Tag Archives: Saraswati Puja 2024

Saraswati Puja 2024: দোলের আগে অকাল সরস্বতী পুজো! ব্যাপারটা কী?

দক্ষিণ ২৪ পরগনা: এই বসন্তকালে অকাল সরস্বতী পুজো! দোলের আগে এমন ঘটনায় চমকে ওঠাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নামখানায় সেই দৃশ্যই দেখা গেল। আসল ব্যাপারটা কী?

আর‌ও পড়ুন: পুরনো জামাকাপড় পরে রং খেলার দিন নেই, দেদার বিক্রি দোলের রকমারি পোশাক

নামখানায় অকাল সরস্বতী পুজো ঘিরে বইছে খুশির জোয়ার। এ বছরের সরস্বতী পুজো মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মাঝের সময়ে পড়েছিল। পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতির কথা ভেবে তাই এই বছর পুজোর দিন বদল করা হয়েছিল। সেই কারণেই সরস্বতী পুজোর এক মাস পর অকাল সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়েছে। আয়োজকরা জানিয়েছেন, ছাত্র-ছাত্রীদের কথা ভেবে এই পুজো পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

এই বছর এখানকার সরস্বতী পুজো দশম বর্ষে পদার্পণ করেছে। এই পুজোর এবছরের থিম ছিল সবুজ রক্ষা। চারিদিকে বিপুল পরিমাণে সবুজ ধ্বংস হচ্ছে, যার ফলে বেড়ে চলেছে বিশ্ব উষ্ণায়ন। সেই উষ্ণায়ন রুখতে ও সবুজকে বাঁচাতে এই থিম বেছে নেওয়া হয়েছিল। এই বছর পুজোর উদ্বোধন করানো হয় ১০০০ একজন মহিলাকে দিয়ে। তাঁরা সকলেই এক হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে এই পুজোর সূচনা করেন। এই নিয়ে পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রলয় সামন্ত জানান, এই বছর একেবারে অভিনব ভাবনায় পুজো করা হচ্ছে। সরস্বতী পুজোর একমাস পর এই পুজো হওয়ায় পুজো দেখতেও দূর দূরান্ত থেকে মানুষজন আসছেন। আগামী এক সপ্তাহ এই উপলক্ষ্যে সেখানে আনন্দের জোয়ার বইবে বলে জানিয়েছেন।

নবাব মল্লিক

Bengali News: জেলার চিত্রকলা প্রদর্শনীতে দেদার বিক্রি হচ্ছে ছবি

বীরভূম: শিক্ষা, শিল্পকলা ও সঙ্গীতের দেবী মা সরস্বতী। তাই দীর্ঘ ১৩ বছর ধরে সরস্বতী পুজোর দিন থেকে এলাকার শিল্পীদের আঁকা ছবি নিয়ে রামপুরহাট টাউন হলে প্রদর্শনী করে আসছে শহরের এক চারুকলা সংস্থা। সরস্বতী পুজো থেকে শুরু করে বেশ কয়েকদিন ধরে চলে এই প্রদর্শনী। এই প্রদর্শনী থেকে ছবি বিক্রিও হয় দেদার। মূলত চিত্রকলাকে সকলের সামনে তুলে ধরতে এই আয়োজন।

আরও পড়ুন: জেলার ইতিহাস থেকে মুছে যাবে আস্ত একটা নদী!

বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও পূর্ব বর্ধমানের শিল্পীদের আঁকা ২২০ টি শিল্পকর্ম নিয়ে রামপুরহাট টাউন হলের দুটি কক্ষে শুরু হয়েছে এই প্রদর্শনী। আর এই প্রদর্শনী দেখতেই সকাল থেকে রাত্রি পর্যন্ত জমজমাট ভিড় হচ্ছে। প্রত্যেকদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত্রি ১০টা পর্যন্ত এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

চারুকলা সংস্থার কর্ণধার প্রাণকৃষ্ণ সিমলান্ডি বলেন, সরস্বতী পূজোর দিন জল রং, তেল রং, প্যাস্টেল রং, পেন্সিল রং, পেন্সিল স্কেচ এই প্রদর্শনীতে রাখা হয়েছিল। ছোট থেকে বড় সকলের চিত্রকলা প্রদর্শনী এই অনুষ্ঠানে রাখা হয়। বিশেষ করে সন্ধের সময় মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যায় এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে। নিজেদের পছন্দমত ছবি কিনে নিয়ে যান চিত্রকলা প্রেমী মানুষজন।

