সময় যত যায়, বয়সের ছাপ পড়ে চেহারায়। প্রকৃতির এই নিয়ম কেউ বদলাতে পারে না।বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে মুখে বার্ধক্যের লক্ষণ জোরাল হতে শুরু করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কম বয়সের ত্বকেও বার্ধক্য দেখা দেয়। সেই ক্ষেত্রে বেশ কিছু কারণ রয়েছে ত্বকে বার্ধক্য দেখা দেওয়ার।অনেকেই যৌবন ধরে রাখতে চান বেশিদিন। তবে বাধ সাধে খাদ্যাভ্যাস।জীবনধারায় এমন কিছু খাবার আমরা খেয়ে ফেলি রোজ, যাতে দ্রুত বয়সের ছাপ পড়তে থাকে চেহারায়।চিকিৎসক Karina Tolentino, RD জানাচ্ছেন কোন ৭ খাবার অতিরিক্ত খেলে বয়সের ছাপ পড়তে পারে দ্রুত।কফিপ্রেমী আছেন অনেকেই। তবে জানেন কি, অতিরিক্ত ক্যাফেইন শরীরকে ডিহাইড্রেটেড করে দেয়। এতে ত্বকের বলিরেখা বাড়ে।বেক করা খাবার বেশি খাওয়া ঠিক নয়। রোগের ঝুঁকি বাড়ায় এই ধরনের খাবার।ডুবো তেলে ভাজা খাবার দ্রুত ত্বক বুড়িয়ে দিতে পারে। বয়সের ছাপ পড়ে যায়।প্রক্রিয়াজাত মাংস– ফ্রোজেন সসেজ, সালামি, হ্যাম বা নাগেটস-এর মত খাবার যত পারবেন এড়িয়ে চলুন। সসেজের মতো প্রক্রিয়াজাত মাংস কেবল বয়স বাড়ায় না, নানা ধরনের রোগের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।অতিরিক্ত নুন খাবেন না। চেহারায় আসতে পারে ফোলা ভাব।চিনিও অতিরিক্ত খেলে বার্ধক্যের ছাপ আসবে দ্রুত।অতিরিক্ত মশলাদার খাবারও ত্বকের বয়স বাড়িয়ে দিতে পারে।অতিরিক্ত সোডাযুক্ত পানীয়, নরম পানীয় বা সফট ড্রিংক লিভারের অসুখ ডেকে আনে। বেশি বেশি সোডা আর এনার্জি ড্রিংক পান করলেও কোষের বয়স বাড়বে। ওজন বাড়ার ঝুঁকিও থেকে যাবে।
তিরিশেই হানা দিয়েছে বার্ধক্যের রেখা? চোখের নীচে ফুলোভাব, ঠোঁটের দু’পাশে গভীর হচ্ছে স্মাইললাইন? সচেতন হন আজই। অকালে বার্ধক্য যাতে কাছে না ঘেঁষে রয়েছে তাঁর দুর্দান্ত উপায়!৩০ পেরোলেই নানা রোগ বাসা বাঁধে শরীরে। ত্বকের জেল্লাও ফিকে হতে থাকে অনেকেরই। তবে সব কিছুরই রয়েছে সমাধান।চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ত্বকের বলিরেখার সমস্যা দূর করতে পারে সবজি। নিয়মিত ফল এবং সবজি খাওয়ার উপকারিতা নিশ্চয়ই জানেন?তবে, কোন বিশেষ সবজি ত্বকের বলিরেখা দূর করে? জানেন?আমেরিকার জনপ্রিয় পুষ্টিবিদ তথা চিকিৎসক লিলি থমাস জানান, ত্বকের উন্নতির জন্য পেঁপের বিকল্প নেই। পেঁপে দিয়ে কী ভাবে পাবেন বলিরেখামুক্ত ত্বক? জানালেন তিনি।পেঁপেতে ২০০ শতাংশ ভিটামিন সি থাকে! যা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে নতুন কোশের জন্ম দেয়।পেঁপে খেলে কোলাজেন তৈরি হয় শরীরে। মুখের ত্বকেও ফেরে জেল্লা।পেঁপেতে থাকে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, যা শরীর থেকে টক্সিন বা ক্ষতিকারক জিনিস নিংড়ে বের করে দেয়।পেঁপে খেতে বেশিরভাগ মানুষই একদমই পচ্ছন্দ করে না। কিন্তু পেঁপের গুণ শুনলে আবাক হবেন। শরীরে রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে, কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে ও লিভারের গুণাগুণ বাড়াতে পেঁপে কাজে লাগে।পেঁপের ফেসপ্যাক: পাকা পেঁপে কেবল খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই ত্বককেও সুস্থ রাখে৷ ট্যান দূর করতে বাড়িতেই বানিয়ে ফেলুন ঘরোয়া ফেসপ্যাক৷কোলাজেন বৃদ্ধি পেলে মুখের ত্বকে আসবে পেলবতা। আগের ছেয়েও বেশি মসৃণ, ভাঁজহীন ত্বক একমাত্র দিতে পারে পেঁপে।