চিন্তিত জখম রেল যাত্রীদের পরিবারের লোকেরা

Mumbai Mail Accident: সিট ভেঙে আটকে যায় পা, উদ্ধারকারীর সাহায্য বেরিয়ে আসেন, এখনও আতঙ্ক তাড়া করছে মালদহের জখমদের

মালদহ: স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য মুম্বই যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ, তারপর ঝাঁকুনি।‌ট্রেনের নীচের সিটে ছিলেন মালদহের অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মী বাদল দাস। ট্রেন দূর্ঘটনার পর মাঝের সিট ভেঙে পড়ে যায় পায়ের উপর। একটি পা সেখানে আটকে যায়। বহু কষ্টে আটকে থাকা বার করতে পারছিলেন না। পরে উদ্ধারকারীরা এসে উদ্ধার করে। তারপর স্থানীয় রেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

মালদহের ইংরেজবাজার শহরের কৃষ্ণপল্লীর বাসিন্দা বাদল দাস। তাঁর স্ত্রী সবিতা দাস। স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য মুম্বইয়ের টাটা হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন‌। হাওড়া থেকে ট্রেন ধরেন। হাওড়া- মুম্বাই মেল ঝাড়খন্ডের চক্রধরপুরে দূর্ঘটনার কবলে পড়ে। লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটির একাধিক বগি। সেই ট্রেনেই ছিলেন মালদহের বাদল দাস ও তাঁর স্ত্রী সবিতা দাস। দুই জনেই জখম হন গুরুতর।

আরও পড়ুন মঙ্গলবার ভোরে মুম্বইগামী হাওড়া-সিএসএমটি এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার ভিডিও দেখুন

ফোন মারফৎ বাদল দাস বলেন, “আমার পায়ে চোট লেগেছে হাঁটতে পারছিনা। স্ত্রীর মাথায় লেগেছে। দুই জনেই আমরা স্থানীয় রেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছি। মালদহের বাড়িতে মেয়ে একা রয়েছে। প্রশাসনের লোকজন বাড়িতে গিয়েছিল।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে ঝাড়খণ্ডের রেল দূর্ঘটনায় মালদহের আরও চার জন রয়েছে। মালদহের ইংরেজবাজার ব্লকের লক্ষীঘাট এলাকায় তিন জন। তিন জন মুম্বই কাজে যাচ্ছিল। তারা হলেন, জামসেত আলি, সৌরভ আলি ও কাদির শেখ। চাঁচলের আরও একজন রাজু শেখ ছিলেন। প্রত্যকেই স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিকে পরিবারের লোকেরা খবর পেয়েছেন। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে খোঁজ খবর নিয়ে সমস্ত রকমের সুব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। আতঙ্কে রয়েছে রেল যাত্রীদের পরিবারের লোকেরা।

হরষিত সিংহ