সৌভিক রায়

Saraswati Puja 2024: দুর্গাপুজোর উন্মাদনাকেও হার মানাবে, গৌড়েশ্বর নদীতে সরস্বতী বিসর্জন যেন এক উৎসব

উত্তর ২৪ পরগনা: দুর্গাপুজোর উন্মাদনা পিছনে পড়ে যাবে গৌড়েশ্বর নদীতে সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জন ঘিরে উৎসবের আমেজের কাছে। দেখলে মনে হবে এ যেন সুন্দরবনে গৌড়ড়েশ্বরে দুর্গাপুজোর বিসর্জন চলছে। মহাধুম ধাম করে সুন্দরবন এলাকার গৌড়েশ্বর নদী বক্ষে একাধিক নৌকায় প্রতিমা নিরঞ্জন হয়, যা চাক্ষুষ করতে উপস্থিত নদীর দু’পাশে হাজার হাজার মানুষ।

আরও পড়ুন: পরিবেশকর্মীদের আন্দোলনে বদল সরকারি সিদ্ধান্তে, উন্নয়নমূলক কাজে নতুন নীতি বাংলায়

উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকার হিঙ্গলগঞ্জের গৌড়েশ্বর নদীর একদিকে মামুদপুর ও অপরদিকে বিশপুর। দুই গ্রামের মাঝখান দিয়ে বয়ে গেছে গৌড়েশ্বর নদী। হিঙ্গলগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে ক্লাব এবং বাড়ির প্রতিমা নিয়ে গৌড়েশ্বরে হাজির হন উদ্যোক্তারা। নদীবক্ষে চলে কয়েক ঘণ্টার পরিক্রমা। নদীর দুই তীরে সরস্বতী পুজো উপলক্ষ্যে বসে যায় মেলা। প্রতিমা নিরঞ্জনের এই চেনা ছবি বহুদিনের। প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষে এলাকায় রীতিমতো উৎসবের পরিবেশ গড়ে ওঠে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

প্রতিমা বিসর্জনের সময় গৌড়েশ্বর নদীর দু’পাড়ে সুন্দরবন এলাকার বহু দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন। আর বিকেল গড়িয়ে সন্ধে নামলেই আতশবাজির ঝলক আপনাকে মুগ্ধ করবে। গ্রাম বাংলার জীবনরেখায় মানব জীবনের চরম ব্যস্ততার মাঝে একফালি আনন্দের পশরা নিয়ে প্রতিমা নিরঞ্জন উপলক্ষে যেন রঙের ছটায় ছড়িয়ে দিল। পাশাপাশি নিরঞ্জনে আসা সেরা প্রতিমাকে পুরস্কৃতও করা হয়। যা দুর্গাপুজোর পাশাপাশি সরস্বতী পুজোতে সমান উন্মাদনায় মেতে ওঠেন এলাকার মানুষ।

জুলফিকার মোল্লা

Higher Secondary Exam 2024: বিদ্যার দেবীর ভাসানে ডিজের তাণ্ডব, পরীক্ষার প্রস্তুতিই নিতে পারল না উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা

হুগলি: শুক্রবার রাজ্য শুরু হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আবার ওই দিনই ছিল সরস্বতী পুজোর বিসর্জন। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা উপলক্ষে রাজ্যজুড়ে বক্স ও মাইক লাগিয়ে প্রকাশ্যে মিটিং-মিছিল, উৎসব-অনুষ্ঠান করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। কিন্তু বিদ্যার দেবীর ভাসান বলে কথা, সেখানে আর এইসব নিষেধাজ্ঞা কানে নিলে চলে! তাই উচ্চ মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষার দিন সন্ধেতেই কার্যত শব্দ তাণ্ডব চলল উত্তরপাড়া জুড়ে। সরস্বতী পুজোর বিসর্জনের ডিজে’এর আওয়াজে লাটে উঠল পরীক্ষার্থীদের পড়াশোনা।

আরও পড়ুন: উচ্চ মাধ্যমিকের ডিউটিতে যাওয়ার সময় মুরগি বোঝাই গাড়ি পিষে দিল ২ কনস্টেবলকে, মৃত্যু এক পুলিশকর্মীর