পেঁপের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে বানিয়ে নিন ঘন প্যাক। যেটি কাজ করবে ক্লিনজারেরও।হজমের গোলমাল কমানো থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বৃদ্ধি— পেঁপের অনেক গুণ। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়ই হোক বা নিমেষে ত্বকের জেল্লা বৃদ্ধি— সামগ্রিক ভাবে সুস্থ থাকতেও পেঁপের জুড়ি মেলা ভার।পেঁপের সঙ্গে চালের গুঁড়ো মিশিয়ে বানাতে পারেন স্ক্রাব, ঝকঝক করবে আপনার ত্বক।
বর্তমান জীবনে একের পর এক রোগ ক্রমশ ছেঁকে ধরছে মানুষের স্বাভাবিক জীবন ছন্দ। অনিয়মিত জীবন আর খাওয়া দাওয়া যার অন্যতম কারণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর সেই জন্যেই সময় থাকতেই সুস্থ থাকার চেষ্টা করা জরুরি।আজকাল সুস্থ থাকতে অনেকেই ভরসা করেন মুঠো মুঠো হেলথ সাপ্লিমেন্টের উপর। কিন্তু জানেন কী কিছু কিছু শাক-সবজি ও ফলফলাদিতে থাকে এমন পুষ্টি গুণ যা যে কোনও ওষুধের থেকে কোনও অংশে কম নয়।এক্ষেত্রে অন্যতম দুর্দান্ত একটি সবজি হল ব্রকলি। তারুণ্য ধরে রাখতে এই সবজির জুড়ি মেলা ভার। ব্রোকলিতে থাকে ভিটামিন কে এবং সি এর মতো অনেক পুষ্টি যা বিভিন্ন রোগের প্রকোপ কমাতে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। জীবনী শক্তি বাড়িয়ে এই সবজি আপনাকে আরও কম বয়সি দেখাতে দারুণ কার্যকরী ভূমিকা নেয়।পুষ্টিবিদ পূজা পালরিওয়ালা সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে দাবি করেছেন যে এমনকি ব্রকলিতে কমলা লেবুর তুলনায় দ্বিগুণ পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে এবং দুধে পাওয়া ক্যালসিয়ামের মাত্রার সঙ্গে টেক্কা দিতে পারে এই সবজির ক্যালসিয়াম।ইনস্টাগ্রাম পোস্টে, পালরিওয়ালা ব্রকলির পুষ্টির শ্রেষ্ঠত্বের উপর জোর দিয়েছেন। সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য তিনি এই সবজিটিকে ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দিয়েছেন।ব্রকলিতে আছে অনেক পুষ্টিগুণ এবং বিভিন্ন ঔষধি গুণ যা আমাদের শরীরের প্রতিদিনের প্রয়োজন। তাই এখন সারা বিশ্বের মানুষ এই একটি সবজির রীতিমতো ফ্যান। পিছনে রয়েছে বড় কারণ।ব্রকলিতে থাকা ফাইবার স্থূলতার সমস্যায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য একটি দুর্দান্ত সমাধান। আবার এটি খারাপ কোলেস্টেরল কমায় এবং শরীরের ওজনও কমায়।ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে যা দাঁত ও হাড়কে মজবুত করে এবং দাঁত ও হাড় সংক্রান্ত সমস্যা নিরাময় করে।ব্রকলিতে সালফোরাফেন নামক রাসায়নিকের পরিমাণ বেশি থাকে। এটি প্রাকৃতিকভাবে ক্যানসার কোষের মৌলিক বৃদ্ধি ধ্বংস করার ক্ষমতা রাখে। মহিলারা তাঁদের ডায়েটে ব্রকলি অন্তর্ভুক্ত করে ক্যানসারের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারেন যা মহিলাদের বেশি প্রভাবিত করে।ব্রকলিতে থাকা Indole-3 carbinol এবং kaempferol শরীরে ক্যানসারজনিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। কোলন, লিভার, মূত্রাশয়, স্তন এবং ফুসফুসের ক্যানসার নিরাময়ের ক্ষমতাও ব্রকলিতে রয়েছে।