পাঁচমিশালি Science: ‘এই’ কারণেই ধ্বংস হবে পৃথিবী! সে কী! ভয়ঙ্কর, বিজ্ঞানীদের চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট, ভয়ে শিউরে উঠবেন Gallery July 8, 2024 Bangla Digital Desk নিবিরু। প্ল্যানেট এক্স। মায়ান ক্যালেন্ডারের অ্যাপোক্যালিপস। মহা বন্যা। বিধ্বংসী আগুন। একটি বাইবেলের ভবিষ্যদ্বাণী। সুপার আগ্নেয়গিরি। অথবা একটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে কোন-ও গ্রহাণু বা ধূমকেতু…! প্রতি কয়েক বছর বা প্রতি মাসেই পৃথিবী ধ্বংসের এরকম নানা খবর ভাইরাল হয়। কিন্তু আদতেই কীভাবে ধ্বংস হবে পৃথিবী? কীভাবে মৃত্যু হবে গোটা বিশ্বের? সম্প্রতি বিশেষজ্ঞরা সেই রিপোর্ট-ই সামনে আনল। তুলে ধরলেন সম্ভাব্য কারণ। সেগুলি কী কী? নিশ্বাস বন্ধ হয়ে পৃথিবীর মৃত্যু– বিজ্ঞানীদের মতে, ‘শ্বাসরুদ্ধ হয়ে’ মৃত্যুর পথে এগচ্ছে পৃথিবী। ২০২১ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছিল, পৃথিবীতে অক্সিজেন চিরস্থায়ী হবে না। বিজ্ঞানীদের অনুমান, আগামীতে হু হু করে অক্সিজেনের মাত্রা কমবে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে। পরিবর্তে বাতাসে বৃদ্ধি পাবে মিথেন গ্যাসের পরিমাণ। মিথেন যে কোনও প্রাণীর শরীরের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকর একটি গ্যাস। তখন অক্সিজেন নির্ভর সমস্ত প্রাণীর অস্তিত্ব বিলুপ্ত হবে। মানুষও আর থাকবে না। অক্সিজেন কমতে শুরু করলেই বৃদ্ধি পাবে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা। ফুটবে মহাসাগরের জল: আমাদের পৃথিবীর তিনভাগ জল এবং এক ভাগ স্থল। কিন্তু এই মহাসাগরগুলি চিরকাল থাকবে না। সূর্যের কেন্দ্রে হিলিয়াম তৈরি হওয়ার সঙ্গেসঙ্গে যে অঞ্চলে পারমাণবিক সংমিশ্রণ ঘটে, তা প্রসারিত হয়, যা আমাদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। যেভাবে উষ্ণতা বাড়ছে, বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এমন দিন আসতে পারে যখন মহাসাগরের জল ফুটতে আরম্ভ করবে। গ্রিন হাউস গ্যাসের জন্যই ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী। উল্কাপাত : বিজ্ঞানিদের আশঙ্কা, হয়তো পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়বে বিশাল কোন-ও উল্কা। উল্কার আঘাতে পৃথিবী নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। পাঁচ মাইল চওড়া একটি গ্রহাণু বড় ধরনের বিলুপ্তির কারণ হতে পারে, যেমনটা হয়তো ছিল ডাইনোসর যুগের সমাপ্তির কারণ। নেপচুনের ঠিক বাইরে একটি অঞ্চল আছে যেখানে ৫০ মাইলেরও বেশি ব্যাসের প্রায় ১০০,০০ বরফের বল রয়েছে। কুইপার বেল্ট পৃথিবীর দিকে অবিরাম ছোট ধূমকেতুর বৃষ্টি পাঠায়। যদি কখনও বিরাট আকারের কোন-ও ধূমকেতু আছড়ে পড়ে পৃথিবীতে, তবে সত্যিই তা ধ্বংসাত্মক হতে পারে। পৃথিবীতে প্রাণ থাকবে না: বিজ্ঞানিদের দাবি, হয়তো এমন একটা সময় আসবে যখন পৃথিবী ধ্বংস না হলেও তাতে প্রাণের আর কোন-ও চিহ্ন থাকবে না। এর কারণ কী? বিজ্ঞানীদের দাবি, একসময় সূর্যের আকার বাড়তে থাকবে। সূর্ষের ভিতরের হাইড্রোজেন শেষ হয়ে গেলে সেটি লাল ও আরও বড় হয়ে যাবে। ক্রমে পৃথিবী সূর্যের থেকে দূরে সরে যাবে এবং একসময়ে পৃথিবীতে প্রাণের আর কোন-ও চিহ্ন থাকবে না। অক্সিজেন কমে আসবে– সূর্যের ক্রমবর্ধমান ঔজ্জ্বল্যের পাশাপাশি পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধির ফলে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণও কমে যাবে বলে জানিয়েছেন গবেষকেরা। তার ফলে পৃথিবীতে গাছও বাঁচতে পারবে না আর। গবেষকদের মতে, এই মুহূর্তে পৃথিবীতে যে পরিমাণ অক্সিজেন আছে, আগামী কয়েকশো বছরের মধ্যে তার পরিমাণ অন্তত কয়েকশো গুণ কমে আসবে। ঘেঁটে যাবে পৃথিবীর বাস্তুতন্ত্র।