উত্তরপাড়া স্টেশন রোডের একটি সরস্বতী পুজো কমিটি শুক্রবার তাদের প্রতিমা বিসর্জনের শোভাযাত্রা বের করে। সন্ধের পর শহরের রাস্তায় ডিজের তাণ্ডব শুরু হয়। স্থানীয়রা এই ঘটনার প্রতিবাদ জানালেও কেউ কথা শোনেনি। পুলিশ-প্রশাসনও ছিল নির্বিকার। ফলে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটে। এই বিষয়ে উত্তরপাড়ার নাট্য কর্মী তপন দাস বলেন, এখন যে কোনও উৎসবে এই শব্দের তাণ্ডব দেখা যাচ্ছে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

উত্তরপাড়া পুরসভার সিপিএম কাউন্সিলর প্রবীর কংসবনিক প্রশ্ন তোলেন, পরীক্ষা চলাকালীন আদর্শ আচরণবিধির জারি থাকে। সেই সময় ডিজে বাজিয়ে শোভাযাত্রার অনুমতি দিল কেন পুলিশ? বিজেপি নেতা তাপস দেবের অভিযোগ, শাসকদলের মদতপুষ্টরাই এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন কাজ করেছে। এদিকে এই প্রসঙ্গে উত্তরপাড়ার পুরপ্রধান তথা তৃণমূল নেতা দিলীপ যাদব বলেন, পুলিশের উচিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া। আমার কাছেও বেশ কিছু নাগরিক ডিজে বাজানোর অভিযোগ জানিয়েছেন।

রাহী হালদার

Saraswati Puja 2024: ঝড়বৃষ্টিতে ভাঙল সরস্বতী মণ্ডপের আলোর গেট! আহত ১

Kalna : ঝড়বৃষ্টিতে ভাঙল সরস্বতী মণ্ডপের (Saraswati Puja 2024) আলোর গেট। সরস্বতী মণ্ডপের আলোর গেট ভেঙে আহত এক। কালনা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে আহতকে। আহতের অবস্থা আশঙ্কাজনক। দেখে নিন বাংলা নিউজ ভিডিও  (Watch bangla news video)৷

Bengali News: বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে গায়ে হলুদ! সরস্বতী পুজোর পরেরদিন তত্ত্ব দেওয়া-নেওয়ার উৎসব

পূর্ব বর্ধমান: ফুল ফুটুক না ফুটুক গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে আজ রঙিন বসন্ত। নতুন সাজে সেজে উঠেছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল আবাসিক পড়ুয়ারা। সরস্বতী পুজোর দিন সকলে আনন্দে মেতে ওঠেন। তবে পুজোর পরের দিন এক অন্য মেজাজে ধরা দেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পড়ুয়ারা। ছেলে থেকে মেয়ে সকলেই এইদিন সেজেগুজে একদম ফিটফাট থাকে।

আরও পড়ুন: গরমেও শীতের মত বাগান ভর্তি রঙিন ফুল পেতে এই কাজটা করুন

সরস্বতী পুজোর পরের দিন তত্ত্ব আদান-প্রদানের সুদীর্ঘ প্রথা চলে আসছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পড়ুয়াদের মধ্যে। বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, সত্তরের দশকে বর্ধমানের গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে চালু হয়েছিল তত্ত্ব দেওয়ার রীতি। প্রথা মেনে সরস্বতী পুজোর পরের দিন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পড়ুয়ারা তত্ত্বের ডালি সাজিয়ে বাজনা বাজিয়ে একে অপরের সঙ্গে সৌহার্দ্য বিনিময় করত। সেই প্রথা চলে আসছে বছরের পর বছর। যার অন্যথা এবার‌ও হয়নি।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

প্রথা মেনে বৃহস্পতিবার বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক পড়ুয়ারা তত্ত্বের ডালি আদান-প্রদান করেন। এই বিষয়ে সায়নী মণ্ডল নামে এক পড়ুয়া বলেন, বন্ধুত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় করতে এই প্রথা চলে আসছে। এদিন সকাল থেকেই গার্গী, নিবেদিতা, সরোজিনী, মিরাবাঈয়ের আবাসিক ছাত্রীরা বিয়ের মত গায়ে হলুদের সাজে তত্ত্বের ডালা সাজিয়ে রং-বেরঙের শাড়ি পরে হাজির হয়েছিলেন অরবিন্দ, নেতাজি, চিত্তরঞ্জন, বিবেকানন্দ ও রবীন্দ্র ছাত্রাবাসে। একইভাবে ছেলেদের ছাত্রাবাস থেকেও উপহারের ডালি সাজিয়ে বাদ্যযন্ত্র সহকারে ছাত্ররা যান ছাত্রীদের আবাসনে। বিয়ের ডালির মত সাজানো তত্ত্বের ডালিতে ছিল বিভিন্ন ধরনের উপহার। নতুন জামা-কাপড় থেকে কসমেটিক্স, চকোলেট থেকে ফল, বিভিন্ন রকমের মিষ্টি, সন্দেশ সবকিছুই সাজানো ছিল এই উপহারের ডালিতে।

বনোয়ারীলাল চৌধুরী

Vande Bharat Express : পানাগড়ে ঠাঁয় দাঁড়িয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস, ওঠানামা করছেন যাত্রীরা! হঠাৎ কী হল?

