লাইফস্টাইল কুঁচকে যাবে ত্বক…! ঝুলবে গাল…! কুড়িতেই বুড়ি হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না! ভুলেও ‘এইদিক’ ফিরে ঘুমাবেন না! জেনে নিন ঘুমের ‘পারফেক্ট’ পজিশন Gallery February 25, 2024 Bangla Digital Desk ত্বকের জন্য সর্বোত্তম ঘুমের অবস্থান: ভুল ঘুমের অবস্থানের কারণে প্রায়শই কোমর, পিঠ এবং ঘাড় ব্যথায় ভোগেন মানুষ। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ভুল পাশে ঘুমানো এমনকি আপনার ত্বকেরও অনেক ক্ষতি করতে পারে? হ্যাঁ, আপনি যদি দীর্ঘ জীবনের জন্য আপনার ত্বক সুস্থ, উজ্জ্বল এবং তরুণ রাখতে চান, তাহলে আজ থেকেই আপনার সঠিক ঘুমের ‘পজিশন’ জানা উচিত। কারণ তা না হলে অল্প বয়সেই আপনার ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে। চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আঁচল পান্থ তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি ভাল এবং খারাপ ঘুমের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাহলে আসুন জেনে নিই কোন দিকে ঘুমানো আসলে ভাল এবং ত্বক সুস্থ রাখতে উপকারী। একপাশে ঘুমানোর অসুবিধা:অনেকেই সারা রাত একপাশে ঘুমিয়ে থাকেন। এটি একটি খুব সাধারণ ঘুমের অবস্থান, তবে আপনার এটিও জেনে রাখা উচিত যে ত্বককে সুস্থ রাখতে সারা রাত একপাশে ঘুমানো ঠিক নয়। বালিশে ক্রমাগত গাল চাপার কারণে ঘুমের রেখা তৈরি হয়, এটি ধীরে ধীরে স্থায়ী বলিরেখাও হতে পারে। বালিশের চাপে ত্বকের কোলাজেনও ভেঙে যায়। কোলাজেন হল এক ধরনের প্রোটিন, যা ত্বককে মজবুত ও টান টান রাখে। এই অল্প বয়সে বয়স বাড়ার কোনও প্রভাব নেই। একইসঙ্গে একপাশে ঘুমালে চোখের পাতা ও ভ্রু ঝুলে যায়। এর ফলে মুখের চারপাশে লাইন তৈরি হতে শুরু করে। চোখের কাছে বলিরেখা দেখা দিতে থাকে। ব্রণের সমস্যা বাড়ে। এমতাবস্থায়, আপনি যদি একপাশে ঘুমান, তবে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং যতটা সম্ভব পাশ বদলে বদলে ঘুমান। .পেটের উপর উপুড় হয়ে ঘুমানোর কারণে ত্বকের ক্ষতি ?বিশেষজ্ঞ বলছেন উপুড় হয়ে ঘুমোনো নিজেকে বার্ধক্যে ঠেলে দেওয়ার নামান্তর বই কিছু নয়। উপুড় হয়ে ঘুমালে আপনার মুখ দ্রুত বুড়ো দেখাতে শুরু করবে। এটি মুখের বয়স বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে খারাপ ঘুমের অবস্থান। ঘুম থেকে উঠলেও মুখে ফোলাভাব দেখা দেয়। আপনি যদি এই ভাবে ঘুমোনোর অভ্যেসে থাকে দ্রুত একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। সুস্থ ত্বকের জন্য পিঠের উপর ভর দিয়ে চিৎ হয়ে ঘুমান:বিশেষজ্ঞের মতে চিৎ হয়ে ঘুমালে ত্বকের ঝোলা ভাব এবং বলিরেখার সমস্যা দূর হয়। অনেকেই পিঠে ভর দিয়ে ঘুমাতে আরাম পান না। যারা গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা নাক ডাকার সমস্যায় ভুগছেন তাদের কিন্তু এই ভাবে চিৎ হয়ে ঘুমাতে অসুবিধা হয়।