সম্প্রতি, বিপুল সংখ্যক মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু ব্রকলিতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষমতা থাকায় ডায়াবেটিক রোগীরা এটি খেতে পছন্দ করেন।ব্রকলি, মুগ ডাল এবং পালং শাক স্মৃতিশক্তি বাড়াতে ধন্বন্তরি। বলা হয়, যদি ৮ মাস বয়সি শিশু থেকে বয়স্ক মানুষ সবাই যদি সপ্তাহে অন্তত ২ বার ব্রকলি খান তাহলে স্মৃতিশক্তি বাড়বে।শক্তিশালী হাড়ের জন্য ভিটামিন কে অপরিহার্য। এই ভিটামিন কে-এর ঘাটতি আছে এমন খাবার যাঁরা খায় তাঁদের ভবিষ্যতে অস্টিওপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ এবং ফ্র্যাকচার হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ব্রকলি এঁদের জন্যও খাওয়া ভাল।ব্রকলি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। এই পুষ্টি উপাদান ত্বককে আর্দ্রতা হ্রাস থেকে রক্ষা করে। ত্বকের বলিরেখা রোধ করে, ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় এবং তারুণ্যময় চেহারা দেয়।বাঁধাকপি এবং ফুলকপি পরিবারের সদস্য ব্রকলি ফাইবার, পটাসিয়াম, আয়রন, কপার, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন কে, সি এবং কে সমৃদ্ধ। স্যালাড থেকে শুরু করে স্যুপ পর্যন্ত, আপনি বিভিন্ন উপায়ে আপনার দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় ব্রকলি যোগ করতে পারেন।ব্রকলি ফাইবার সমৃদ্ধ এবং যাঁদের হজমের সমস্যা এবং কোষ্ঠকাঠিন্য রয়েছে তাঁদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত খাবার। এটি পাকস্থলী এবং অন্ত্রে হজমকারী জীবাণুর বৃদ্ধি বাড়ায় এবং খাবার সহজে হজম করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যও প্রতিরোধ করে। তাই সপ্তাহে দুবার ব্রকলি খাওয়া ভাল।ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকে। এটি শুধুমাত্র আপনার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় না বরং ত্বকের স্বাস্থ্যকেও ভাল রাখে। ব্রকলিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।যাঁরা সপ্তাহে অন্তত দুবার ব্রকলি খান, এটি তাঁদের শরীরের ফ্রি র্যাডিক্যাল কোষগুলি ধ্বংস করে শরীরকে চাঙ্গা করে। এটি আপনার ত্বকের তারুণ্য চিরতরে ধরে রাখবে।শর্তত্যাগ: শুধুমাত্র আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যেই এই প্রতিবেদনটি লেখা হয়েছে। আমরা এই লেখায় সাধারণ জ্ঞান ও দৈনন্দিন জীবনের কিছু সাধারণ তথ্য শেয়ার করেছি মাত্র। আপনি যদি কোথাও আপনার স্বাস্থ্য ও বিজ্ঞানের যোগ সম্পর্কিত কিছু পড়েন তবে তা গ্রহণ করার আগে অবশ্যই একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
ত্বকে আচমকা বলিরেখা দেখা দিয়েছে? ত্বকের নানা রোগ প্রতিরোধের জন্য খাদ্যাভ্যাস এবং লাইফস্টাইলে বিশেষ নজর দেওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)সবচেয়ে আগে মাথায় রাখতে হবে বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে ত্বকের খেয়াল না রাখলে ক্ষতি হতে থাকে ত্বকের স্বাস্থ্য। এই বিষয়ে এখনই সংযত না হলে ভবিষ্যতে বাড়বে আরও বিপদ।