আসানসোল, দুর্গাপুর স্টপেজ পেলেও 'বন্দে ভারতের' স্টপেজ পাইনি পানাগড়। যা নিয়ে বড় আক্ষেপ রয়েছে পানাগড়বাসীর।
আসানসোল, দুর্গাপুর স্টপেজ পেলেও ‘বন্দে ভারতের’ স্টপেজ পাইনি পানাগড়। যা নিয়ে বড় আক্ষেপ রয়েছে পানাগড়বাসীর।
কিন্তু পানাগড় স্টেশনে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। লাগাতার সেখান থেকে ওঠানামা করলেন যাত্রীরা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেখতে ভিড় জমালেন স্থানীয় বহু মানুষ।
কিন্তু পানাগড় স্টেশনে ঠায় দাঁড়িয়ে রইল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। লাগাতার সেখান থেকে ওঠানামা করলেন যাত্রীরা। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দেখতে ভিড় জমালেন স্থানীয় বহু মানুষ।
কিন্তু হঠাৎ কি এমন হল? কেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস? আসলে সবকিছুই এক শিল্পীর কেরামতি। তার জন্যই পানাগড় স্টেশনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে বন্দে ভারত।
কিন্তু হঠাৎ কি এমন হল? কেন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস? আসলে সবকিছুই এক শিল্পীর কেরামতি। তার জন্যই পানাগড় স্টেশনে ঠাঁই দাঁড়িয়ে বন্দে ভারত।
কাঁকসার মাধব মাঠ শিবাজী সংঘ ক্লাব। সরস্বতী পুজোয় এবার তারা তুলে এনেছেন আস্ত একটা এক্সপ্রেস। বন্দে ভারতের আদলে তৈরি হয়েছে থিম। সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনটির সামনে হয়েছে বাগদেবীর আরাধনা।
কাঁকসার মাধব মাঠ শিবাজী সংঘ ক্লাব। সরস্বতী পুজোয় এবার তারা তুলে এনেছেন আস্ত একটা এক্সপ্রেস। বন্দে ভারতের আদলে তৈরি হয়েছে থিম। সেমি হাইস্পিড এই ট্রেনটির সামনে হয়েছে বাগদেবীর আরাধনা।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে যে আক্ষেপ স্থানীয়দের ছিল, তা মেটাতেই এই উদ্যোগ। পুজো কমিটির সদস্য শ্যামল মেটে বলছেন, এবছর থিম নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করছিলেন। তখনই মাথায় আছে বন্দে ভারতের কথা। যা প্রকাশ পেয়েছে থিম রূপে।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস নিয়ে যে আক্ষেপ স্থানীয়দের ছিল, তা মেটাতেই এই উদ্যোগ। পুজো কমিটির সদস্য শ্যামল মেটে বলছেন, এবছর থিম নিয়ে তারা চিন্তাভাবনা করছিলেন। তখনই মাথায় আছে বন্দে ভারতের কথা। যা প্রকাশ পেয়েছে থিম রূপে।
কেদারনাথ থেকে রামমন্দির, সমস্ত কিছুই এখন থিমে উঠে আসছে। তারমধ্যে ভারতীয় রেলের গৌরব এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এক অভিনব থিম বলেই জানিয়েছেন দর্শকরা। যা দেখতে উপচে পড়েছে ভিড়।
কেদারনাথ থেকে রামমন্দির, সমস্ত কিছুই এখন থিমে উঠে আসছে। তারমধ্যে ভারতীয় রেলের গৌরব এই বন্দে ভারত এক্সপ্রেস এক অভিনব থিম বলেই জানিয়েছেন দর্শকরা। যা দেখতে উপচে পড়েছে ভিড়।

