Healthy Lifestyle: পুরুষদের জন্য মারাত্মক বিপজ্জনক…! শুক্রাণুর ক্ষতি, ঝাঁঝরা হচ্ছে শরীর, আজই ‘এই’ অভ্যাস না ছাড়লে চরম সর্বনাশ! মাশুল গুনতে হবে আজীবন, মহিলারাও সাবধান!
মোবাইল ফোন পুরুষদের জীবনে সর্বনাশ ডেকে আনছে৷ অতিরিক্ত ফোনের ব্যবহার পুরুষদের পুরুষত্বহীন করে তুলছে৷ হ্যাঁ, আপনি শুনে অবাক হলেও এটাই সত্যি।চিকিৎসকদের মতে, মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার পুরুষের শুক্রাণুর গুণমান এবং পরিমাণ উভয়ই কমিয়ে দিতে পারে। এর সবচেয়ে বড় কারণ হল বেশিরভাগ পুরুষ তাদের প্যান্টের পকেটে মোবাইল ফোন রাখেন। এবং মোবাইল থেকে নির্গত রেডিয়েশন তাদের স্পার্ম কাউন্ট কমিয়ে দিতে পারে।তবে শুধু পুরুষদেরই এটি মহিলাদের উর্বরতাকেও প্রভাবিত করে, তবে পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি দেখা যায়। এমতাবস্থায় মোবাইলের ব্যবহার সীমিত করা এবং শরীর থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করা ভীষণ জরুরি। গাইনোকোলজিস্ট ডা. অমৃতা সাহা এই বিষয়ে বিশদে জানিয়েছেন৷ডাঃ অমৃতা সাহা বলেছেন যে মোবাইল ফোন থেকে নির্গত বিকিরণের সম্ভাব্য প্রভাবগুলি উর্বরতার হারের উপর ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ রয়েছে৷ এই বিকিরণ ব্যক্তিকে ভেতর থেকে ফাঁপা করে দিচ্ছে। এটি পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর সংখ্যা এবং গতিশীলতা হ্রাস এবং মহিলাদের গর্ভাবস্থার সম্ভাবনার কারণ হতে পারে।চিকিৎসকদের মতে, যেসব মহিলা বেশি মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন তাদের গর্ভধারণে বেশি সময় লাগে। আসলে, মোবাইল ফোনের বিকিরণ ডিম্বাশয়ের ক্ষতি করতে পারে। তবে এই রেডিয়েশন নারীদের প্রজনন ক্ষমতা কতটা কমায় তা নিয়ে গবেষণা চলছে।বিশেষজ্ঞদের মতে, পুরুষের অন্ডকোষ ও মহিলাদের ডিম্বাশয় এই দুটি অঙ্গই অত্যন্ত সংবেদনশীল। পুরুষদের ক্ষেত্রে, এর কারণে, শুক্রাণু উত্পাদন হ্রাস পায় এবং শুক্রাণুর গুণমানও প্রভাবিত হয়। ডিমের গুণগত মান দুর্বল এবং এ কারণে সন্তান না আসার ঘটনা দিন দিন বাড়ছে।ডা.অমৃতা সাহা বলেছেন যে দম্পতিরা নিঃসন্তান, এবং দীর্ঘদিন এই সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছেন তাদের মোবাইল ফোন থেকে সঠিক দূরত্ব বজায় রাখার ভীষণ জরুরি। মোবাইলকে যতটা সম্ভব শরীর থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করুন।
