। পাহাড়ি ভূখণ্ড, সবুজ উপত্যকা এবং ললাট বন সহ, এই অঞ্চলটি শহরের দ্রুত জীবন থেকে দূরে বিশ্রাম নেওয়ার এবং নির্জনতা উপভোগ করার জন্য একটি দুর্দান্ত জায়গা। এখান থেকে হিমালয়ের সুন্দর রেঞ্জ দেখতে পাওয়া যায়।

মুক্তেশ্বর নৈনিতাল থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। প্রাচীনকাল থেকে এখানে স্থাপিত মুক্তেশ্বর মহাদেব মন্দিরে প্রতি বছর অগুনতি ভক্তের আগমন ঘটে। বলা হয় যে, পাণ্ডবরা এই স্থানে ভগবান শিবের দর্শন করে মোক্ষ লাভ করেছিলেন। এই কারণেই এই স্থানের নামকরণ হয় মুক্তেশ্বর। এখান থেকে দেখা সূর্যাস্তের দৃশ্যের পাশাপাশি হিমালয়ের অতিপ্রাকৃত পরিসর পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। মুক্তেশ্বর হল ব্রিটিশদের দ্বারা বসতি স্থাপন করা একটি শহর, যা সারা বিশ্বে আপেলের জন্য পরিচিত।

গাগর শহর নৈনিতাল জেলা সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। ভাওয়ালি মুক্তেশ্বর রোডের মাল্লা রামগড়ের কাছে অবস্থিত একটি ছোট খুব সুন্দর শহর গাগর। এখান থেকে দৃশ্যমান সমগ্র হিমালয় পর্বতমালার দৃশ্য অতিপ্রাকৃত। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অবস্থিত এই স্থানটি পরিবেশপ্রেমী ও পর্যটকদের প্রথম পছন্দ। ভাওয়ালি থেকে মুক্তেশ্বর যাওয়ার পর্যটকরা প্রায়ই এই জায়গায় থামেন এবং প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্যের সাক্ষাৎ পান।

Mount Everest: এভারেস্টে ভয়াবহ ‘ট্র্যাফিক জ্যাম’! দুর্গম পথে ভয়ঙ্কর দৃশ্য, ঠিক কী ঘটছে সেখানে, রইল ভিডিও

এভারেস্টে ট্র্যাফিক জ্যাম! হ্যাঁ, দেখলে শিউরে উঠতে হয়। শয়ে শয়ে অভিযাত্রী গা ঘেঁষাঘেঁষি করে উঠছেন। পিছন ফেরারও জায়গা নেই। ২৯ মে আন্তর্জাতিক এভারেস্ট ডে-র ঠিক কয়েকদিন আগে সামনে এল সেই ভিডিও।

ভারতীয় পর্বতারোহী রাজন দ্বিবেদী শেয়ার করেছেন এই ভিডিও। সেখানেই উঠে এসেছে এভারেস্ট আরোহণের সবচেয়ে কম আলোচিত কিন্তু ভীতিকর দিক। সেটা হল পাহাড়ে ‘ট্র্যাফিক জ্যাম’। এক দশকের স্বপ্ন পূরণ করে এভারেস্ট আরোহণ করেছেন রাজন। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা তাঁর ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, সরু পথ। আর সেই পথে পর্বতারোহীদের দীর্ঘ লাইন।

ভিডিওর ক্যাপশনে রাজন লিখেছেন, “মাউন্ট এভারেস্টে চড়া কোনও মজা নয়। সিরিয়াস বিষয়। আরোহণের তিনটি ভাগ – ক) খুম্বু আইসফল খ) C3 থেকে C4 গ) C4 থেকে সামিট। সারারাত ঠান্ডা বাতাসে যেন মৃত্যু উপত্যকা। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছর ৫০০ পর্বতারোহী, অপেশাদাররা মাউন্ট এভারেস্টের চুড়ো ছোঁয়ার স্বপ্ন দেখেন। ২৫০ থেকে ৩০০ জনই সফল হন। আমার মনে হয় ১৯৫৩ সালে মে মাসে প্রথম আরোহণের পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০০০ জন সফল হয়েছেন।”

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Rajan Dwivedi (@everester.raj)

ফ্রস্ট বাইট, স্নো ব্লাইন্ডনেস নিয়েও অনেক পর্বতারোহী শেষ পর্যন্ত লড়ে যান। কোনও ডেটাবেসেই তাঁদের পরিসংখ্যান নেই। রাজনের কথায়, “ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ওঠা এবং নামার একটাই দড়ি। এর প্রধান কারণ হল আবহাওয়া। আমার কাছে নিচে নামাটা দুঃস্বপ্নের মতো ছিল। প্রচণ্ড ক্লান্তিকর। সেই সময়েই উপরে ওঠার জন্য পর্বতারোহীদের বিশাল লাইন”।

আরও পড়ুন: সরকারি দুর্নীতি থেকে বেকারত্ব! বিশ্বের কোন কোন দেশে অপরাধের হার বেশি? রইল তালিকা

আরও পড়ুন: অমৃত সমান! এই পাতার রস সব রোগের যম… ওষুধ লাগবে না, সারবে বাঘা বাঘা অসুখ

ভিডিও-র কমেন্ট সেকশনে বিতৃষ্ণা উগড়ে দিয়েছেন অনেকেই। একজন লিখেছেন, “মাউন্ট এভারেস্টে ওঠা আমার স্বপ্ন ছিল। এখন সেই স্বপ্ন মুলতুবি রাখলাম। আপনাকে ধন্যবাদ”। অনেকেই পর্বতারোহীদের নিরাপত্তা কামনা করেছেন। লিখেছেন, “আশা করি সবাই সুস্থ শরীরে নেমে আসতে পারবেন”। আরেকজন লিখেছেন, “এর থেকে বড় রসিকতা আর কিছু হয় না”।

তবে এমন লাইন দেখে বেশিরভাগ ইউজারই ক্ষুদ্ধ। তাঁরা বলছেন, “আরে, মাউন্ট এভারেস্টকে তো দাদর স্টেশন বানিয়ে ছেড়েছে”। আরেকজনের সরস মন্তব্য, “পিক আওয়ারে ঘাটকোপার-ভারসোভা মেট্রো লাইনের সঙ্গে তুলনা করা উচিত ছিল! একই পরিস্থিতি”।