Saraswati Puja 2024: গ্রামের পুজোয় থিমের লড়াই, কে কাকে টেক্কা দেবে

মুর্শিদাবাদ: দুর্গাপুজো বা কালীপুজোতে থিমের চমক নজর কাড়ে মানুষের। এবার সরস্বতী পুজোর থিমেও একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার লড়াই ছড়িয়ে পড়েছে গ্রামাঞ্চলে‌ও। মুর্শিদাবাদের ভরতপুর ব্লকের অন্তর্গত জজান গ্রামে একসঙ্গে প্রায় ১৫ টি বড় সরস্বতী পুজো হয়। একে অপরকে টেক্কা দিচ্ছে থিমের লড়াইয়ে।

আরও পড়ুন: বন্যপ্রাণীদের বাঁচাতে প্লাস্টিক সাফাই অভিযান

মফস্বল থেকে একটু দুরে অবস্থিত এই জজান গ্রাম। তবে এই গ্রামে একাধিক পুজোতে চমক দিয়ে থাকেন উদ্যোক্তারা। কোথাও থিমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মোবাইল ফোনে আবদ্ধ ছাত্র সমাজ, কোথাও বা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে মায়াপুর ইসকন মন্দির। আবার ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গের কেদারনাথ মন্দির। সঙ্গে আছে বাহারী আলোকসজ্জা।

মুর্শিদাবাদের এই গ্রামে নদিয়া থেকে আসে প্রতিমা। কোথাও দুই লক্ষ টাকা, কোথাও বা তিন লক্ষ টাকা ব্যয়ে তৈরি করা হয়েছে মণ্ডপসজ্জা। সরস্বতী পুজোর দিন প্রাকৃতিক দুর্যোগকে উপেক্ষা করেই এই বছর সরস্বতী পুজো দেখতে উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায় জজান গ্রামে। মূলত সরস্বতী পুজো উপলক্ষে বিখ্যাত এই গ্রাম। শুধু মুর্শিদাবাদ জেলা নয়, বিভিন্ন জেলা থেকেই পর্যটকরা আসেন সরস্বতী পুজো দেখতে।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

উদ্যোক্তারা জানান, জজান গ্রামে ছোট-বড়, পারিবারিক মিলিয়ে প্রায় ৩৫ টি পুজো হয়। তবে প্রত্যেক পাড়ার সঙ্গে অন্য ক্লাবের প্রতিযোগিতা থাকে সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করেই। তবে এই সুস্থ প্রতিযোগিতা বেশ তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করেন গ্রামবাসীরা।

কৌশিক অধিকারী

Sheetal Shashthi: আজ গোটা সেদ্ধ খাওয়ার দিন! কেন পালন করা হয় এই পার্বণ, নিয়মই বা কী এই উ‍ৎসবের, জানুন

পিয়া গুপ্তা, উত্তর দিনাজপুর: সরস্বতী পুজোর পরের দিন এদেশীয়দের ঘরে পালিত হয় শীতলা ষষ্ঠী। কী এই শীতলা ষষ্ঠী? কেন এটা পালন করা হয়, জানেন কি? বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের মধ্যে অন্যতম শীতলা ষষ্ঠী। সরস্বতী পুজোর ঠিক পরের দিনই এই ষষ্ঠী পালন করা হয়। প্রথা অনুসারে এই দিন সকাল থেকে রান্না ঘরে উনুন জ্বলবে না। সরস্বতী পুজোর রাতে রান্না করা খাবারই পরের দিন খাওয়া হয় এই শীতলা ষষ্ঠীতে।

গোটা মুগ, গোটা বেগুন, জোড়া মাখন সিম, জোড়া কড়াইশুঁটি, শীষ পালং, টোপা কুল, সজনে ফুল, বাঁধাকপিই হল শীতল ষষ্ঠীর উপাদান। বাজার থেকে এসব কিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে কেনা হয় সরস্বতীপুজোর সকালে। তারপর সন্ধ্যা নামলে উনুন বা আজকাল গ্যাস ওভেন ধুয়ে মুছে তাতে শুরু হয় রান্না। বিশাল হাঁড়িতে বসে গোটা সেদ্ধ।

আরও পড়ুন : আগামী বছর সরস্বতীপুজো কবে? দিনক্ষণ জানলে খুশিই হবেন

গোটা সেদ্ধ, কারণ হাঁড়িতে যা পড়ে তার সবই থাকে গোটা গোটা। তরিতরকারির খোসা ছাড়ানো হয় না। গোটা সিদ্ধ খাবারের সঙ্গে এদিন করা হয় আলু-সজনে ফুল ভাজা, টোপা কুলের চাটনি। সঙ্গে লুচি, বাঁধাকপির তরকারি। সব রান্না শেষ হলে সেগুলোকে একটা আলাদা জায়গায় রাখা হয়। সারা রাত সে সব রান্না রাখা থাকে।

