অবশেষে স্বস্তি

Dakshin Dinajpur News: উত্তাল বাংলাদেশ! হিলি সীমান্ত দিয়ে ঘরে ফিরছেন ভিন রাজ্যের পড়ুয়ারা

দক্ষিণ দিনাজপুর: কোটা সংস্কার আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। ইতিমধ্যেই সে দেশের সমস্ত কলেজ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে ছড়িয়ে পড়েছে আন্দোলনের আগুন। প্রতিদিন উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতির ঘটনায় আতঙ্কিত ভারতীয় মেডিক্যাল পড়ুয়ারা। মঙ্গলবাক সকাল থেকে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি আন্তর্জাতিক সীমান্ত দিয়ে ভারতে আসতে শুরু করেছেন বাংলাদেশে আটকে পড়া ভারতীয় পড়ুয়ারা৷ বাংলাদেশের বগুড়া কলেজ থেকে ৩২৩ জন ভারতীয় পড়ুয়াকে দেশে ফেরানো হয়েছে। তাঁদের মধ্যে কারও বাড়ি এই রাজ্যে। তবে বেশিরভাগেরই বাড়ি কাশ্মীর, ঝাড়খণ্ড, মণিপুর, তামিলনাড়ু এবং কেরল উত্তরাখণ্ড-সহ দেশের নানা রাজ্যে। পাশাপাশি কিছু নেপালি পড়ুয়াও হিলি সীমান্ত দিয়ে এপারে এসেছেন।

ভারতীয় হাইকমিশনের উদ্যোগে বাংলাদেশ প্রশাসন পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে তাঁদের সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়। বাংলাদেশের উত্তপ্ত পরিস্থিতি জেরে আতঙ্কিত ছিলেন পড়ুয়া থেকে অভিভাবকরা। বর্তমানে হিলি আন্তর্জাতিক সীমান্তে পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের ভিড় নজরে এসেছে। অবশেষে তাঁরা দেশে ফেরায় খুশি। ভয়-আতঙ্ক কেটেছে অভিভাবক এবং পড়ুয়াদের।

বাংলাদেশ থেকে ভারতে ফেরা ছাত্ররা জানায়, সেখানকার পরিস্থিতি ভয়াবহ হলেও তার আঁচ তাঁরা পাননি। কারণ ঢাকায় উত্তপ্ত পরিস্থিতি ছিল। তাঁরা বগুড়া মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করতেন। তাঁদের বাসে করে পুলিশি নিরাপত্তার মাধ্যমে ভারত সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: স্কুলেই বড় বিপদ! কোনও রকম প্রাণে বাঁচল ৪ ছাত্রী, ঠিক কী ঘটল, জানলে শিউরে উঠবেন

আরও পড়ুন: ১৮৩ বছরের স্কুল নানান সমস্যায় জর্জরিত, কমছে পড়ুয়ার সংখ্যা

দেশে ফিরলেও ট্রেন এবং বিমানের টিকিট না মেলায় হিলি থেকে বাড়ি কী করে ফিরবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েন পড়ুয়ারা। কেউ চড়া ভাড়ায় ছোট গাড়ি করে কলকাতায় রওনা দিয়েছেন, আবার কেউ ট্রেনে-বাসে করে  গিয়েছেন বিমান ধরার লক্ষ্যে। পাশাপাশি, কবে বাংলাদেশের পরিস্থিতি শান্ত হবে এবং তাঁরা ফের মেডিক্যালে ফিরবেন তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় রয়েছেন পড়ুয়ারা।

বাংলাদেশের কোটা চাকরির বিরোধিতা করে ছাত্র আন্দোলন বিগত কয়েকদিন যাবত বিশাল রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই বাংলাদেশ সরকার সমস্ত দেশ জুড়েই জারি করেছে কারফিউ। পরিস্থিতি বলা যেতে পারে একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। এই পরিস্থিতির মধ্যে ধুঁকছে হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে এই কাজের সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষ।

সুস্মিতা গোস্বামী