ত্বককে ভাল রাখতে গেলে আপনাকে একটি সঠিক স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতেই হবে। যার মধ্যে রয়েছে ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং– সব কিছু।অল্প বয়সেই ত্বক বুড়িয়ে যাওয়ার বিশেষ কয়েকটি কারণ রয়েছে। যা আমাদের রোজের অভ্যেসের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে, অথচ আমরা ধরতেই পারি না।বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অনেকেরই অভ্যাস থাকে সারাদিন বসে থাকা। শরীরের নড়াচড়া সুস্থ থাকার জন্য খুবই জরুরি। শরীর এবং মানসিক স্বাস্থ্য দুই ভাল থাকে এর ফলে। সারাদিন বসে থাকলে নানা জটিল রোগেরও শিকার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ক্যানসার, রক্তচাপ অনয়ন্ত্রিত থাকা, ওবেসিটি, অবসাদ, উদ্বেগ এবং আরও নানা অসুখ দেখা দিতে পারে এই অভ্যাসের কারণে।অহেতুক এবং অত্যধিক পরিমাণে ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাসের ফলেও অকালে বুড়িয়ে যেতে পারেন। এবং বিশেষজ্ঞদের মত, এটি ত্বকের স্বাস্থ্যে বিরাট ক্ষতি করে।শরীরচর্চা না করলে, সারাদিন বাড়ির ভিতরে থাকলে, অত্যধিক ঘুম কিংবা খুব কম ঘুমের কারণেও এই সমস্যা দেখা দেয়।এরই সঙ্গে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে নিজের জলপানের পরিমাণের উপর। জলের উপর ত্বকের হাইড্রেশন নির্ভর করে। তাই জলের পরিমাণ বাড়াতে হবে কি না তা চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নিয়ে নিন। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
ঘি-এর গুণের কথা সকলেরই জানা৷ এর পাশাপাশি ঘিতে আরও অনেক ধরনের পুষ্টিকর উপাদান পাওয়া যায়। তবে কেউ কেউ মনে করেন ঘি খেলে ওজন বাড়ে। এটা মোটেও সঠিক নয়। ঘি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। আপনি যদি এটি সীমিত পরিমাণে খান তবে আপনার ওজন বাড়বে না কারণ এতে স্বাস্থ্যকর চর্বি রয়েছে।তবে শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয়, আপনি কি জানেন, ঘি ত্বকের জন্যও নানাভাবে উপকার করতে পারে? যদি না জানেন তাহলে দেখে নিন ত্বকের জন্য ঘি কতটা উপকারী।ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে ঘি লাগাতে পারেন। এতে ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসবে। ঘি-এর মধ্যে ভিটামিন ই, এ, কে-এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে যা ত্বককে সুস্থ রাখে। এটি খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।সামান্য ঘি দিয়ে মুখ এবং ঘাড়ের অংশে ম্যাসাজ করলে ত্বক নরম হয়। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বককে ফ্রি র্যাডিক্যালের কারণে হওয়া ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এটি অল্প বয়সে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলিও প্রতিরোধ করে।আপনার যদি ত্বক সম্পর্কিত কোনও সমস্যা থাকে, তাহলে অবশ্যই ঘি বা অন্য কোনও ঘরোয়া প্রতিকার চেষ্টা করার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।ত্বকে ব্যবহৃত কিছু ঘরোয়া উপায়ে ঘি যোগ করে লাগাতে পারেন। আধা চামচ ঘিতে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে মুখে ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। এটি ত্বককে পরিষ্কার করবে এবং একটি প্রাকৃতিক আভা দেবে।অনেকেই বেসনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করেন। এছাড়াও আপনি বেসনের সঙ্গে সামান্য ঘি মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ঘি-এর মধ্যে মধু মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বক মসৃণ হয় এবং আর্দ্রতা বজায় থাকে।