সরস্বতী পুজোর পর দিন সকালে তিথিগতভাবে ষষ্ঠী থাকতে থাকতে হয় ষষ্ঠীপুজো। তারপর হয় বাড়ির শিল, নোড়ার পুজো। ফুল, প্রসাদ দিয়ে শিলনোড়ার পুজো দিয়ে দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শিলনোড়ার গায়ে। পুজো শেষে সেই দই আগের দিনের রান্না করা খাবারে ছিটিয়ে দেওয়া হয়।  এই ভাবেই পালন করা হয় শীতল ষষ্ঠী।এই শীতল ষষ্ঠী পালনের পিছনে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও রয়েছে। মনে করা হয়, শীত বিদায় নিলে আসে বসন্ত।
এই সময়ে শরীরে বসন্ত রোগ-সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ জীবাণু বাসা বাঁধতে শুরু হয়। তাই মূলত এই ধরনের গোটা গোটা সবজি সেদ্ধ করে খাওয়া হয় বলে মনে করেন অনেকে।

Maha Saraswati Puja 2024: কোচ রাজাদের সরস্বতী মূর্তি আর পাঁচটার থেকে একেবারে আলাদা! আজও পুজো হয়

কোচবিহার: কোচ রাজাদের ঐতিহ্য জেলা শহর কোচবিহারের সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। তেমনই কোচবিহার জেলায় রাজ আমলের বিভিন্ন প্রাচীন পুজোর রীতি-নীতি আজও প্রচলিত। এই পুজোগুলি অন্যান্য সকল পুজোর থেকে একেবারেই আলাদা। একটা সময় রাজ আমলে কোচবিহার রাজবাড়িতে এই পুজোগুলি আয়োজিত হত। পরবর্তী সময়ে এই পুজোগুলি রাজ পরিবারের কুলোদেবতা মদনমোহনের মন্দিরে স্থানান্তরিত করা হয়। ঠিক এমনই একটি রাজ আমলের ঐতিহ্যবাহী পুজো মহা সরস্বতী পুজো। এই পুজোর নিয়ম-নীতি সাধারণ সরস্বতী পুজোর থেকে একেবারেই আলাদা।

আরও পড়ুন: একের পর এক চিতাবাঘ, পটাপট ধরা পড়ছে পাতা ফাঁদে

কোচ রাজাদের সেই আমল না থাকলেও বর্তমানে রাজ আমলের সমস্ত প্রাচীন রীতি নীতি মেনেই মদনবাড়িতে হয়ে আসছে পুজোগুলি। সেই প্রথা মেনেই আয়োজিত হল মহা সরস্বতী পুজো। মদনমোহন মন্দির বা মদন বাড়ির পুরোহিত খোগোপতি মিশ্র জানান, শ্রী পঞ্চমীর শুভ তিথিতে সরস্বতী পুজো আয়োজন করা হয়েছে। মদনমোহন মন্দিরের কাঠামিয়া মন্দিরে এই দেবীর আরাধনা করা হয়। এই দেবীর মূর্তি সাধারণ সরস্বতী মূর্তির থেকে একেবারেই আলাদা। এছাড়াও এই মহা সরস্বতী দেবীর আরাধনার পাশাপাশি একটি বিশেষ পুজোও হয়ে থাকে। এই পুজোতে সমস্ত ঋতুদের পুজো করা হয়। রাজ আমলের জমিদার এবং রাজাদের বাড়িতে এই মহা সরস্বতী পুজোর আয়োজন করা হয়ে থাকত। তবে বর্তমান সময়ে রাজ আমল অতীত। তাই এই পুজোর সমস্ত দায়িত্বভার পালন করে কোচবিহার দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ড।

আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

কোচবিহারের দুই স্থানীয় বাসিন্দা পিঙ্কি ঘোষ ও দেবায়ত ভৌমিক জানান, রাজ আমলে সম্পূর্ণ প্রাচীন রীতি প্রথা মেনেই এই পুজোর আয়োজন করা হয়। মদনমোহন বাড়ির কাঠামিয়া মন্দিরে এই পুজো করা হয়। এই পুজোকে কেন্দ্র করে প্রচুর মানুষ মদনমোহন মন্দিরে ভিড় জমান সরস্বতী পুজোর দিন।

সার্থক পণ্ডিত