শীতলা ষষ্ঠী

Sheetal Shashthi: আজ গোটা সেদ্ধ খাওয়ার দিন! কেন পালন করা হয় এই পার্বণ, নিয়মই বা কী এই উ‍ৎসবের, জানুন

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: সরস্বতী পুজোর পরের দিন এদেশীয়দের ঘরে পালিত হয় শীতলা ষষ্ঠী। কী এই শীতলা ষষ্ঠী? কেন এটা পালন করা হয়, জানেন কি? বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম শীতলা ষষ্ঠী। সরস্বতী পুজোর ঠিক পরের দিনই এই ষষ্ঠী পালন করা হয়। প্রথা অনুসারে এই দিন সকাল থেকে রান্না ঘরে উনুন জ্বলবে না। সরস্বতী পুজোর রাতে রান্না করা খাবারই পরের দিন খাওয়া হয় এই শীতলা ষষ্ঠীতে।

গোটা মুগ, গোটা বেগুন, জোড়া মাখন সিম, জোড়া কড়াইশুঁটি, শীষ পালং, টোপা কুল, সজনে ফুল, বাঁধাকপিই হল শীতল ষষ্ঠীর উপাদান। বাজার থেকে এসব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কেনা হয় সরস্বতীপুজোর সকালে। তারপর সন্ধ্যা নামলে উনুন বা আজকাল গ্যাস ওভেন ধুয়ে মুছে তাতে শুরু হয় রান্না। বিশাল হাঁড়িতে বসে গোটা সেদ্ধ।

আরও পড়ুন : আগামী বছর সরস্বতীপুজো কবে? দিনক্ষণ জানলে খুশিই হবেন

গোটা সেদ্ধ, কারণ হাঁড়িতে যা পড়ে তার সবই থাকে গোটা গোটা। তরিতরকারির খোসা ছাড়ানো হয় না। গোটা সিদ্ধ খাবারের সঙ্গে এদিন করা হয় আলু-সজনে ফুল ভাজা, টোপা কুলের চাটনি। সঙ্গে লুচি, বাঁধাকপির তরকারি। সব রান্না শেষ হলে সেগুলোকে একটা আলাদা জায়গায় রাখা হয়। সারা রাত সে সব রান্না রাখা থাকে।

সরস্বতী পুজোর পর দিন সকালে তিথিগতভাবে ষষ্ঠী থাকতে থাকতে হয় ষষ্ঠীপুজো। তারপর হয় বাড়ির শিল, নোড়ার পুজো। ফুল, প্রসাদ দিয়ে শিলনোড়ার পুজো দিয়ে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শিলনোড়ার গায়ে। পুজো শেষে সেই দই আগের দিনের রান্না করা খাবারে ছিটিয়ে দেওয়া হয়।  এই ভাবেই পালন করা হয় শীতল ষষ্ঠী।এই শীতল ষষ্ঠী পালনের পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। মনে করা হয়, শীত বিদায় নিলে আসে বসন্ত।
এই সময়ে শরীরে বসন্ত রোগ-সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে শুরু হয়। তাই মূলত এই ধরনের গোটা গোটা সবজি সেদ্ধ করে খাওয়া হয় বলে মনে করেন অনেকে।