সময়ের ব্যবধান ও প্রকৃতির নিয়মে বয়স বাড়বে এটাই স্বাভাবিক। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের পাশাপাশি ত্বকেও ছাপ পড়ে। ৩০-এর পর থেকে ত্বকের যত্ন বাড়ানো আরও উচিত। কারণ মুখের চামড়ায় বলিরেখা ও বয়সের ছাপ আগে পড়ে। কীভাবে নেবেন ঘরোয়া উপায়ে যত্ন? (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)মুখে অতিরিক্ত মেকআপ, ক্রিম, ফেসিয়াল এসব করলে ত্বকের বারোটা বাজবেই। আজকাল সকলেই নিজেকে নিয়ে সচেতন। যে কারণে ত্বকের যেমন যত্ন নেওয়া প্রয়োজন তেমনই ক্ষতিকর রাসায়নিক যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলুন।বরং কাজে লাগান ঘরোয়া এই সব টোটকা। ঘরের তৈরি উপাদান দিয়েই সারুন ফেসিয়াল। এতে ত্বক ভাল থাকে। টানটান থাকে। ত্বকের যে স্বাভাবিক গোলাপি জেল্লা থাকে তাও বজায় থাকে এই ফেসিয়ালের জেরে। নিজের সময়মতো রাতে-দুপুরে যখন খুশি করতে পারেন।বয়সের পরিবর্তনে প্রাকৃতিক নিয়মে শরীরে বার্ধক্যের ছাপ প্রকট হতে শুরু করে। ত্বকেও তার প্রতিফলন দেখা দেয়। স্বাভাবিকভাবেই, ত্বকের টানটান ভাব চলে যায়। মুখে বলিরেখা দেখা দিতে শুরু করে।তারুণ্য ধরে রাখতে মোক্ষম উপাদান দই। দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম থাকে, যা ত্বককে মসৃণ এবং উজ্জ্বল রাখে। ত্বকের বলিরেখা দূর করে বয়সকে ঠেকিয়ে রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয় আমন্ড বা কাঠবাদাম। এতে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন-ই থাকায় এটি ত্বককে সতেজ রাখে।শরীর ঝকঝকে রাখতে ভাল উপাদান পাকা পেঁপে। এই ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ থাকে। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতে সাহায্য করে।ঘরেই একটি ফেসপ্যাক বানিয়ে নিতে পারেন। কাঁচা দুধ দু চামচ লাগবে। এর মধ্যে মিশিয়ে নিন অ্যালোভেরা জেল। অন্য একটি বাটিতে চাল গুঁড়ো নিন ২ চামচ। এবার দুধের মিশ্রণ থেকে ২ চামচ নিয়ে চালের গুঁড়োতে মিশিয়ে একটা ক্রিম বানিয়ে নিন। এবার তা মুখে খুব ভাল করে লাগালে মুখের ড্রাইনেস থাকবে না। মুখে লাগিয়ে খুব ভাল করে ম্যাসাজ করতে হবে। ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে চালগুঁড়ো বেশ ভাল কাজ করে। এতে মুখ একদম পরিষ্কার হয়ে যায়। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)
বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে মুখে বার্ধক্যের লক্ষণ জোরাল হতে শুরু করে। তবে অনেক ক্ষেত্রে কম বয়সের ত্বকেও বার্ধক্য দেখা দেয়। সেই ক্ষেত্রে বেশ কিছু কারণ রয়েছে ত্বকে বার্ধক্য দেখা দেওয়ার।অভিজ্ঞ চিকিৎসক শুভ্রাজ্যোতি দত্ত জানান, ইউভি রশ্মি ত্বকে দ্রুত বার্ধক্য এনে থাকে।। এছাড়া এটি ত্বকের পিগমেন্টেশন ও রিংকেলের বাড়িয়ে দেয়। তাই রোদে বেরনোর সময় সানস্ক্রিন মাখা প্রয়োজন।মানসিক চাপ কিন্তু একটা বড় বিষয়। চাপ বাড়লে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয় শরীরে। মানসিক চাপের কারণে ত্বক নিস্তেজ ও প্রাণহীন হয়ে পড়ে। ত্বক ভাল রাখতে মানসিক চাপ কমাতে হবে।শুষ্ক ত্বক একটি বড় সমস্যা। ত্বক শুষ্ক থাকলে সময়ের আগে বুড়িয়ে যায়। আর্দ্রতাহীন ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়ে। ফলে চামড়া কুঁচকে যায় অনেক আগেই। এই কারণেই ত্বককে ময়েশ্চারাইজ রাখা প্রয়োজন।রাতে ঘুম একটা বড় বিষয়। অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে ত্বকের উপর চাপ পড়ে। ঘুমের অভাব থাকলে ত্বক একদম পুনরুজ্জীবিত হতে পারে না। তখনই বলিরেখা ও ডার্ক সার্কেল বাড়ে ত্বকের মধ্যে।মদ্যপান ও ধূমপানের মতো বদভ্যাস ত্বকের মারাত্মক ক্ষতি করে। ত্বকের উপর চাপ সৃষ্টি করে এবং ত্বককে শুষ্ক করে তোলে এই অভ্যাসগুলি। ত্বককে ভাল রাখতে মদ্যপান ও ধূমপান থেকে বিরত থাকা উচিত।অত্যধিক পরিমাণে কসমেটিক ব্যবহার করলে ত্বকের অবস্থা খারাপ হতে শুরু করে। এর ফলে ত্বকের মধ্যে বাড়ে ওপেন পোরস, র্যাশের মতন সমস্যা। কোলাজেন ও সেবামের উৎপাদন কমে যায় ত্বকে।ত্বককে ভাল রাখতে গেলে ভিটামিন A, B, C, D যেমন প্রয়োজন। তেমনি আয়রন, ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও অপরিহার্য। যে কোনও পুষ্টির ঘাটতি হলেই ত্বকের সমস্যা বাড়াতে শুরু করে ও বার্ধক্য দেখা দেয়।রাতে শোওয়ার আগে রোজ মুখে মাখুন নারকেল তেল। তেল লাগানোর পর হাল্কা হাতে মুখে ম্যাসাজ করুন। সকালে উঠে মুখ ঠান্ডা জল ও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। চামড়া মাখনের মতো হবে।
নিজেকে সুন্দর রাখতে কে না চায়৷ প্রতিটা বয়সের মহিলাদেরই স্বপ্ন নিজেকে সুন্দর রাখা৷ বয়স কিন্তু থেমে থাকার নয়৷ আর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বলিরেখার সমস্যায় কম-বেশি প্রত্যেকেই ভুগে থাকেন৷বয়স ৪০ পেরিয়ে গেলে তা যেন আরও বেশি করে জাকিয়ে ধরে৷ তবে এবার আর চিন্তা নেই বয়স বাড়লেও ত্বকের বয়স বাড়বে না৷ এই ৬ টোটকা মেনে চললে অকালে বুড়িয়ে যাওয়া থেকে বাঁচবেন৷প্রচুর পরিমাণে জল খান৷ ফিটডে খবর মতে, জলের অভাবে শরীরে মেটাবলিজম কমতে শুরু করে, শরীরে জলের অভাব দেখা দেয় এবং এটি ত্বকের নমনীয়তাকে প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে৷ এবং নিয়ম মতো জল খেতে হবে৷ওয়ার্কআউট করা সকলের জন্যই ভীষণ উপকারী৷ নিয়মিত শরীরচর্চা করলে শরীর ফিট থাকে৷ আপনার বয়স যদি ৪০ বছর হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে পারেন৷ এতে আপনার পেশীগুলি দুর্বল হবে না এবং মুখ ও শরীরেও তারুণ্য বজায় থাকে।ত্বককে নিখুঁত রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার প্রয়োজন । এর মধ্যে প্রচুর ফলমূল, শাক-সবজি খেতে হবে৷ শুধু তাই নয়, খাওয়া-দাওয়ার সময়ও ঠিক করতে হবে৷ স্বাস্থ্যকর খাবার খান- খাদ্যতালিকায় ভিটামিন, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রোটিন, হেলদি ফ্যাট জাতীয় খাবার রাখুন৷ এই ধরনের খাবার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখে৷ব্রাইন মাওর ডার্মাটোলজি অনুসারে , তাড়াতাড়ি বার্ধক্যের সবচেয়ে বড় কারণ হল ইউভি রশ্মি। এই ক্ষেত্রে, প্রতিদিন রোদে বেড়ানোর আগে এসপিএফ ৩০-৫০ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না এবং সানগ্লাস ও ছাতা অবশ্যই ব্যবহার করুন।যারা অ্যালকোহল ও ধূমপান নিয়মিত করেন তারা এই অভ্যাস এখনই বন্ধ করুন৷ এই দুটি অভ্যাসই ত্বকে বলিরেখার অন্যতম প্রধান কারণ। এটি থেকে ত্বকের ক্যান্সারও হতে পারে। নিজেকে যতটা সম্ভব অ্যালকোহল এবং ধূমপান থেকে দূরে রাখুন।অনেকেরই ঘুম ঠিকঠাক হয় না৷ যা শরীরে খারাপ প্রভাব ফেলে৷ পর্যাপ্ত ঘুম সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রাতে কমপক্ষে ৬-৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে। এছাড়া ঘুমানোর সময় ও ঘুম থেকে ওঠার সময় ত্বকের যত্ন নেওয়া ভীষণ জরুরি।
ত্বকের জন্য সর্বোত্তম ঘুমের অবস্থান: ভুল ঘুমের অবস্থানের কারণে প্রায়শই কোমর, পিঠ এবং ঘাড় ব্যথায় ভোগেন মানুষ। কিন্তু আপনি কি জানেন যে ভুল পাশে ঘুমানো এমনকি আপনার ত্বকেরও অনেক ক্ষতি করতে পারে?হ্যাঁ, আপনি যদি দীর্ঘ জীবনের জন্য আপনার ত্বক সুস্থ, উজ্জ্বল এবং তরুণ রাখতে চান, তাহলে আজ থেকেই আপনার সঠিক ঘুমের ‘পজিশন’ জানা উচিত। কারণ তা না হলে অল্প বয়সেই আপনার ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করবে।চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আঁচল পান্থ তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন, যেখানে তিনি ভাল এবং খারাপ ঘুমের অবস্থান সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তাহলে আসুন জেনে নিই কোন দিকে ঘুমানো আসলে ভাল এবং ত্বক সুস্থ রাখতে উপকারী।একপাশে ঘুমানোর অসুবিধা: অনেকেই সারা রাত একপাশে ঘুমিয়ে থাকেন। এটি একটি খুব সাধারণ ঘুমের অবস্থান, তবে আপনার এটিও জেনে রাখা উচিত যে ত্বককে সুস্থ রাখতে সারা রাত একপাশে ঘুমানো ঠিক নয়। বালিশে ক্রমাগত গাল চাপার কারণে ঘুমের রেখা তৈরি হয়, এটি ধীরে ধীরে স্থায়ী বলিরেখাও হতে পারে।বালিশের চাপে ত্বকের কোলাজেনও ভেঙে যায়। কোলাজেন হল এক ধরনের প্রোটিন, যা ত্বককে মজবুত ও টান টান রাখে। এই অল্প বয়সে বয়স বাড়ার কোনও প্রভাব নেই। একইসঙ্গে একপাশে ঘুমালে চোখের পাতা ও ভ্রু ঝুলে যায়।এর ফলে মুখের চারপাশে লাইন তৈরি হতে শুরু করে। চোখের কাছে বলিরেখা দেখা দিতে থাকে। ব্রণের সমস্যা বাড়ে। এমতাবস্থায়, আপনি যদি একপাশে ঘুমান, তবে এই অভ্যাস ত্যাগ করুন এবং যতটা সম্ভব পাশ বদলে বদলে ঘুমান।.পেটের উপর উপুড় হয়ে ঘুমানোর কারণে ত্বকের ক্ষতি ? বিশেষজ্ঞ বলছেন উপুড় হয়ে ঘুমোনো নিজেকে বার্ধক্যে ঠেলে দেওয়ার নামান্তর বই কিছু নয়। উপুড় হয়ে ঘুমালে আপনার মুখ দ্রুত বুড়ো দেখাতে শুরু করবে।এটি মুখের বয়স বাড়ানোর জন্য সবচেয়ে খারাপ ঘুমের অবস্থান। ঘুম থেকে উঠলেও মুখে ফোলাভাব দেখা দেয়। আপনি যদি এই ভাবে ঘুমোনোর অভ্যেসে থাকে দ্রুত একজন ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।সুস্থ ত্বকের জন্য পিঠের উপর ভর দিয়ে চিৎ হয়ে ঘুমান: বিশেষজ্ঞের মতে চিৎ হয়ে ঘুমালে ত্বকের ঝোলা ভাব এবং বলিরেখার সমস্যা দূর হয়। অনেকেই পিঠে ভর দিয়ে ঘুমাতে আরাম পান না। যারা গ্যাস্ট্রিক রিফ্লাক্স, স্লিপ অ্যাপনিয়া বা নাক ডাকার সমস্যায় ভুগছেন তাদের কিন্তু এই ভাবে চিৎ হয়ে ঘুমাতে অসুবিধা হয়।
